সিরাজগঞ্জের তাড়াশ পৌর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের বঙ্গবন্ধুর মুর্যালে ওয়াজ মাহফিলের পোস্টার লাগিয়ে অবমাননার অভিযোগে মো. রেজাউল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পৌর এলাকার দক্ষিণপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক রেজাউল করিম পৌর এলাকার দক্ষিণপাড়ার আমির হোসেনের ছেলে এবং ওয়াজ মাহফিল আয়োজক কমিটির সদস্য।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি তাড়াশ উপজেলা শাখার আয়োজনে পশ্চিমপাড়া ফাজিল মাদরাসার মাঠে এক বিশাল ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে চরমোনাই পীর সাহেবের অনুসারী মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিম পীর সাহেবকে প্রধান বক্তা করা হয়। মাহফিলের প্রচারের জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পোস্টার সাঁটানো হয়। এই মাহফিলের একটি পোস্টার বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের মুর্যালে লাগিয়ে অবমাননা করা হয়েছে। এই অভিযোগে রেজাউল করিমকে আটক করা হয়।
বাংলাদেশ মুজাহিদ তাড়াশ উপজেলা শাখার সদস্য ও ওয়াজ মাহফিল আয়োজক কমিটির সদস্য মাওলানা মো. আবুল কাশেম জানান, আগামী ২৬ মার্চ তাড়াশের পশ্চিম পাড়া ফাজিল মাদরাসা মাঠ প্রাঙ্গণে বিশাল ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে তাড়াশ উপজেলা জুড়ে পোস্টার সাঁটানো হয়। এই পোস্টার বঙ্গবন্ধুর মুর্যালে কে বা কারা লাগিয়েছে আমরা অবগত না। এই মাহফিল পণ্ড করতে শত্রুতা করে কেউ এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
পোস্টার লাগানোর অভিযোগে আয়োজক কমিটির একজনকে আটক করার বিষয়ে তিনি বলেন, আটক রেজাউল করিম আয়োজক কমিটি সদস্য ও চরমোনাই পীরের অনুসারী। এজন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
তাড়াশ উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গাজী আরশেদুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মদিনে এধরনের ঘটনা ন্যাক্কারজনক। ছবি বিকৃতকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কুমার কর্মকার জানান, বঙ্গবন্ধুর মুর্যালে ওয়াজ মাহফিলের একটি পোস্টার লাগিয়ে বিকৃতি ও অবমাননা করা হয়েছে বলে দলীয় নেতাকর্মীরা জানায়। এমন সংবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে থানায় অবগত করা হয়।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলে আশিক জানান, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের মুর্যালে বঙ্গন্ধুর ছবি অবমাননার অভিযোগে ওয়াজ মাহফিল আয়োজক কমিটির সদস্য রেজাউল করিমকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।