ফেনী শহর ও বিভিন্ন উপজেলা বাজারে হঠাৎ করে তরমুজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষদের হাতের নাগালের বাহিরে চলে গেছে সুস্বাদু ফল তরমুজ। সরকারিভাবে তরমুজের দাম নির্ধারণ না থাকায় দোকানিরা নিজেদের মতো করে দাম হাঁকাচ্ছেন এবং আদায় করে নিচ্ছেন। এতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারের বিভিন্ন স্থানের ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তরমুজ সাজিয়ে রেখেছেন। এর মধ্যে দেশীয় তরমুজসহ বিভিন্ন দেশের জাতের তরমুজ সংখ্যাই বেশি। পাকা তরমুজের পাশাপাশি গাছ থেকে ছিঁড়ে আনা আধা-পাকা তরমুজও রাখা হয়েছে। তবে সেগুলো মজুদের পাশাপাশি কেমিক্যালের মাধ্যমে পাকানোর পর বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে ক্রেতারা অভিযোগ করছেন।
ছোট সাইজের একটি তরমুজ ৫০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আবার মাঝারি সাইজের প্রতি পিস ১৫০ টাকা থেকে ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় সাইজের প্রতিটি তরমুজ ৩০০-৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ দরে হাঁকিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বাজারের এসব তরমুজ অধিকাংশই কৃত্রিমভাবে পাকানো ও নিম্নমানের বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
ফেনীর ট্রাংক রোড়ে তরমুজ কিনতে আসা মাসুম আহমেদ নামে এক ব্যক্তি বলেন, কিছুদিন আগেও যে তরমুজের দাম ছিল ১০০-১৫০ টাকা, রমজানের শুরু হতে না হতেই এখন সেই তরমুজ ২৫০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ফেনী পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল আলম মিঠু বলেন, তরমুজ ব্যবসায়ীদের কোনো রকম তদারকি না করায় তারা নিজেদের মতো দাম আদায় করে নিচ্ছেন। এতে সমাজের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের রোজাদার লোকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসরীন সুলতানা জানান, ফুটপাত দখল করে যে কোন কিছু বিক্রয় করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এখন তরমুজের সৃজন, এসময় দাম বৃদ্ধি থাকা মোটেও স্বাভাবিক না। যারা অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।