জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত ও আমল

হজ ও কোরবানির মাস জিলহজ। এটি হিজরি বছরের শেষ মাস। এ মাসের ৯ তারিখ সারাবিশ্ব থেকে আগত মুসলিম উম্মাহ আরাফায় একত্রিত হবেন। পরদিন বিশ্বব্যাপী সবাই কোরবানি করবেন। 

 

দুনিয়ার সেরা আত্মত্যাগের মাস জিলহজ। এ মাসেই হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম নিজের প্রাণপ্রিয় সন্তান হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালামকে কোরবানির মাধ্যমে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। তার এ ধারা মুসলিম উম্মাহ কেয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত রাখবেন। এ কারণেই আমল ও ফজিলতে মর্যাদাসম্পন্ন মাস জিলহজ।

জিলহজের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত

জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল করার ফজিলত জিহাদের চেয়েও মর্যাদাবান। হাদিসে এসেছে- হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এ দিনগুলোর (জিলহজের প্রথম ১০ দিনের) আমলের তুলনায় কোনো আমল-ই অন্য কোনো সময় উত্তম নয় । তারা বলল : জিহাদও না ? তিনি বললেন : জিহাদও না, তবে যে ব্যক্তি নিজের জানের শঙ্কা ও সম্পদ নিয়ে বের হয়েছে, অতঃপর কিছু নিয়েই ফিরে আসেনি।’ (বুখারি)

 

জিলহজ মাসটি মর্যাদা ও ফজিলতপূর্ণ হওয়ার অন্যতম দুটি। প্রথমটি হলো-এ মাসেই হজ তথা ইয়াওমে আরাফাহ অনুষ্ঠিত হয়। হাদিসে পাকে আরাফার ময়দানে উপস্থিত হওয়াকেই হজ বলা হয়েছে। তাছাড়া কেউ যদি ৯ জিলহজ (আরাফার দিন) সন্ধ্যার আগে মুহূর্তের জন্য হলেও আরাফার ময়দানে উপস্থিত না হয় তবে তার হজ হবে না। পরবর্তী বছর আবার তাকে হজ আদায় করতে হবে।

দ্বিতীয়টি হলো- কুরবানি। যা ইসলামের অন্যতম নির্দশন ও সুন্নাত। ফজিলতপূর্ণ এ দুইটি কাজ মর্যাদাপূর্ণ মাস রমজানেও আদায় করা সম্ভব নয়।

জিলহজের প্রথম ১০ দিনের আমল

এক. বুখারি, নাসাঈ, মুসলিম ও মিশকাতের ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনা থেকে প্রমাণিত যে, জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন কোরবানি করার আগ পর্যন্ত রোজা পালনসহ যে কোনো নেকির কাজ অধিক সাওয়াব ও ফজিলতপূর্ণ। সে হিসাব ১ থেকে ৯ জিলহজ পর্যন্ত রোজা রাখা যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও এ দিনগুলোতে রোজা রাখতেন।’

 

দুই. ৯ জিলহজ আরাফার দিনের রোজা রাখা বিশেষ মর্যাদার। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আরাফার দিনের রোজা রাখবে আল্লাহ তায়ালা তার এক বছর আগের এবং এক বছর পরের সব ছোট গোনাহ মাফ করে দেবেন।’ (মুসলিম, মিশকাত)

 

তিন. কোনো ওজর আপত্তি না দেখিয়ে আর্থিক ও শারীরিক সক্ষম ব্যক্তিদের হজ আদায় করা।

 

চার. যাদের উপর কোরবানি ওয়াজিব, তাদের কোরবানি আদায় করা। আর যাদের উপর কোরবানি ওয়াজিব নয়, আল্লাহর সন্তুষ্টির অন্যতম মাধ্যম আত্মত্যাগের নিদর্শন কোরবানি আদায় করা। কারণ সম্পদহীন ব্যক্তি কোরবানির আগ্রহ প্রদানে আল্লাহ তায়ালা ঐ ব্যক্তিকে স্বচ্ছলতা দান করতে পারেন।

 

পাঁচ. জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে কোরবানি সম্পাদনের আগে পর্যন্ত নখ, চুল ও মোচ ইত্যাদি না কাটা।
হাদিস এসেছে- হজরত উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমরা জিলহজ মাসের চাঁদ দেখতে পাবে, এবং তোমাদের কেউ কোরবানি করার ইচ্ছে করে তবে সে যেন চুল নখ কাটা থেকে বিরত থাকে। (মুসলিম, ইবনে হিব্বান)

 

ছয়. জিলহজ মাসের পাঁচ দিন তাকবিরে তাশরিক আদায় করা আদায় করা। তাকবিরে তাশরিক হলো- ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ আর তা ৯ জিলহজ ফজর নামাজের পর থেকে শুরু হয়ে ১৩ জিলহজ আসার নামাজের সময় শেষ হবে। মোট ২৩ ওয়াক্ত নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক পড়তে হয়। চাই নামাজ জামাআতে কিংবা একাকি পড়া হোক। আর তাকবিরে তাশরিক পুরুষরা উচ্চ স্বরে আর নারীরা স্বশব্দে নিচু স্বরে পড়বে। অর্থাৎ মহিলাদের তাকবিরের শব্দ যেন (গাইরে মাহরাম) অন্য লোকে না শোনে।

 

সাত. শুধু ঈদের দিন (১০ জিলহজ) ব্যতিত জিলহজের প্রথম দশকে রোজা রাখা অনেক ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু (সা.) (ঈদের দিন ব্যতিত) জিলহজের প্রথম ৯ দিন রোজা পালন করতেন। এই মাসের নবম দিন ও রাত আল্লাহর নিকট অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দিনটি হলো আরাফাতের ময়দানে সমবেত হওয়ার দিন। আর রাতটি হলো মুজদালিফায় (শবে কদরের মতো গুরুত্বপূর্ণ) অবস্থানের রাত।

 

আট. বিশেষ করে ৯ জিলহজ রোজা আদায়ের ব্যাপারে প্রিয়নবি সবচেয়ে বেশি আশাবাদী ছিলেন যে, এ দিনের রোজা পালনকারীর বিগত এক বছর এবং আগাম (সামনের) এক বছরের গোনাহ মাফ করে দেবেন। সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, জিলহজ মাসের বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদা পাওয়ার জন্য নির্ধারিত আমলগুলো যথাযথভাবে আদায় করা।

 

আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানি যে, তিনি আমাদের মতো পাপী-তাপী বান্দাদের জন্য স্বীয় অনুগ্রহে এমন সব নেক আমল করার সুযোগ দিয়েছেন। তাই এই সুযোগের সদ্বব্যহার করা অত্যন্ত জরুরি।

 

আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল গুলো পালনের মাধ্যম হাদিসে ঘোষিত ফজিলত ও মর্যাদাগুলো পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আজ সোমবার রাজধানীর যেসব মার্কেট-দোকানপাট বন্ধ থাকবে

» অভিনেত্রী আফরোজা হোসেন আর নেই

» বাড়ছে উপদেষ্টা পরিষদের আকার, সন্ধ্যায় শপথ

» কয়েকটি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশের তল্লাশি

» বিদেশে বসে ভাঁওতাবাজি করে জনগণকে একত্র করতে পারবেন না : ফারুক

» আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিতে যে শর্ত দিলেন সোহেল তাজ

» উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এই সরকারের বৈধতা হলো গণঅভ্যুত্থান

» পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ব্যক্তি নিহত

» সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক গ্রেফতার

» শিক্ষার্থীদের ফ্যাসিবাদবিরোধী স্লোগানে মুখর জিরো পয়েন্ট

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত ও আমল

হজ ও কোরবানির মাস জিলহজ। এটি হিজরি বছরের শেষ মাস। এ মাসের ৯ তারিখ সারাবিশ্ব থেকে আগত মুসলিম উম্মাহ আরাফায় একত্রিত হবেন। পরদিন বিশ্বব্যাপী সবাই কোরবানি করবেন। 

 

দুনিয়ার সেরা আত্মত্যাগের মাস জিলহজ। এ মাসেই হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম নিজের প্রাণপ্রিয় সন্তান হজরত ইসমাইল আলাইহিস সালামকে কোরবানির মাধ্যমে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। তার এ ধারা মুসলিম উম্মাহ কেয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত রাখবেন। এ কারণেই আমল ও ফজিলতে মর্যাদাসম্পন্ন মাস জিলহজ।

জিলহজের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত

জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল করার ফজিলত জিহাদের চেয়েও মর্যাদাবান। হাদিসে এসেছে- হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এ দিনগুলোর (জিলহজের প্রথম ১০ দিনের) আমলের তুলনায় কোনো আমল-ই অন্য কোনো সময় উত্তম নয় । তারা বলল : জিহাদও না ? তিনি বললেন : জিহাদও না, তবে যে ব্যক্তি নিজের জানের শঙ্কা ও সম্পদ নিয়ে বের হয়েছে, অতঃপর কিছু নিয়েই ফিরে আসেনি।’ (বুখারি)

 

জিলহজ মাসটি মর্যাদা ও ফজিলতপূর্ণ হওয়ার অন্যতম দুটি। প্রথমটি হলো-এ মাসেই হজ তথা ইয়াওমে আরাফাহ অনুষ্ঠিত হয়। হাদিসে পাকে আরাফার ময়দানে উপস্থিত হওয়াকেই হজ বলা হয়েছে। তাছাড়া কেউ যদি ৯ জিলহজ (আরাফার দিন) সন্ধ্যার আগে মুহূর্তের জন্য হলেও আরাফার ময়দানে উপস্থিত না হয় তবে তার হজ হবে না। পরবর্তী বছর আবার তাকে হজ আদায় করতে হবে।

দ্বিতীয়টি হলো- কুরবানি। যা ইসলামের অন্যতম নির্দশন ও সুন্নাত। ফজিলতপূর্ণ এ দুইটি কাজ মর্যাদাপূর্ণ মাস রমজানেও আদায় করা সম্ভব নয়।

জিলহজের প্রথম ১০ দিনের আমল

এক. বুখারি, নাসাঈ, মুসলিম ও মিশকাতের ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনা থেকে প্রমাণিত যে, জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন কোরবানি করার আগ পর্যন্ত রোজা পালনসহ যে কোনো নেকির কাজ অধিক সাওয়াব ও ফজিলতপূর্ণ। সে হিসাব ১ থেকে ৯ জিলহজ পর্যন্ত রোজা রাখা যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও এ দিনগুলোতে রোজা রাখতেন।’

 

দুই. ৯ জিলহজ আরাফার দিনের রোজা রাখা বিশেষ মর্যাদার। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আরাফার দিনের রোজা রাখবে আল্লাহ তায়ালা তার এক বছর আগের এবং এক বছর পরের সব ছোট গোনাহ মাফ করে দেবেন।’ (মুসলিম, মিশকাত)

 

তিন. কোনো ওজর আপত্তি না দেখিয়ে আর্থিক ও শারীরিক সক্ষম ব্যক্তিদের হজ আদায় করা।

 

চার. যাদের উপর কোরবানি ওয়াজিব, তাদের কোরবানি আদায় করা। আর যাদের উপর কোরবানি ওয়াজিব নয়, আল্লাহর সন্তুষ্টির অন্যতম মাধ্যম আত্মত্যাগের নিদর্শন কোরবানি আদায় করা। কারণ সম্পদহীন ব্যক্তি কোরবানির আগ্রহ প্রদানে আল্লাহ তায়ালা ঐ ব্যক্তিকে স্বচ্ছলতা দান করতে পারেন।

 

পাঁচ. জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে কোরবানি সম্পাদনের আগে পর্যন্ত নখ, চুল ও মোচ ইত্যাদি না কাটা।
হাদিস এসেছে- হজরত উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমরা জিলহজ মাসের চাঁদ দেখতে পাবে, এবং তোমাদের কেউ কোরবানি করার ইচ্ছে করে তবে সে যেন চুল নখ কাটা থেকে বিরত থাকে। (মুসলিম, ইবনে হিব্বান)

 

ছয়. জিলহজ মাসের পাঁচ দিন তাকবিরে তাশরিক আদায় করা আদায় করা। তাকবিরে তাশরিক হলো- ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ আর তা ৯ জিলহজ ফজর নামাজের পর থেকে শুরু হয়ে ১৩ জিলহজ আসার নামাজের সময় শেষ হবে। মোট ২৩ ওয়াক্ত নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক পড়তে হয়। চাই নামাজ জামাআতে কিংবা একাকি পড়া হোক। আর তাকবিরে তাশরিক পুরুষরা উচ্চ স্বরে আর নারীরা স্বশব্দে নিচু স্বরে পড়বে। অর্থাৎ মহিলাদের তাকবিরের শব্দ যেন (গাইরে মাহরাম) অন্য লোকে না শোনে।

 

সাত. শুধু ঈদের দিন (১০ জিলহজ) ব্যতিত জিলহজের প্রথম দশকে রোজা রাখা অনেক ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু (সা.) (ঈদের দিন ব্যতিত) জিলহজের প্রথম ৯ দিন রোজা পালন করতেন। এই মাসের নবম দিন ও রাত আল্লাহর নিকট অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দিনটি হলো আরাফাতের ময়দানে সমবেত হওয়ার দিন। আর রাতটি হলো মুজদালিফায় (শবে কদরের মতো গুরুত্বপূর্ণ) অবস্থানের রাত।

 

আট. বিশেষ করে ৯ জিলহজ রোজা আদায়ের ব্যাপারে প্রিয়নবি সবচেয়ে বেশি আশাবাদী ছিলেন যে, এ দিনের রোজা পালনকারীর বিগত এক বছর এবং আগাম (সামনের) এক বছরের গোনাহ মাফ করে দেবেন। সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, জিলহজ মাসের বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদা পাওয়ার জন্য নির্ধারিত আমলগুলো যথাযথভাবে আদায় করা।

 

আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানি যে, তিনি আমাদের মতো পাপী-তাপী বান্দাদের জন্য স্বীয় অনুগ্রহে এমন সব নেক আমল করার সুযোগ দিয়েছেন। তাই এই সুযোগের সদ্বব্যহার করা অত্যন্ত জরুরি।

 

আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল গুলো পালনের মাধ্যম হাদিসে ঘোষিত ফজিলত ও মর্যাদাগুলো পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com