শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘জনশুমারির মাধ্যমে শিক্ষার হারের সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে এবং সারা দেশের একটি সঠিক চিত্র আমাদের হাতে আসবে।
বুধবার সকাল ৮টায় সারাদেশের মতো চাঁদপুরেও ষষ্ঠ ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম শুরু হয়। চাঁদপুরের বাসভবনের হলরুমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সেখানে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
দীপু মনি বলেন, ‘জনশুমারির পরিসংখ্যানের মাধ্যমে দেশে কতজন মানুষ নিরক্ষর রয়েছে, কতজন শিক্ষিত হয়েছেন এবং তাদের আর্থসামাজিক যে অবস্থান আমরা পাব সেটি নানান কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে সহায়ক হবে।
এই প্রথমবার দেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে হওয়ার কারণে এর যত তথ্য সংগৃহীত হবে তার ব্যবহার তত সহজ হয়ে যাবে। জনশুমারির মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বের করে নেওয়া এবং গবেষণা করা অনেক বেশি সহজ হবে। মূলত জনশুমারি দেশে কত মানুষ আছেন বা তারা কী করেন শুধু তার একটি সংখ্যা জানা নয়। জনশুমারি দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনার অন্যতম হাতিয়ার। এই সংখ্যা বা পরিসংখ্যান না থাকলে যথাযথ পরিকল্পনা করা সম্ভব হয় না এবং সে কারণেই জনশুমারি করা হয়।
এদিকে এবার চাঁদপুরে ৫২ জন জোনাল ও ৫২ জন আইটি অফিসার এবং ৭ হাজার সুপারভাইজার ও গণনাকারী জনশুমারিতে কাজ করবে বলে জানা গেছে।
জনশুমারি কার্যক্রম উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নাঈমা রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দীন প্রমুখ।