বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন ঘিরে সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ, র্যাব, ডিবি, ডিজিএফআই, এনএসআইসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। প্রবেশ পথগুলোতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তল্লাশি করে সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আজ (৬ ডিসেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলনস্থলে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছ।
দেশজুড়ে চলছে পুলিশের জঙ্গি গ্রেফতার অভিযান। এরই মধ্যে চলছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী, অঙ্গ সংগঠন ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের জাতীয় সম্মেলন। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজন করা হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন। সম্মেলনস্থলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঢল নামতে শুরু করে। দলীয় ব্যানারে দলে দলে সম্মেলনস্থলে এসে তারা উপস্থিত হয়। আর সম্মেলন ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে কয়েকটি স্তরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রবেশ গেটগুলোতে স্ক্যানার বসানো হয়েছে। প্রত্যেককে তল্লাশি করে ভিতরে প্রবেশ করানো হচ্ছে। মোবাইল ও মানিব্যাগ ছাড়া আর কিছু নিয়ে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েক স্তরের নিরাপত্তা পেরিয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে সম্মেলন স্থলে। পাশাপাশি পুরো এলাকাজুড়ে টহল দিয়ে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকার কিছু রাস্তা বন্ধ বা ডাইভারশন দিয়েছে ট্রাফিক বিভাগ। সম্মেলন ঘিরে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। উদ্যানে প্রবেশের সব গেটে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।
নিরাপত্তার বিষয় জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ বলেন, সম্মেলন কেন্দ্র করে আমরা কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বসিয়েছি। এখানে পুলিশ, র্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআইসহ সরকারের যত সংস্থা রয়েছে সব সংস্থার নিরাপত্তা বসানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটেনি এবং শেষ পর্যন্ত ঘটবে না বলে আশা প্রকাশ করছি।