খুলনা সিটিতে মেয়র প্রার্থী কারা

২০১৮ সালের ১৫ মে সর্বশেষ খুলনা সিটি করপোরেশনে (কেসিসি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পাঁচ বছর ব্যবধানে চলতি বছরের মে-জুন মাসে পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে মহানগর আওয়ামী লীগ। বর্তমান সিটি মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেককে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্র ভিত্তিক ইউনিট কমিটি গঠনের কাজ চলছে। একইভাবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিটি মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে সংগঠনের নায়েবে আমির হাফেজ মাওলানা আবদুল আউয়ালকে মনোনয়ন দিয়েছে। গতকাল মহানগর ও জেলা কমিটির যৌথ সভায় ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন জেলার সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু। তবে তিনি বলেছেন, নির্বাচনের পরিস্থিতি দেখে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম ঘোষণা করা হবে। যদি নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু থাকে, তাহলে তিনি নিজে প্রার্থী হবেন। অন্যথায় বিকল্প হিসেবে দলের অন্য কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। অপরদিকে নির্বাচন নিয়ে কৌশলী অবস্থানে রয়েছে বিএনপি। সরকার পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে জনমত তৈরিতে রাজপথে আন্দোলনে থাকা দলটির সিনিয়র নেতারা বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। জানা যায়, ২০১৮ সালের কেসিসি নির্বাচনে তালুকদার আবদুল খালেক নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু পান ১ লাখ ৯ হাজার ২৫১ ভোট। এর আগে ২০১৩ সালের নির্বাচনে তালকুদার আবদুল খালেককে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপির মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘আমরা মনে করি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া ‘ফ্রি- ফেয়ার’ নির্বাচন হতে পারে না। এ কারণে সিটি নির্বাচন নিয়ে আমরা কোনো চিন্তা করছি না। আমাদের একটাই লক্ষ্য সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। তিনি বলেন, খুলনায় বিএনপির সাংগঠনিক ভিত অনেক মজবুত। কেন্দ্রের নির্দেশনায় নির্বাচনের যে কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সক্ষমতা বিএনপির রয়েছে।

 

তবে আগেভাগেই নির্বাচনের মাঠ দখলের কথা জানিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডি এ বাবুল রানা বলেন, সিটি নির্বাচনের মাত্র কয়েকমাস বাকি আছে। এখনই ভোট কেন্দ্র ভিত্তিক কমিটি না থাকলে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আহ্বান জানানো, নিরাপদে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা কারা করবেন, পোলিং এজেন্ট থাকবেন কারা- এ সবকিছুরই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সেন্টার ভিত্তিক কমিটি ভোটারদের সঙ্গে কথা বলবেন। এ ছাড়া সিটি নির্বাচনের পরপর জাতীয় সংসদ নির্বাচন রয়েছে। সব মিলিয়ে ইউনিট কমিটিগুলো সক্রিয় করা হচ্ছে।

 

মহানগর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মুফতি আমানউল্লাহ বলেন, সিটি নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। আমরা ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দিয়েছি। আর জেলা জাপার সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, ‘আমার ভোট আমি দিতে না পারলে সেই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে না।’ সূএ : বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ধমক দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত করতে চাইলে বিএনপি সহ্য করবে না : ফারুক

» পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান

» ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণার পরিসর বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

» আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» দেশের স্বার্থে বন্দর ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে : নৌপরিবহন উপদেষ্টা

» বিশেষ অভিযানে মোট ১ হাজার ৩৫৩ জন গ্রেফতার

» হজ শেষে ফিরেছেন ৬০ হাজার ৫১৩ হাজি

» জামালপুরে নারী এগিয়ে চলা প্রকল্পের সভা অনুষ্ঠিত

» জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে  মোরেলগঞ্জে বিএনপির বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি

» ইসলামপুরে রহিম মেম্বার হত্যা সন্দেহে দুইজন আটক

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

খুলনা সিটিতে মেয়র প্রার্থী কারা

২০১৮ সালের ১৫ মে সর্বশেষ খুলনা সিটি করপোরেশনে (কেসিসি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পাঁচ বছর ব্যবধানে চলতি বছরের মে-জুন মাসে পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে মহানগর আওয়ামী লীগ। বর্তমান সিটি মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেককে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্র ভিত্তিক ইউনিট কমিটি গঠনের কাজ চলছে। একইভাবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিটি মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে সংগঠনের নায়েবে আমির হাফেজ মাওলানা আবদুল আউয়ালকে মনোনয়ন দিয়েছে। গতকাল মহানগর ও জেলা কমিটির যৌথ সভায় ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়র প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন জেলার সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু। তবে তিনি বলেছেন, নির্বাচনের পরিস্থিতি দেখে আনুষ্ঠানিকভাবে নাম ঘোষণা করা হবে। যদি নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু থাকে, তাহলে তিনি নিজে প্রার্থী হবেন। অন্যথায় বিকল্প হিসেবে দলের অন্য কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। অপরদিকে নির্বাচন নিয়ে কৌশলী অবস্থানে রয়েছে বিএনপি। সরকার পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে জনমত তৈরিতে রাজপথে আন্দোলনে থাকা দলটির সিনিয়র নেতারা বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। জানা যায়, ২০১৮ সালের কেসিসি নির্বাচনে তালুকদার আবদুল খালেক নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু পান ১ লাখ ৯ হাজার ২৫১ ভোট। এর আগে ২০১৩ সালের নির্বাচনে তালকুদার আবদুল খালেককে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপির মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘আমরা মনে করি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া ‘ফ্রি- ফেয়ার’ নির্বাচন হতে পারে না। এ কারণে সিটি নির্বাচন নিয়ে আমরা কোনো চিন্তা করছি না। আমাদের একটাই লক্ষ্য সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। তিনি বলেন, খুলনায় বিএনপির সাংগঠনিক ভিত অনেক মজবুত। কেন্দ্রের নির্দেশনায় নির্বাচনের যে কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সক্ষমতা বিএনপির রয়েছে।

 

তবে আগেভাগেই নির্বাচনের মাঠ দখলের কথা জানিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডি এ বাবুল রানা বলেন, সিটি নির্বাচনের মাত্র কয়েকমাস বাকি আছে। এখনই ভোট কেন্দ্র ভিত্তিক কমিটি না থাকলে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আহ্বান জানানো, নিরাপদে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা কারা করবেন, পোলিং এজেন্ট থাকবেন কারা- এ সবকিছুরই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সেন্টার ভিত্তিক কমিটি ভোটারদের সঙ্গে কথা বলবেন। এ ছাড়া সিটি নির্বাচনের পরপর জাতীয় সংসদ নির্বাচন রয়েছে। সব মিলিয়ে ইউনিট কমিটিগুলো সক্রিয় করা হচ্ছে।

 

মহানগর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মুফতি আমানউল্লাহ বলেন, সিটি নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। আমরা ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দিয়েছি। আর জেলা জাপার সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, ‘আমার ভোট আমি দিতে না পারলে সেই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নেবে না।’ সূএ : বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com