শ্রমিকদের মারধর ও হুমকি-ধামকি দিয়ে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে খুলনার ডুমুরিয়ার সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ুন কবির বুলুসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। এতে আরও ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) শাখা-১-এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হাসনাতুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পাউবোর অধিগ্রহণ করা জেএল ৭৫নং ডুমুরিয়া মৌজার ৮৩, ১৩৪, ১৪১, ১৪২, ১৪৩ ও ১৪৭ দাগের জমি ইউপি চেয়ারম্যান গাজী হুমায়ুন কবির বুলু দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভোগ-দখল করে আসছেন। শনিবার সকালে ওই জমিতে পাউবোর কর্মকর্তারা শ্রমিকদের নিয়ে সীমানা পিলার নির্মাণের জন্য গেলে ইউপি চেয়ারম্যান বুলু ও তার সহযোগীরা শ্রমিক রবিউল ও সাইফুলকে মারধর করে। এসময় তার হুমকি-ধামকি দিয়ে সরকারি কাজে বাধা দেন।
জানতে চাইলে গাজী হুমায়ুন কবির বুলু বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। কয়েকজন ভ্যান, অটোরিকশা ও মাহেন্দ্রাচালক এসে আমাকে জানালো তাদের গাড়ি রাখার জায়গায় মূল রাস্তার জায়গা ঘেঁষে কয়েকজন সীমানা পিলার নির্মাণের জন্য মাটি খুঁড়ছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি পাউবোর লোকজনের সঙ্গে স্থানীয় ও চালকদের বাগবিতণ্ডা চলছে। আমি বা আমার কোনো সহযোগী মারধর বা গালিগালাজ করেনি।
চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা অবৈধভাবে জবর-দখলের অভিযোগ সঠিক নয়। ওই জমি আমি বৈধভাবে অবমুক্ত করে নামপত্তনসহ সরকারি কর-খাজনা দিয়ে ভোগ দখল করেছি। বিষয়টি নিয়ে খুলনার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা চলমান। অথচ পানি উন্নয়ন বোর্ড ইতোমধ্যে আমার ওই জায়গায় নির্মিত স্থাপনা ভেঙে দিয়েছেন।’
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবাইদুর রহমান বলেন, ‘শ্রমিকদের মারধর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন কর্মকর্তা। এজাহারে তিনি আরও ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করেছেন। মামলার তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।