কিভাবে সঠিক উপায়ে পানি পান করবেন?

বিশেষজ্ঞদের মতে পানি পান করার সর্বোত্তম উপায় হলো চুমুক দিয়ে পান করা। আমরা মুখে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে লালা উৎপন্ন করি। এই লালা আমাদের খাদ্য হজমে সহায়তা করে। গড়গড় করে পানি পান করলে আমাদের মুখের লালা পাকস্থলীতে গিয়ে ভালোভাবে কাজ করতে পারে না।

 

প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই পানি এক গ্লাস পান করলে আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বের হয়ে যায়। এর ফলে রোগের আশঙ্কা অনেক কমে যায়। তাই আধুনিক চিকিৎসকেরা ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি পান করার পরামর্শ দেন।

 

এছাড়াও দাঁড়িয়ে পানি পান করলে স্নায়ুতে টান পড়ে, তরলের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং বদহজম হতে পারে। আয়ুর্বেদ অনুসারে, আপনি যখন দাঁড়িয়ে পানি পান করেন, তখন তা পেটের নিচের অংশে চলে যায় এবং আপনাকে পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে না।
আমরা অনেকেই খুব দ্রুত পানি পান করি। এটি কিডনি এবং মূত্রাশয়ের নিচে জমতে পারে। ফলস্বরূপ দেখা দিতে পারে হজমে সমস্যা। ভালো হজমের জন্য ছোট ছোট চুমুক দিয়ে ধীরে-সুস্থে পান করুন।

 

আর ঠান্ডা পানি হজম প্রক্রিয়ায় বিষাক্ত প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। ঠান্ডা পানি আমাদের পাকস্থলীতে ধাক্কা দেয়। খাদ্য খাবার পর পাকস্থলীতে গিয়ে এটা কিছুটা গরম হয়ে যায়। আর পেটের ভেতরে থাকা গরম খাবারে যদি ঠান্ডা পানি যায় তবে তা বিষক্রিয়া তৈরি করে। তাই আমদের হালকা গরম পানি পান করা উচিত।

 

পানি পান করা জরুরি বলে অনেকে বেশি বেশি পানি পান করে ফেলেন। কিন্তু অতিরিক্ত পানি পানের স্বাস্থ্য উপকারিতার কোন প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত পানি পানের কারণে হাইপোনাট্রেমিয়া হতে পারে, এই অভ্যাস শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে মস্তিষ্ক ফুলে যায়, খিঁচুনি হতে পারে।

 

পুষ্টিবিদরা বলেন, আমাদের পাকস্থলী ৫০ শতাংশ খাবার, ২৫ শতাংশ পানি এবং ২৫ শতাংশ খালি রাখতে হবে। এতে পরিপাক প্রক্রিয়া সহজ থাকে। খাবারের ঠিক আগে পানি পান হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে পারে।,

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» গুমের সঙ্গে জড়িত সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে : সেনা সদর

» আশুরা-তাজিয়া মিছিলে অংশ নিতে ডিএমপির একগুচ্ছ পরামর্শ

» স্ত্রীর কিডনিতে জীবন ফিরে পেয়ে পরকীয়ায় জড়ালেন স্বামী!

» যুবককে গলা কেটে হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেফতার

» স্বাস্থ্য অধিদফতরকে ১৯ হাজার ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট দিল চীন

» পেন্টাগনের মূল্যায়ন: কতোটা ক্ষতি হলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির?

» সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা মাউশির

» ইতালির নাগরিক তাবেলা হত্যা: ৩ জনের যাবজ্জীবন, ৪ জন খালাস

» টেলিকম নীতিমালায় সরকারের তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তে বিএনপির উদ্বেগ

» এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ছুরিকাঘাত করে ভ্যানিটি ব্যাগ ও মোবাইল ছিনতাই

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

কিভাবে সঠিক উপায়ে পানি পান করবেন?

বিশেষজ্ঞদের মতে পানি পান করার সর্বোত্তম উপায় হলো চুমুক দিয়ে পান করা। আমরা মুখে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে লালা উৎপন্ন করি। এই লালা আমাদের খাদ্য হজমে সহায়তা করে। গড়গড় করে পানি পান করলে আমাদের মুখের লালা পাকস্থলীতে গিয়ে ভালোভাবে কাজ করতে পারে না।

 

প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই পানি এক গ্লাস পান করলে আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বের হয়ে যায়। এর ফলে রোগের আশঙ্কা অনেক কমে যায়। তাই আধুনিক চিকিৎসকেরা ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি পান করার পরামর্শ দেন।

 

এছাড়াও দাঁড়িয়ে পানি পান করলে স্নায়ুতে টান পড়ে, তরলের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং বদহজম হতে পারে। আয়ুর্বেদ অনুসারে, আপনি যখন দাঁড়িয়ে পানি পান করেন, তখন তা পেটের নিচের অংশে চলে যায় এবং আপনাকে পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে না।
আমরা অনেকেই খুব দ্রুত পানি পান করি। এটি কিডনি এবং মূত্রাশয়ের নিচে জমতে পারে। ফলস্বরূপ দেখা দিতে পারে হজমে সমস্যা। ভালো হজমের জন্য ছোট ছোট চুমুক দিয়ে ধীরে-সুস্থে পান করুন।

 

আর ঠান্ডা পানি হজম প্রক্রিয়ায় বিষাক্ত প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। ঠান্ডা পানি আমাদের পাকস্থলীতে ধাক্কা দেয়। খাদ্য খাবার পর পাকস্থলীতে গিয়ে এটা কিছুটা গরম হয়ে যায়। আর পেটের ভেতরে থাকা গরম খাবারে যদি ঠান্ডা পানি যায় তবে তা বিষক্রিয়া তৈরি করে। তাই আমদের হালকা গরম পানি পান করা উচিত।

 

পানি পান করা জরুরি বলে অনেকে বেশি বেশি পানি পান করে ফেলেন। কিন্তু অতিরিক্ত পানি পানের স্বাস্থ্য উপকারিতার কোন প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত পানি পানের কারণে হাইপোনাট্রেমিয়া হতে পারে, এই অভ্যাস শরীরের সোডিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ফলে মস্তিষ্ক ফুলে যায়, খিঁচুনি হতে পারে।

 

পুষ্টিবিদরা বলেন, আমাদের পাকস্থলী ৫০ শতাংশ খাবার, ২৫ শতাংশ পানি এবং ২৫ শতাংশ খালি রাখতে হবে। এতে পরিপাক প্রক্রিয়া সহজ থাকে। খাবারের ঠিক আগে পানি পান হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে পারে।,

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com