বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই খেলাকে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হিসেবে ঘোষণা করেন জানিয়ে র্যাবের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, সেই থেকে আমরা জাতীয় খেলা হিসেবে কাবাডি আয়োজন করছি। প্রতি বছর আমরা স্বাধীনতা দিবসে ২৬ মার্চে প্রতিটি উপজেলায় একই দিনে একই সময়ে খেলে থাকি।
শনিবার (১৯ মার্চ) বিকাল ৫টায় রাজধানীর পল্টন কাবাডি স্টেডিয়ামে বঙ্গুবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশর্তবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের ব্যস্থাপনায় ‘বঙ্গবন্ধু কাপ-২০২২ আন্তুর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্ট’ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, গত বছরে আমরা প্রথম বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাপ টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছি এবং পাঁচটি দেশ গত বছর অংশগ্রহণ করে। যেখানে পাঁচটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়। করোনার প্রকোপের মধ্যেই আমরা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলাম; অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল। তবে এবার অংশ নিয়েছে ইংল্যান্ড, নেপাল, ইরাক, শ্রীলংকা, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও স্বাগতিক বাংলাদেশসহ আটটি দেশ।
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জাতীয় প্রোগ্রামেও আমাদের এই খেলাটি রয়েছে। এছাড়া প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ, যুব টুর্নামেন্ট আইজিপি কাপ আমরা সম্পন্ন করেছি। ৫০ হাজার ছেলে, ৫০ হাজার মেয়ে সেই টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। সেখান থেকে আমরা প্রতিভাবান খেলোয়াড় বাছাই করেছি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও সাবেক ক্রিকেটার নাঈমুর রহমান দুর্জয়। তিনি বলেন, বিসিবির পক্ষ থেকে আমি ঘোষণা দিচ্ছি, যদি বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন আন্তর্জাতিক কোচ আনতে পারে সেই কোচের পুরো খরচ ক্রিকেট বোর্ড বহন করবে।