রমজান মাসে রোজা রেখে অনেকেই নিজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা থেকে বিরত থাকেন। এই ভেবে যে কাজটি করলে হয়তো রোজা ভেঙে যাবে। মূলত এই ধরনের ভয়ে বেশি থাকেন অসুস্থ ব্যক্তিরা। কিংবা যাদের কোনো স্থায়ী রোগ রয়েছে তারা। যেমন- ডায়াবেটিস ও হাপানি রোগীদের মনে এই ধরনের প্রশ্ন বেশি থাকে।
এছাড়া অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেক রোগীরাই ইনহেলার, ডুস বা সাপোজিটরি নিয়ে থাকেন। তাই প্রশ্ন হচ্ছে, রোজা অবস্থায় ইনহেলার, ডুস বা সাপোজিটরি নিলে রোজা হবে কী?
এর উত্তর হচ্ছে, রোজা অবস্থায় ইনহেলার ও সাপেজিটরি বা ডুস নেয়ার বিষয়ে ফকিহগণের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। অধিকাংশ ফকিহের মতে, এতে রোজা ভঙ্গ হবে এবং কাজা আদায় করতে হবে; কাফফারা লাগবে না।
অনেক ফকিহের মতে, ব্যক্তি যখন পানাহার ত্যাগ করে রোজা রাখতে সক্ষম, তাই রোজা পালন করবেন; যেহেতু ইনহেলার না নিয়ে থাকতে পারেন না, তাই ইনহেলার নেবেন; আর ইনহেলার নেয়ার কারণে রোজা ভঙ্গের সম্ভাবনা থাকায় ফিদয়াও দেবেন। যাতে তার সব পথ খোলা থাকে।
ডুস বা সাপোজিটরি যেহেতু খাদ্য নয়, খাদ্যের বিকল্পও নয় এবং তা পাকস্থলীতেও প্রবেশ করে না; বরং তা এক প্রকার ওষুধ, যা মলম বা ক্রিমের সঙ্গে তুলনা করা যায়। সর্বোপরি এটি পুনরায় পায়ূপথে বেরিয়ে আসে এবং এতে খাদ্যের উদ্দেশ্যও সাধিত হয় না। তাই এর দ্বারা রোজা ভঙ্গ হবে না। তবুও সতর্কতামূলক কাজা আদায় করা উত্তম হবে।
(আল ফিকহুল ইসলামি আদ দুওয়ালি)। সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ ডটকম