বরিশালের গৌরনদীতে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা তৈরির সরঞ্জামসহ মো. কবির মৃধা (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একটি টিম।
র্যাবের দাবি, এই ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে অস্ত্র-মাদকসহ বিভিন্ন আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। শনিবার সকালে বরিশাল রুপাতলী র্যাব সদর দপ্তর এক ইমেল বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করে। এর আগে শুক্রবার বিকেলে ওই ব্যক্তিকে গৌরনদী উপজেলার লাখরাজ কসবা রামসিদ্ধি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব অফিস সূত্র জানায়, কবির মৃধাসহ কয়েকজন মিলে গৌরনদী থানাধীন এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ অস্ত্র, হাত বোমা ও বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামাদীর কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। গোয়েন্দা অনুসন্ধানে এই তথ্য নিশ্চিত হয়ে তাদের একটি টিম শুক্রবার তাকে টার্গেট করে এবং তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে লাখরাজ কসবা রামসিদ্ধি এলাকার উদ্দেশে রওনা হয়।
ইমেল বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, তাদের টিমটি লাখরাজ কসবা রামসিদ্ধি এলাকায় পৌঁছানো মাত্র তা কিছুটা দূরত্ব থেকে লক্ষ্য করে কবির মৃধা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন র্যাব সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ৭টি সদ্য তৈরি হাত বোমা, সাদা পলিথিনের মধ্যে ১১৫টি কাচের মার্বেল, ১টি সাদা পলিথিনের মধ্যে ৮৬৫ গ্রাম ভাংগা কাচের টুকরা, ২ প্যাকেট সাইকেলের বিয়ারিং বল, বিস্ফোরক ভর্তি ৬টি কলম, ৪টি কালো টেপ, দুই কালারের ১৯ ফিট এবং ১টি একনলা বন্দুক উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর কবির মৃধা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে তিনি পেশাদার একজন অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং বোমা তৈরির দক্ষ কারিগর। তার তৈরি বোমা ও সরঞ্জামাদী বিক্রয় এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়।
র্যাব জানায়, উপজেলার নন্দনপট্টি গ্রামের মোহাম্মদ মৃধার ছেলে কবিরের পিসি পিআর ঘেটে নিশ্চিত হওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে অস্ত্রসহ আরও একাধিক মামলা রয়েছে।
এবারে অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধারে ঘটনায় তার বিরুদ্ধে র্যাবের ডিএডি সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে গৌরনদী থানায় একটি মামলা করেছেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে শনিবার সকালে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।