আইফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর উপায়

আইফোন ব্যবহারকারীদের প্রায় একটি সমস্যায় পড়েন, সেটি হলো ব্যাটারি নিয়ে। ব্যাটারির হেলথ ভালো রাখতে অবশ্যই ব্যাটারির ব্যাকাপ বাড়ানো খুবই জরুরি। সেটিংসে কিছু পরিবর্তন করে আইফোনের ব্যাটারি ব্যাকাপ অপটিমাইজ করতে পারেন-

 

আইফোনের ব্যাটারি ড্রেইন রুখে দেওয়ার সেরা অস্ত্র হলো লো পাওয়ার মোড। লো পাওয়ার মোড চালু থাকলে ডাউনলোড ও ই-মেইল ফেচিং এর মত ব্যাকগ্রাউন্ড একটিভিটি বন্ধ থাকে।

ব্যাটারি ২০% এর নিচে আসলে লো পাওয়ার মোড অটোমেটিক চালু হয়ে যায়। তবে ম্যানুয়ালি এই লো পাওয়ার মোড চালু করে উল্লেখযোগ্য হারে অধিক ব্যাটারি ব্যাকাপ পাওয়া যায়।

 

স্মার্টফোনের ব্যাটারির একটি বিশাল অংশ গ্রহণ করে ডিসপ্লে। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী অটো ব্রাইটনেস সিলেক্ট এর অপশন সেট করে রাখা ভালো।

 

অধিকাংশ মানুষ ডার্ক মোডের ফিচারটিকে অবহেলা করলেও এটির বহুবিধ সুবিধা রয়েছে। আইফোনের ডার্ক মোড ব্যবহার করলে প্রচুর পরিমাণে ব্যাটারি সাশ্রয় হয়ে থাকে। আবার চোখে অধিক সুবিধাজনক লাগে ডার্ক মোড।

 

কিছু গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ, যেমন- গুগল ম্যাপস বা উবার ব্যবহারে লোকেশন সার্ভিস এর প্রয়োজন রয়েছে। তবে লোকেশন সার্ভিস আইফোনের ব্যাটারি খরচ করে অনেক। প্রয়োজন না হলে লোকেশন পারমিশন রিমুভ করে দিন।

আইওএস অ্যাপ ক্লোজ করার পর অচল অবস্থায় পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত চালু থাকে। ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ রিফ্রেশ অপশন চালু থাকলে সেক্ষেত্রে ক্লোজ করা অ্যাপও ব্যাকগ্রাউন্ডে আপডেট হয়, যা ব্যাটারির চার্জ উল্লেখযোগ্য হারে খরচ করে।

 

প্রতিটি নোটিফিকেশনের জন্য আইফোনের স্ক্রিন লাইট জ্বলে ওঠে, যা ফোনের ব্যাটারি ব্যয় করে। সেটিংস থেকে নোটিফিকেশন মেন্যুতে প্রবেশ করে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপের নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিন।

 

আইফোনের সেটিংস থেকে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, এয়ারড্রপ বন্ধ করা না হলে ব্যাকগ্রাউন্ডে এগুলো চালু থেকে যায়। এসব ফিচার ম্যানুয়ালি বন্ধ না করলে অনবরত নেটওয়ার্কের জন্য সার্চ করতে থাকে। তাই প্রয়োজন না হলে এসব ফিচার সরাসরি সেটিংসে প্রবেশ করে বন্ধ করা উচিত।

ব্যাটারি সেভ করতে চাইলে ডায়নামিক বা মুভিং ওয়ালপেপার ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। সবসময় স্ট্যাস্টিক ওয়ালপেপার ব্যবহারের চেষ্টা করুন।

 

সেটিংস থেকে বন্ধ করা না থাকলে আইক্লাউড ফোনে থাকা ছবি ও ভিডিও ক্লাউডে ব্যাকাপ নেওয়ার কাজে ব্যাস্ত থাকে। স্বভাবতই এই প্রক্রিয়া প্রচুর ব্যাটারি খরচ করে। তাই আইক্লাউড দরকার না হলে বন্ধ রাখা যায়।

 

আপনার আইফোন খুব ঠান্ডা বা খুব উষ্ণ পরিবেশে রাখবেন না। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির পারফরম্যান্স অনেকাংশে আশেপাশের তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে।সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় কৃষকদের জন্য কৃষি ঋণ বিতরণ ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে প্রাইম ব্যাংক

» স্কুলে অগ্নি নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ আয়োজন করলো এনার্জিপ্যাক

» নওগাঁর মহাদেবপুরে আওয়ামীলীগের ৩ নেতা-কর্মী আটক

» নওগাঁর নিয়ামতপুরে ভাতিজার হাতে চাচা খুন

» বিক্রয়-এর নতুন উদ্যোগ – মোটরগাইড বাংলাদেশ

» আমরা ও একদিন মরে যাবো! হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী

» শেওড়াপাড়ায় জোড়া খুন : মাস্ক-ক্যাপ পরা সেই ব্যক্তি গ্রেপ্তার

» আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ সব দলের সিদ্ধান্তে হয়েছে : প্রেস সচিব

» যুদ্ধ নয়, অজ্ঞতাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শেষ করবে : কঙ্গনা

» ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ২১ মে

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

আইফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর উপায়

আইফোন ব্যবহারকারীদের প্রায় একটি সমস্যায় পড়েন, সেটি হলো ব্যাটারি নিয়ে। ব্যাটারির হেলথ ভালো রাখতে অবশ্যই ব্যাটারির ব্যাকাপ বাড়ানো খুবই জরুরি। সেটিংসে কিছু পরিবর্তন করে আইফোনের ব্যাটারি ব্যাকাপ অপটিমাইজ করতে পারেন-

 

আইফোনের ব্যাটারি ড্রেইন রুখে দেওয়ার সেরা অস্ত্র হলো লো পাওয়ার মোড। লো পাওয়ার মোড চালু থাকলে ডাউনলোড ও ই-মেইল ফেচিং এর মত ব্যাকগ্রাউন্ড একটিভিটি বন্ধ থাকে।

ব্যাটারি ২০% এর নিচে আসলে লো পাওয়ার মোড অটোমেটিক চালু হয়ে যায়। তবে ম্যানুয়ালি এই লো পাওয়ার মোড চালু করে উল্লেখযোগ্য হারে অধিক ব্যাটারি ব্যাকাপ পাওয়া যায়।

 

স্মার্টফোনের ব্যাটারির একটি বিশাল অংশ গ্রহণ করে ডিসপ্লে। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী অটো ব্রাইটনেস সিলেক্ট এর অপশন সেট করে রাখা ভালো।

 

অধিকাংশ মানুষ ডার্ক মোডের ফিচারটিকে অবহেলা করলেও এটির বহুবিধ সুবিধা রয়েছে। আইফোনের ডার্ক মোড ব্যবহার করলে প্রচুর পরিমাণে ব্যাটারি সাশ্রয় হয়ে থাকে। আবার চোখে অধিক সুবিধাজনক লাগে ডার্ক মোড।

 

কিছু গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপ, যেমন- গুগল ম্যাপস বা উবার ব্যবহারে লোকেশন সার্ভিস এর প্রয়োজন রয়েছে। তবে লোকেশন সার্ভিস আইফোনের ব্যাটারি খরচ করে অনেক। প্রয়োজন না হলে লোকেশন পারমিশন রিমুভ করে দিন।

আইওএস অ্যাপ ক্লোজ করার পর অচল অবস্থায় পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত চালু থাকে। ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ রিফ্রেশ অপশন চালু থাকলে সেক্ষেত্রে ক্লোজ করা অ্যাপও ব্যাকগ্রাউন্ডে আপডেট হয়, যা ব্যাটারির চার্জ উল্লেখযোগ্য হারে খরচ করে।

 

প্রতিটি নোটিফিকেশনের জন্য আইফোনের স্ক্রিন লাইট জ্বলে ওঠে, যা ফোনের ব্যাটারি ব্যয় করে। সেটিংস থেকে নোটিফিকেশন মেন্যুতে প্রবেশ করে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপের নোটিফিকেশন বন্ধ করে দিন।

 

আইফোনের সেটিংস থেকে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, এয়ারড্রপ বন্ধ করা না হলে ব্যাকগ্রাউন্ডে এগুলো চালু থেকে যায়। এসব ফিচার ম্যানুয়ালি বন্ধ না করলে অনবরত নেটওয়ার্কের জন্য সার্চ করতে থাকে। তাই প্রয়োজন না হলে এসব ফিচার সরাসরি সেটিংসে প্রবেশ করে বন্ধ করা উচিত।

ব্যাটারি সেভ করতে চাইলে ডায়নামিক বা মুভিং ওয়ালপেপার ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। সবসময় স্ট্যাস্টিক ওয়ালপেপার ব্যবহারের চেষ্টা করুন।

 

সেটিংস থেকে বন্ধ করা না থাকলে আইক্লাউড ফোনে থাকা ছবি ও ভিডিও ক্লাউডে ব্যাকাপ নেওয়ার কাজে ব্যাস্ত থাকে। স্বভাবতই এই প্রক্রিয়া প্রচুর ব্যাটারি খরচ করে। তাই আইক্লাউড দরকার না হলে বন্ধ রাখা যায়।

 

আপনার আইফোন খুব ঠান্ডা বা খুব উষ্ণ পরিবেশে রাখবেন না। লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির পারফরম্যান্স অনেকাংশে আশেপাশের তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে।সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com