অপবিত্র অবস্থায় ব্যান্ডেজ বাঁধার পর ‘মাসাহ’ করা যাবে কি?

ছবি: অন্তর্জাল

 

‘মাসাহ’ অর্থ স্পর্শ করা। পারিভাষিক অর্থ, ‘ওজুর অঙ্গে ভেজা হাত নরমভাবে বুলানো, যা মাথা বা মোজার ওপরে করা হয়’।

এখন প্রশ্ন হলো- অপবিত্র অবস্থায় ব্যান্ডেজ বাঁধার পর ‘মাসাহ’ করা যাবে?

ক্ষতস্থানে বাঁধা ব্যান্ডেজ ওজুর জন্য খোলা যদি সহজ না হয় বা ব্যান্ডেজ খুলে ধৌত করলে ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়ার আশংকা থাকে, তাহলে ওজু বা ফরজ গোসলের সময় ব্যান্ডেজ বাঁধা জায়গা ধোয়ার পরিবর্তে ব্যান্ডেজের ওপর মাসাহ করা জায়েজ।

ব্যান্ডেজের ওপর মাসাহ করার জন্য পবিত্র অবস্থায় ব্যান্ডেজ বাঁধা জরুরি নয়। তাই ব্যান্ডেজ বাঁধার সময় যদি কারো ওজু না থাকে বা গোসল ফরজ থাকে, তাহলেও পরবর্তীতে ওজু-গোসলের সময় ব্যান্ডেজের ওপর মাসাহ করা যায়।

ব্যান্ডেজের ওপর মাসাহ করার পর ব্যান্ডেজ পরিবর্তন করলে অর্থাৎ যে ব্যান্ডেজের ওপর মাসাহ করা হয়েছে তা খুলে নতুন ব্যান্ডেজ লাগালে ওজু বা মাসাহ ভঙ্গ হয় না। নতুন ব্যান্ডেজের ওপর মাসাহ করে নেওয়া উত্তম, জরুরি নয়। তবে যদি ক্ষতস্থান শুকিয়ে যাওয়ার কারণে ব্যান্ডেজ খোলা হয়, ওই জায়গা ধৌত করা যদি ক্ষতিকর না থাকে, তাহলে ব্যান্ডেজ খোলার পর আগের মাসাহ বাতিল হয়ে যাবে। ওজু বহাল রাখতে হলে মাসেহকৃত জায়গা ধুয়ে নিতে হবে।

ইমাম যদি আহত হওয়ার কারণে ব্যান্ডেজ বাঁধে এবং ওজু করার সময় ব্যান্ডেজের ওপর মাসেহ করে, তাহলে তার ইমামতিতে পূর্ণ ওজুকারীদের নামাজ শুদ্ধ হবে।

সূূএ:ডেইলি-বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» নতুন মায়েরা সকালে এই ৫ সুপারফুড খান

» হার্ট অ্যাটাক পরবর্তী ১ থেকে ২ ঘণ্টা কেন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

» বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবার ক্যাভিয়ার আসলে কী?

» এশিয়া কাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশ, ফাইনালে ভারত

» মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষক নিহত

» সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা ও আয়ের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

» সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আগামীকাল

» অলিম্পিক উদ্বোধনের আগে ফ্রান্সের রেল নেটওয়ার্কে ভয়াবহ হামলা

» যুবলীগ কর্মী জুয়েলকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা

» কেন বিষাক্ত মানুষদের ছেঁটে ফেলতে বললেন পরিণীতি?

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

অপবিত্র অবস্থায় ব্যান্ডেজ বাঁধার পর ‘মাসাহ’ করা যাবে কি?

ছবি: অন্তর্জাল

 

‘মাসাহ’ অর্থ স্পর্শ করা। পারিভাষিক অর্থ, ‘ওজুর অঙ্গে ভেজা হাত নরমভাবে বুলানো, যা মাথা বা মোজার ওপরে করা হয়’।

এখন প্রশ্ন হলো- অপবিত্র অবস্থায় ব্যান্ডেজ বাঁধার পর ‘মাসাহ’ করা যাবে?

ক্ষতস্থানে বাঁধা ব্যান্ডেজ ওজুর জন্য খোলা যদি সহজ না হয় বা ব্যান্ডেজ খুলে ধৌত করলে ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়ার আশংকা থাকে, তাহলে ওজু বা ফরজ গোসলের সময় ব্যান্ডেজ বাঁধা জায়গা ধোয়ার পরিবর্তে ব্যান্ডেজের ওপর মাসাহ করা জায়েজ।

ব্যান্ডেজের ওপর মাসাহ করার জন্য পবিত্র অবস্থায় ব্যান্ডেজ বাঁধা জরুরি নয়। তাই ব্যান্ডেজ বাঁধার সময় যদি কারো ওজু না থাকে বা গোসল ফরজ থাকে, তাহলেও পরবর্তীতে ওজু-গোসলের সময় ব্যান্ডেজের ওপর মাসাহ করা যায়।

ব্যান্ডেজের ওপর মাসাহ করার পর ব্যান্ডেজ পরিবর্তন করলে অর্থাৎ যে ব্যান্ডেজের ওপর মাসাহ করা হয়েছে তা খুলে নতুন ব্যান্ডেজ লাগালে ওজু বা মাসাহ ভঙ্গ হয় না। নতুন ব্যান্ডেজের ওপর মাসাহ করে নেওয়া উত্তম, জরুরি নয়। তবে যদি ক্ষতস্থান শুকিয়ে যাওয়ার কারণে ব্যান্ডেজ খোলা হয়, ওই জায়গা ধৌত করা যদি ক্ষতিকর না থাকে, তাহলে ব্যান্ডেজ খোলার পর আগের মাসাহ বাতিল হয়ে যাবে। ওজু বহাল রাখতে হলে মাসেহকৃত জায়গা ধুয়ে নিতে হবে।

ইমাম যদি আহত হওয়ার কারণে ব্যান্ডেজ বাঁধে এবং ওজু করার সময় ব্যান্ডেজের ওপর মাসেহ করে, তাহলে তার ইমামতিতে পূর্ণ ওজুকারীদের নামাজ শুদ্ধ হবে।

সূূএ:ডেইলি-বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com