ছবি সংগৃহীত
আপনার বাসা-বাড়িতে যদি এসি থাকে তবে নিশ্চয়ই জানেন, দীর্ঘ সময় ধরে এসি ব্যবহার না করা হয় তবে আবার চালু করার আগে সার্ভিসিং করা দরকার। অর্থাৎ, গ্রীষ্মের মৌসুম আসার সঙ্গে সঙ্গেই এসি চালু করার আগে এসি সার্ভিসিং করে নেওয়া উচিত। তেমনি করে শীতকাল আসার আগেই গিজার সার্ভিস করানো জরুরি।
গিজার সম্পর্কে যাদের ধারণা নেই তারা জেনে রাখুন গিজার হচ্ছে পানি গরম করার বেদ্যুতিক যন্ত্র বা হিটার। যা বাসা-বাড়ির বাথরুমের কলের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। সুইচ চাপলেই পানি গরম হতে শুরু করে। আর কল খুলে সেই গরম পানি ব্যবহার করা যায়।
প্রচণ্ড গরম এবং ভারী বর্ষার পর হালকা হালাকা কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। শীত আসি আসি করছে। রাতে ও সকালে শীত শীত অনুভূতও হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে এসির বদলে এখন গিজার ব্যবহারের দিন শুরু হবে। কিন্তু অনেকের মনেই এই প্রশ্ন জাগছে যে এসির মতো গিজারেও নতুন মৌসুমে সার্ভিসিং করা দরকার কিনা।
এর সঠিক উত্তর হল- হ্যাঁ, দরকার। এসির মতো গিজারেরও নিয়মিত সার্ভিসিং প্রয়োজন। যাতে গিজার আরও ভালো কাজ করতে পারে। এখন প্রশ্ন হল গিজার কখন সার্ভিসিং করা উচিত।
ক্রম্পটন তার এক ব্লগে জানিয়েছে, যারা নতুন গিজার কিনবেন তাদের গিজার কেনার পর ১২ মাস অর্থাৎ এক বছরের মধ্যে একজন পেশাদার দ্বারা গিজারের সার্ভিসিং করিয়ে নেওয়া উচিত।
এছাড়াও, যদি গিজার এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে থাকে, তবে নিশ্চিত করতে হবে যে প্রতি ৬ মাস পর পর এটির সার্ভিসিং করানো হচ্ছে।
প্রয়োজন অনুযায়ী যাতে গিজার সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে তার জন্য ওয়াটার হিটারের রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি গিজারের নিয়মিত সার্ভিসিং না করা হয় তবে গিজারে স্কেলিং ঘটতে পারে, যার ফলে গিজারের হিটিং রডের জলে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম জমা হতে পারে। এতে আরও ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
যা সবচেয়ে খারাপ, তা হল এক্ষেত্রে অনেকসময় আমাদের গিজার লিক করতে পারে বা ফেটে যেতে পারে। গিজার সার্ভিসিং কখন প্রয়োজন? যদি গিজার শব্দ করতে শুরু করে।
যদি গিজার ফুটা হতে শুরু করে। যদি গিজার পানি গরম করতে সময় নেয়। যদি বিদ্যুতের আলো না জ্বলে বা বার বার বন্ধ হয়ে যায়। সূএ: ঢাকা মেইল ডটকম