শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলছেন, উচ্চ মাধ্যমিকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে নতুন পাঠ্যবইয়ের সংকট দ্রুত পুষিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। আজ বুধবার ঢাকা কলেজে একাদশ শ্রেণির নবীন শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী দুই শিক্ষাবর্ষে করোনার ক্ষতি পুষিয়ে উঠা হবে। করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের এখন নিয়মিত ক্লাস হবে। এখানে শিক্ষকরাও যেমন চেষ্টা করবেন, তেমনি শিক্ষার্থীদেরও চেষ্টা করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষাস্তরে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়। তবে মাধ্যমিকে সীমিত সংখ্যক ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। গত দুটা বছর তাদের পড়াশোনায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। অনেকে পারিবারিক-সামাজিক এক ধরনের ট্রমার মধ্যে ছিল। তারা সেই সময়টাকে পার করে এসেছে। আমরা আশা করবো আগামী দিনগুলোতে আগের যে ঘাটতি সেটা পুষিয়ে নেওয়ার। এখানে শিক্ষকরাও যেমন চেষ্টা করবেন, তেমনি শিক্ষার্থীদেরও চেষ্টা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের আজকে প্রাথমিকের ক্লাস শুরু হলো। আমরা আশা করছি আমাদের মাধ্যমিকেও শিগগিরই স্বাভাবিক জায়গায় চলে যাবার চেষ্টা করবো। যেখানে ঘাটতি রয়েছে সেখানে নজর দেব বেশি। আমরা হয়তো এক শিক্ষাবর্ষে সব ঘাটতি পূরণ করতে পারবো না কিন্তু আগামী শিক্ষাবর্ষে সেটুকু পূরণ করতে পারবো।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাবে এইচএসসি দিয়ে, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে কথা বলবো। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দিককার অন্তত কয়েকটি সপ্তাহ যদি তারা যে বিষয় পড়বে, সে বিষয় আগের ক্লাসে পড়ে এসেছে সেখানে যদি ঘাটতি থাকে সেটার প্রাথমিক একটা অ্যাসেসমেন্ট করে নিয়ে সেখানে যদি ক্লাস করিয়ে নেয় তাহলে সেটা পূরণ করা যাবে।,