এবিএম মূসার জন্মবার্ষিকী আজ

ফাইল ফটো

 

প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্ট এবিএম মূসার ৯৩তম ও বাংলাদেশ নারী সাংবাদিকতার অন্যতম অগ্রদূত সেতারা মূসার ৮৪তম জন্মবার্ষিকী  আজ। এ উপলক্ষে আজ বেলা ১১টায় এবিএম মূসা-সেতারা মূসা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আজীবন সম্মাননা প্রদান ও স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেককে অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হবে।

 

‘গণমাধ্যমে জেন্ডার পরিসর : নারীর নির্মিতি এবং নারীর অংশগ্রহণ’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা উপস্থাপনা করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. গোলাম রহমান।

এবিএম মূসা

 

এবিএম মূসা ১৯৩১ সালে তার নানার বাড়ি ফেনী জেলার ধর্মপুর গ্রামে জন্ম নেন এবং ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এবিএম মূসা দীর্ঘ ৬৪ বছর ধরে সাংবাদিকতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। ১৯৫০ সালে দৈনিক ইনসাফ থেকে তার সাংবাদিকতার জীবন শুরু হয়। ওই বছরে তিনি ইংরেজি দৈনিক পাকিস্তান অবজারভারে যোগ দেন।

 

১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান অবজারভারে রিপোর্টার, স্পোর্টস রিপোর্টার, বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় তৎকালীন পাকিস্তান সরকার পাকিস্তান অবজারভার বন্ধ করে দিলে তিনি সংবাদে যোগ দেন। ১৯৫৪ সালে তিনি অবজারভারে ফিরে আসেন। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় বিবিসি, সানডে টাইমস প্রভৃতি পত্রিকার সংবাদদাতা হিসেবে তিনি রণাঙ্গন থেকে সংবাদ প্রেরণ করতেন।

 

স্বাধীনতার পর তিনি বিটিভির মহাব্যবস্থাপক, মর্নিং নিউজের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৮ সালে এবিএম মূসা ব্যাংককে অবস্থিত জাতিসংঘের পরিবেশ কার্যক্রমের (এসকাপ) এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলে আঞ্চলিক পরিচালক পদে যোগ দেন। দেশে ফিরে এসে ১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বংলাদেশ সংবাদ সংস্থার মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান সম্পাদক ছিলেন।

 

২০০৪ সালে তিনি কিছুদিন দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এবিএম মূসা জাতীয় প্রেস ক্লাবের চারবার সভাপতি এবং তিনবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এবিএম মূসা একুশে পদকসহ দেশি বিদেশি নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এবিএম মূসা জীবনের শেষ দিনগুলোতে একজন দর্শক প্রিয় আলোচক এবং সংবাদ বিশ্লেষক হিসেবে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে গেছেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থ ‘মুজিব ভাই’ ও ‘আমার বেলা যে যায়’।

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বিএনপি নেতাদের সতর্ক থাকার আহ্বান রিজভীর

» বাংলাদেশ ভ্রমণে কানাডার সতর্কতা জারি

» জনগণের ৭০ ভাগ পিআরের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে: মতিউর রহমান আকন্দ

» বদরুদ্দীন উমর ছিলেন বহু রাজনীতিবীদের শিক্ষক: মির্জা ফখরুল

» বিএনপি সেই গণতন্ত্রের কথা বলে, যে গণতন্ত্রে মানুষ ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে  : ড. মঈন খান

» সুন্দরবনের উপকূলের বাগেরহাটে শাপলা বিক্রি করেই চলছে দিনমজুর হানিফের সংসার, সরকারী সহায়তা বঞ্চিত!

» লালমনিরহাটে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রস্তুত ৪ শত ৬৮ টি পূজা মন্ডব

» আগৈলঝাড়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয় মুখ ললিতা সরকার শিক্ষা ও নৃত্যকলায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত

» ঢাকা থেকে জামালপুরের আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

» গানের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল না করলে সরকারকে বাধ্য করার হুমকি ওলামা পরিষদের

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

এবিএম মূসার জন্মবার্ষিকী আজ

ফাইল ফটো

 

প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্ট এবিএম মূসার ৯৩তম ও বাংলাদেশ নারী সাংবাদিকতার অন্যতম অগ্রদূত সেতারা মূসার ৮৪তম জন্মবার্ষিকী  আজ। এ উপলক্ষে আজ বেলা ১১টায় এবিএম মূসা-সেতারা মূসা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আজীবন সম্মাননা প্রদান ও স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেককে অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হবে।

 

‘গণমাধ্যমে জেন্ডার পরিসর : নারীর নির্মিতি এবং নারীর অংশগ্রহণ’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা উপস্থাপনা করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. গোলাম রহমান।

এবিএম মূসা

 

এবিএম মূসা ১৯৩১ সালে তার নানার বাড়ি ফেনী জেলার ধর্মপুর গ্রামে জন্ম নেন এবং ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এবিএম মূসা দীর্ঘ ৬৪ বছর ধরে সাংবাদিকতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। ১৯৫০ সালে দৈনিক ইনসাফ থেকে তার সাংবাদিকতার জীবন শুরু হয়। ওই বছরে তিনি ইংরেজি দৈনিক পাকিস্তান অবজারভারে যোগ দেন।

 

১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান অবজারভারে রিপোর্টার, স্পোর্টস রিপোর্টার, বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় তৎকালীন পাকিস্তান সরকার পাকিস্তান অবজারভার বন্ধ করে দিলে তিনি সংবাদে যোগ দেন। ১৯৫৪ সালে তিনি অবজারভারে ফিরে আসেন। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় বিবিসি, সানডে টাইমস প্রভৃতি পত্রিকার সংবাদদাতা হিসেবে তিনি রণাঙ্গন থেকে সংবাদ প্রেরণ করতেন।

 

স্বাধীনতার পর তিনি বিটিভির মহাব্যবস্থাপক, মর্নিং নিউজের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৮ সালে এবিএম মূসা ব্যাংককে অবস্থিত জাতিসংঘের পরিবেশ কার্যক্রমের (এসকাপ) এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলে আঞ্চলিক পরিচালক পদে যোগ দেন। দেশে ফিরে এসে ১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বংলাদেশ সংবাদ সংস্থার মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান সম্পাদক ছিলেন।

 

২০০৪ সালে তিনি কিছুদিন দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এবিএম মূসা জাতীয় প্রেস ক্লাবের চারবার সভাপতি এবং তিনবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এবিএম মূসা একুশে পদকসহ দেশি বিদেশি নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এবিএম মূসা জীবনের শেষ দিনগুলোতে একজন দর্শক প্রিয় আলোচক এবং সংবাদ বিশ্লেষক হিসেবে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে গেছেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থ ‘মুজিব ভাই’ ও ‘আমার বেলা যে যায়’।

 

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com