২০ লাখ টাকা ছিনতাই পুলিশ কনস্টেবলসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৭ মে

ছবি সংগৃহীত

ব্যবসায়ীর ২০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে করা মামলায় দুই পুলিশ কনস্টেবলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৭ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

 

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন।

এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুনের এক কর্মচারী ব্যাগে ২০ লাখ টাকা নিয়ে আইএফআইসি ব্যাংকের পল্টন শাখায় জমা দিতে যান। সেখানে দুই পুলিশ সদস্য ‘ওয়ারেন্ট’ আছে বলে তাকে ব্যাংকের বাইরে এনে ব্যাগটি নিয়ে নেন।

 

এরপর তাকে একটি মোটরসাইকেলে বসিয়ে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে নামিয়ে দেন। ব্যবসায়ী মামুন ঘটনাটি পুলিশকে জানালে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ছিনতাইকারী হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সদস্য মাহবুব ও আসিফকে ১০ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়।

পরে বাসাবো থেকে শাহজাহান ও রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। রাসেলের বাসা থেকে বাকি ১০ লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা হয় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

মামলার পর ডেমরা পুলিশ লাইনসের দুই কনস্টেবল মাহাবুব আলী ও আছিফ ইকবাল এবং তাদের তিন সহযোগী শাহাজান, হৃদয় ও রাসেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহাবুব প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই সুমিত কুমার সাহা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  সূএঃজাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ৭ কলেজের মঙ্গলবারের পরীক্ষা স্থগিত

» অটোরিকশা চালকদের বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করার আহ্বান

» আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

» নির্বাচিত সরকারই দেশ পুনর্গঠন করতে পারে: তারেক রহমান

» অতিরিক্ত দেনমোহর দাবি: ছেলের হাতে বাবা খুন

» অস্ত্রসহ ১৪ ডাকাত গ্রেফতার

» ইয়াবাসহ দুইজনকে গ্রেফতার

» বদলে যাচ্ছে ফেসবুক মেসেঞ্জার

» সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

» রাষ্ট্রের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলেরও সংস্কার প্রয়োজন : সেলিমা রহমান

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

২০ লাখ টাকা ছিনতাই পুলিশ কনস্টেবলসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৭ মে

ছবি সংগৃহীত

ব্যবসায়ীর ২০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে করা মামলায় দুই পুলিশ কনস্টেবলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৭ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

 

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন।

এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টার দিকে ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুনের এক কর্মচারী ব্যাগে ২০ লাখ টাকা নিয়ে আইএফআইসি ব্যাংকের পল্টন শাখায় জমা দিতে যান। সেখানে দুই পুলিশ সদস্য ‘ওয়ারেন্ট’ আছে বলে তাকে ব্যাংকের বাইরে এনে ব্যাগটি নিয়ে নেন।

 

এরপর তাকে একটি মোটরসাইকেলে বসিয়ে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে নামিয়ে দেন। ব্যবসায়ী মামুন ঘটনাটি পুলিশকে জানালে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ছিনতাইকারী হৃদয়কে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সদস্য মাহবুব ও আসিফকে ১০ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়।

পরে বাসাবো থেকে শাহজাহান ও রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। রাসেলের বাসা থেকে বাকি ১০ লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা হয় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

মামলার পর ডেমরা পুলিশ লাইনসের দুই কনস্টেবল মাহাবুব আলী ও আছিফ ইকবাল এবং তাদের তিন সহযোগী শাহাজান, হৃদয় ও রাসেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহাবুব প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই সুমিত কুমার সাহা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  সূএঃজাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com