রাশ্মিকার পর কাজলের ভিডিও ভাইরাল

সংগৃহীত ছবি

 

দক্ষিণী সিনেমা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশ্মিকার মুখ প্রযুক্তির ব্যবহার করে অন্য নারীর ভিডিওতে যুক্ত করে দেওয়া হয়। সেই ভুয়া ভিডিও রীতিমতো তোলপাড় ফেলে দেয় ইন্টারনেটে। শেষ পর্যন্ত আইনের সহায়তা নেন এই অভিনেত্রী।

এর এক সপ্তাহ পরেই ক্যাটরিনা কাইফের একটি ছবি একই রকমভাবে ভাইরাল হয়। সেটি নিয়েও উত্তপ্ত হয় সামাজিক মাধ্যম। এবার ডিপফেক প্রযুক্তির শিকার হলেন বলিউডের তারকা অভিনেত্রী কাজল। অভিনেত্রী কাজলের একটি ডিপফেক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।

কাজল পোশাক পরিবর্তন করছেন, এমন ভিডিওটি নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় চলছে ইন্টারনেটে। ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এই ভিডিওটি বানানো হয়েছে। যদিও মূল ভিডিওটি একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারের। ভিডিওটিতে কাজলের মুখ এডিট করে বসানো হয়েছে।

আসল ভিডিওটি ‘গেট রেডি উইথ মি’ ট্রেন্ডের একটি ভিডিও ছিল, যা গত ৫ জুন টিকটকে আপলোড করা হয়েছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাজলের ভক্তরাও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। রাশ্মিকার মতো আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানাচ্ছেন অভিনেত্রীকে। যদিও এই ভিডিও প্রসঙ্গে এখনো মুখ খোলেননি কাজল।

রাশ্মিকার ডিপফেক ভিডিও নিয়ে মামলার পর মাঠে নেমেছে পুলিশ। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে একজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও সব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরমকে অভিযোগ দায়েরের ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে এ ধরনের কন্টেট সরানোর কথা বলা হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগিয়ে ভুয়া ছবি, ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা ক্রমে বেড়েই চলেছে। ‘ডিপফেক’ মূলত এমন প্রযুক্তি, যার সাহায্যে কারো ছবি বা ভিডিও এমনভাবে এডিট করে দেওয়া যাতে আপাতদৃষ্টিতে আসল-নকলের পার্থক্য বোঝা কঠিন হয়ে যায়। এখন এর জন্য AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।

তাই এমন পরিস্থিতিতে ভারতের ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরমগুলোর জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। অনলাইনে এ ধরনের ‘ডিপফেক’ ভিডিও ভাইরাল হলে কী কী শাস্তি হতে পারে, তা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তথ্য-প্রযুক্তি আইন ২০০০-এর ৬৬-ডি ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, কম্পিউটার রিসোর্সকে কাজে লাগিয়ে যদি কেউ যোগাযোগের মাধ্যমকে ভুলভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে, কিংবা কোনো ব্যক্তির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়, তাহলে তিন বছর পর্যন্ত জেল এবং এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, প্রত্যেক ভারতীয় যাতে সুরক্ষিত থাকে সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। নাগরিকদের অনলাইন নিরাপত্তা এবং তাদের বিশ্বাস অর্জন করাই মোদি সরকারের কাজ।

সূএ:ডেইলি-বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আন্দোলন কারো জন্যই কল্যাণ বয়ে আনবে না : রিজভী

» হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেলেন নুরুল হক নুর

» দোহায় তৌহিদ হোসেন-ইসহাক দার বৈঠক

» বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়াতে প্রস্তুত ঢাকা

» যমুনা অভিমুখে প্রাথমিক শিক্ষকরা, পুলিশের জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

» জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহযোগিতা করা হবে: আসিফ মাহমুদ

» নবীর আদর্শ মনে প্রাণে ধারণ করে জীবন গঠন হবে ….. জেলা প্রশাসক নরসিংদী 

» ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশের উত্তরা ক্যাম্পাসে ইয়াং লার্নার ইংলিশ লার্নিং সেন্টার-এর নতুন শাখা চালু করল ব্রিটিশ কাউন্সিল

» ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’-এর অধীনে ব্র্যাক ব্যাংকের দেশব্যাপী আর্থিক সাক্ষরতা প্রোগ্রাম আয়োজন

» নওগাঁয় ডিবি পুলিশের অভিযানে মাদক কারবারি স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ আটক ৩

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

রাশ্মিকার পর কাজলের ভিডিও ভাইরাল

সংগৃহীত ছবি

 

দক্ষিণী সিনেমা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশ্মিকার মুখ প্রযুক্তির ব্যবহার করে অন্য নারীর ভিডিওতে যুক্ত করে দেওয়া হয়। সেই ভুয়া ভিডিও রীতিমতো তোলপাড় ফেলে দেয় ইন্টারনেটে। শেষ পর্যন্ত আইনের সহায়তা নেন এই অভিনেত্রী।

এর এক সপ্তাহ পরেই ক্যাটরিনা কাইফের একটি ছবি একই রকমভাবে ভাইরাল হয়। সেটি নিয়েও উত্তপ্ত হয় সামাজিক মাধ্যম। এবার ডিপফেক প্রযুক্তির শিকার হলেন বলিউডের তারকা অভিনেত্রী কাজল। অভিনেত্রী কাজলের একটি ডিপফেক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।

কাজল পোশাক পরিবর্তন করছেন, এমন ভিডিওটি নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় চলছে ইন্টারনেটে। ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এই ভিডিওটি বানানো হয়েছে। যদিও মূল ভিডিওটি একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারের। ভিডিওটিতে কাজলের মুখ এডিট করে বসানো হয়েছে।

আসল ভিডিওটি ‘গেট রেডি উইথ মি’ ট্রেন্ডের একটি ভিডিও ছিল, যা গত ৫ জুন টিকটকে আপলোড করা হয়েছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাজলের ভক্তরাও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। রাশ্মিকার মতো আইনি ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানাচ্ছেন অভিনেত্রীকে। যদিও এই ভিডিও প্রসঙ্গে এখনো মুখ খোলেননি কাজল।

রাশ্মিকার ডিপফেক ভিডিও নিয়ে মামলার পর মাঠে নেমেছে পুলিশ। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে একজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও সব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরমকে অভিযোগ দায়েরের ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে এ ধরনের কন্টেট সরানোর কথা বলা হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগিয়ে ভুয়া ছবি, ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা ক্রমে বেড়েই চলেছে। ‘ডিপফেক’ মূলত এমন প্রযুক্তি, যার সাহায্যে কারো ছবি বা ভিডিও এমনভাবে এডিট করে দেওয়া যাতে আপাতদৃষ্টিতে আসল-নকলের পার্থক্য বোঝা কঠিন হয়ে যায়। এখন এর জন্য AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।

তাই এমন পরিস্থিতিতে ভারতের ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরমগুলোর জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। অনলাইনে এ ধরনের ‘ডিপফেক’ ভিডিও ভাইরাল হলে কী কী শাস্তি হতে পারে, তা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তথ্য-প্রযুক্তি আইন ২০০০-এর ৬৬-ডি ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, কম্পিউটার রিসোর্সকে কাজে লাগিয়ে যদি কেউ যোগাযোগের মাধ্যমকে ভুলভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে, কিংবা কোনো ব্যক্তির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়, তাহলে তিন বছর পর্যন্ত জেল এবং এক লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, প্রত্যেক ভারতীয় যাতে সুরক্ষিত থাকে সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। নাগরিকদের অনলাইন নিরাপত্তা এবং তাদের বিশ্বাস অর্জন করাই মোদি সরকারের কাজ।

সূএ:ডেইলি-বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com