প্রধানমন্ত্রীর সফলতা ও জাতীয় উন্নয়ন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম  : কতদিন পেরিয়ে এলামতেমন বুঝতেই পারলামনা মহান স্রষ্টারাব্বুল আল আমিনেরসৃষ্টি কৌশল।যাকে কোলে নিয়েছি, কাঁখে নিয়েছি তারা দাদা-দাদি, নানা-নানি, তাঐ-মাঐ।

অথচ কখনোমনেই হয় নাএই তো সেদিনআমি গ্রামের ধুলোপথেছুটোছুটি করছি।কিন্তু কীভাবে সময় বয়েচলেছে।

মাননীয়প্রধানমন্ত্রী বোন হাসিনা২ সেপ্টেম্বর শের-ই-বাংলানগর, পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে এক্সপ্রেসওয়েউদ্বোধন করেছেন।

সবকিছুইবেশ ভালো হয়েছে। ঢাকারদিক থেকে এক্সপ্রেসওয়েপ্রথম ব্যবহার করেছি ৫সেপ্টেম্বর ২০২৩ সাল।

গিয়েছিলাম গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটিরসভায়। সময়লেগেছিল সাড়ে ৭ মিনিট।

আবার৯ সেপ্টেম্বর একইজায়গায় গিয়েছিলাম। আগেরদিন ধীরে গেছি।

কিন্তু৯ তারিখ চালককেবলেছিলাম, তুমি ৯০ কিলোমিটারেযাও। দরকারপড়লে আরও বেশি।

এক্সপ্রেসওয়েতেউঠে দেখলাম প্রায়সবাই আমাদের পিছেফেলে যাচ্ছে।গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার। কিন্তুমুখ্য প্রস্তাবে ৮০ কিলোমিটারছিল। ৬০ কিলোমিটার হলে আমিএকজন মুক্তিযোদ্ধা তাতেনিশ্চয়ই ১০ কিলোমিটাররেয়াত পেতে পারি।

বীরউত্তম খেতাব পেয়েছি তাতেও১০ কিলোমিটার।

সবার আগে একমাত্রকাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান হিসেবেদেশের পিতার পায়ের কাছেলাখ লাখ অস্ত্রবিছিয়ে দিয়েছি।

তারজন্যেও তো ২-৪-১০কিলোমিটার রেয়াত হতে পারে। তাইগতি বাড়াতে কোনোআপত্তি ছিল না।

রাস্তাটাভালো থাকলে ৬০তো দূরের কথা১২০ কিলোমিটারেও ছোটগাড়ি চললে সমস্যাহবে না।

এর আগেগত বছর ২৫জুন পদ্মা সেতুরশুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেগিয়েছিলাম।

খুবগুরুত্বপূর্ণ দাওয়াতপত্র দেওয়া হয়ঠিকই কিন্তু কোনোরাষ্ট্রাচার নেই।ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্যরাওসামনের সিট দখলকরে বসে থাকে। কেএকজন একেবারেই পশ্চিমেরশেষ আসনে আমাকেবসিয়ে ছিলেন। বামেহুইলচেয়ারে ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহচৌধুরী, পেছনেই ছিলেন ভারতেররাষ্ট্রদূত বিক্রমকুমার দোরাইস্বামী, এরপর ডানদিকে কয়েকমন্ত্রী, হুইপ, ৫ বা৬ জনের পরবহুদিন পর পুতুলকেদেখেছিলাম। কিন্তুও যেমন ওঠেএসে বলেনি, মামাকেমন আছ? আমিওকেন যেন ওঠেযাইনি। পরেমনে হয়েছে ভুলটাআমারই হয়েছে। আমিকখনো অমন করিনা। সেইঅনুষ্ঠানে পদ্মার উল্টা পাড়ে১০ লাখ লোকেরজমায়েত করতে চেয়েছিল আওয়ামীলীগ। কিন্তুতা হয়নি।তবে সম্মানজনক উপস্থিতিছিল। আমারযা চোখে বাধেতা বলি। আমার বন্ধু যেমনআছে, শত্রুও আছেঅনেক। কারণএখনো বহু লোকপাকিস্তানের জন্য কাঁদে।কারণ পশ্চিমাদের গলগ্রহইতাদের সম্বল। আমরাপরাজিত হলে বঙ্গবন্ধুরযেমন ফাঁসি হতো, যেভাবে অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়েপড়েছিলাম আমাকেও চুমা খেতনা। ফাঁসিরকড়কড়ে দড়িতে ঝুলাত।তাই রক্ত দিয়েঅর্জন করা দেশেরজন্য বড় বেশিলাগে। বহুজায়গায় বহুবার বলেছি, আজওবলছি রাজনীতিতে নাএলে বঙ্গবন্ধুকে নাপেলে দেশকে চিনতামনা, ‘জননী জন্মভূমিস্বর্গাদপি গরীয়সী’ শুধু শুনতামহৃদয়ে লালন করতে পারতামনা। পৃথিবীরশ্রেষ্ঠ সম্পদ প্রেম। ‘জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর’ এসবইহতো কথার কথা, হৃদয়ের কথা হতোনা। বড় ভাই লতিফসিদ্দিকীর কারণে রাজনীতিতে এসেছিলাম। রাজনীতিতেএসেই বঙ্গবন্ধুর আস্থাও বিশ্বাস অর্জনকরেছিলাম। তারভালোবাসা ¯ন্ডেœহ মমতায়দেশকে, দেশের মানুষকে ভালোবাসতেশিখেছিলাম। আজআমার কাছে আমারমায়ের সান্নিধ্য সন্তান-সন্ততিরউত্তাপ, সহধর্মিণীর আগলে রাখারমতো আমার মাতৃভূমি। গাছপালা, তরুলতা, কীটপতঙ্গ, পশুপাখি সবকিছুকেআল্লাহর দান হিসেবেবুকের মধ্যে আপনা-আপনিস্থান করে নিয়েছেন। ৩-৪ বছরআগে আমার কুশি১০০ টাকা দিয়েকারও কাছ থেকেএকটা বিড়াল এনেছিল। বাইরেরবিড়ালরা প্রায় সব সময়মারপিট করে।ছোট বলে মারখেয়ে ঘরে ফিরত। আস্তেআস্তে বড় হয়েছে। আমিখেতে বসলেই আমারচেয়ার অথবা পায়ের ওপরসামনের দুপা উঁচু করেতাকিমাকি করে।সে আজ কদিনহাসপাতালে। আমিঅবাক হয়েছি আমাদেরবাড়ির পাশের এক মহিলাজাফরিন জান্নাত পশু ডাক্তার। তাকেনিয়ে হাসপাতালে ভর্তিকরেছে, অপারেশন করেছে।প্রায় ১৫ দিনবিড়ালটি বাড়ি নেই। মাঝেমধ্যেই দেখতে ইচ্ছাকরে। কেনবিড়ালকে দেখতে ইচ্ছা করেআমি তার জবাবদিতে পারব না, কিন্তু করে।পরিবারের সমাজের একেবারে অপদার্থসন্তান আমি।আল্লাহর দয়ায় এতদূর এসেছি। কতমানুষ হাত চেপেধরে, কত মানুষদোয়া কামনা করে, কত মানুষ দোয়াকরে। তাইমনের ভিতরের কোনোকান্না চেপে রাখি না, চেপে রাখতে পারিনা। অন্তরাত্মাহৃদয় যখন যাবলে তার বাইরেযাই না। ইদানীং আমাকে গুলিকরে মেরে ফেলাযত সহজ, মতেরবাইরে কথা বলানোতত সহজ নয়। খুবইসত্য দুই যুগআওয়ামী লীগ ছেড়েছি। আওয়ামীলীগ সরকারের অনেককর্মকান্ডের সঙ্গে আমার দ্বিমতআছে। কিন্তুএক মুহূর্তের জন্যপিতাকে ছাড়িনি, বঙ্গবন্ধুকে ছাড়িনি, আমৃত্যু ছাড়বও না। বঙ্গবন্ধুই আমার আদর্শ, আমার দলের আদর্শ, আমাদের নেতা, দলের নেতা। এটাকেউ যদি নাবুঝে বা বুঝতেনা চায় তাহলেআমার কিছু করারনেই। ভবিষ্যতেকোনো দিন বোনহাসিনার সফলতা ব্যর্থতা নিয়েযখন চুলচেরা বিশ্লেষণহবে ইতিহাসের পাতায়ঠাঁই নেবেন তখনপদ্মা সেতু নির্মাণ বোনশেখ হাসিনার জন্যঅন্যতম প্রধান কীর্তি হিসেবেপরিগণিত হবে।সম্রাট শাজাহান যেমন তাজমহলেরজন্য অমর হয়েআছেন, ঠিক তেমনিপদ্মা সেতু নির্মাণের জন্যআমার বোন বাংলাদেশতথা বিশ্বের ইতিহাসেএকজন প্রধানতম ব্যক্তিহিসেবে আলোচিত হবেন অথবাপ্রতিষ্ঠা পাবেন। পদ্মাসেতু শুভ উদ্বোধনেযাকে নিয়ে এতকথাবার্তা উলোটপালট সেই সৈয়দআবুল হোসেনকে মাননীয়প্রধানমন্ত্রী বোন হাসিনাপাশে নিয়েছিলেন।এটা শুধু সৈয়দআবুল হোসেনকে সম্মাননয়, এটা তারকর্মকে সম্মান, সমগ্র জাতিকেসম্মান। এক্সপ্রেসওয়েরওশুরুর দিকে সৈয়দ আবুলহোসেন ছিলেন। সূচনারসময় প্রস্তরফলক উন্মোচনেমাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পাশে যেহেতু তিনিছিলেন সমাপ্তি অনুষ্ঠানেও তাকেযথাযথ মর্যাদা দেওয়া হলেমঞ্চে ডেকে নিলে দেশবাসীরসামনে দুকথা বলবার সুযোগদিলে যারা অনুষ্ঠানকরেছেন তারা লাভবান হতেন। এসম্মান শুধু সৈয়দ আবুলহোসেনের হতো না, এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহআমাদের সবার হতো। ওই দিনেরঅনুষ্ঠানে মাননীয় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীআ ক মমোজাম্মেল হক আসনপাচ্ছিলেন না।আমার খুব খারাপলেগেছে। তিনিএখন এক নম্বরমন্ত্রী। বোনেরপরেই তার স্থান। একটিসরকারি অনুষ্ঠানে যদি মর্যাদানা পান তাহলেরাষ্ট্রাচার কোথায় গিয়ে ঠেকেছেএকটু তো ভাবতেইহবে। ভারতেছিলাম ১৬ বছর। মাননীয়প্রধানমন্ত্রী, মহামান্য রাষ্ট্রপতি, এমনকিঅনেক জাতীয় অনুষ্ঠানেগুরুত্বপূর্ণ অতিথি হিসেবে গেছি। সেখানেপ্রবীণদের যে অসাধারণসম্মান দেখেছি গুরুত্ব দেখেছিতা ভাবা যায়না। আজ যিনি মন্ত্রী, কালনাও থাকতে পারেন। নতুনএমপি হতে পারেন, নতুন মন্ত্রী হতেপারেন। কিন্তুতিনি যদি যথার্থনেতা হন, তারজায়গা মন্ত্রী থাকতে যা, মন্ত্রিত্ব না থাকতেওতাই থাকা দরকার। আজথেকে বেশ কয়েকবছর আগে সোহরাওয়ার্দীউদ্যানে আওয়ামী লীগের একঅনুষ্ঠানে লক্ষ্য করেছিলাম, জননেতাতোফায়েল আহমেদ বাঁশের বেড়ারবাইরে দর্শকের আসনে বসেছিলেনআর মঞ্চে ছিলেননূহ-উল আলমলেনিন। তিনিতখন খুব সম্ভবতপ্রেসিডিয়ামের সদস্য। ’৬৯-এর ২২ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু কারাগার থেকেবেরিয়ে ছিলেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি জাতির পক্ষথেকে ’৬৯-এরগণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক তোফায়েল আহমেদেরমাধ্যমে শেখ মুজিবকেবঙ্গবন্ধু খেতাবে ভূষিত করাহয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি আর ২৪মার্চ মাত্র এক মাসেরমধ্যে কোনো দিন ঢাকাপল্টন ময়দানে কোনো একজনসভায় এই নূহ-উল আলমলেনিন তারস্বরে বলেছিলেন, ‘এইতোফায়েল, তগোর বঙ্গবন্ধু নাচঙ্গবন্ধু এই তাকেটুকরো টুকরো করলাম।’ বলেই তার হাতেথাকা বঙ্গবন্ধুর নামেরবেশ কয়েকটি লিফলেটছিঁড়ে টুকরো টুকরো করেউড়িয়ে দেওয়ার ছবি আজওআমার চোখে ভাসে, কানের ভিতর অনুরণন সৃষ্টিকরে। তাইনা বলে থাকতেপারি না। আমি ইন্টারনেটেরকিছু বুঝি না। মোবাইলেরতেমন কোনো সুবিধানিতে পারি না। কিন্তুতবু হঠাৎ হঠাৎচোখের সামনে কিছু ভেসেউঠলে তা এড়িয়েযেতে পারি না। মনেহয় অল্পবয়সী কারওস্ট্যাটাস দেখলাম। তিনিবলেছেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীবীরউত্তম মাঝেসাজে বলেন ছাত্রইউনিয়ন নেত্রী মতিয়া চৌধুরীবঙ্গবন্ধুর পিঠের চামড়া দিয়েডুগডুগি বাজাতে চেয়েছেন, জুতাবানাতে চেয়েছেন। অন্যকোনো কোনো নেতানাকি বলেছেন, তোমাদেরজাতির পিতা আমাদের জুতারফিতা। কিন্তুঅনেক ঘাঁটাঘাঁটি করেগুগল, ইউটিউবে কোনো প্রমাণবের করতে পারলামনা। ছোট্টবন্ধুটিকে কী বলব? এর আবার প্রমাণ! আপনি এখনই পাকিস্তানহোম মিনিস্ট্রিতে চিঠিলিখুন। আইবি, ডিআইবি রিপোর্টে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের কর্মকান্ড সবপেয়ে যাবেন।বোন মতিয়া চৌধুরীআমার থেকে ৫-৬ বছরেরবড়। উনিআওয়ামী লীগে এসেছেন ’৮৩সালে। আমাদেরপিতাকে হত্যা করা হয়েছে ’৭৫ সালে।খুব সম্ভবত ’৭৬থেকে ’৭৮-’৭৯সাল পর্যন্ত ময়মনসিংহেরশম্ভুগঞ্জে স্বেচ্ছাশ্রমে ব্রহ্মপুত্র নদ খননকরার কাজ হয়েছে। সেখানেমতিয়া চৌধুরী তার দলনিয়ে সাধারণ অংশগ্রহণকারীদেরউদ্বুদ্ধ করতে না হলেও১০-১২ বারগেছেন। আমরাতখন বঙ্গবন্ধু হত্যারপ্রতিরোধে সীমান্তে ছিলাম।সেখানে তার বক্তৃতারস্বকণ্ঠ রেকর্ড এখনো আছে। আরশুধু রেকর্ড লাগবেকেন, ময়মনসিংহ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা নালিতাবাড়ীর বাদশা, যদিও সে মারাগেছে। মুক্তিযুদ্ধেকাদেরিয়া বাহিনীতে প্রচুর ভূমিকারেখেছে। যুদ্ধআরও দীর্ঘস্থায়ী হলেনিশ্চয়ই আরও অনেকভালো কাজ করত, বিরাট নাম করত। বর্তমানকৃষিমন্ত্রী ড. আবদুররাজ্জাক তখনো ময়মনসিংহ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন। মনেহয় তাকে জিজ্ঞেসকরলেও তিনি কিছু নাকিছু অবশ্যই বলতেপারবেন। এছাড়া ছাত্রনেতা প্রদীপআমেরিকায় আছে।খোঁজ নিয়ে দেখা যেতেপারে। তা যাক।এসব নিয়ে আজতেমন আলোচনা করতেচাইনি। তবুএসে গেল তাইদুকথা লিখলাম। স্বাধীনতারপর পল্টনে চারজননারী হরণকারী লুটেরাকেসভায় উপস্থিত দুই-আড়াই লাখ জনগণেরনির্দেশে কাদেরিয়া বাহিনী মৃত্যুদন্ডদিয়েছিল। সেনিয়ে কত তোলপাড়। স্বাধীন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ক্যান্টনমেন্টের বাড়িটি খালেদা জিয়াকে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি আলালের

» থানায় এসে কেউ যেন সেবা বঞ্চিত না হয়: ডিএমপি কমিশনার

» ফ্যাসিস্ট শক্তি বিদায় হওয়ার পর আমরা আজ কথা বলতে পারছি

» অটোরিকশা চালকদের জুরাইন রেলগেট অবরোধ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ

» মাদক মামলার ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

» বিশেষ অভিযানে ২ দিনে কিশোর গ্যাং দলের সন্দেহে ১৯ জন আটক

» পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ওয়ান শুটারগান ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার

» ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, সতর্ক থাকতে হবে: উপদেষ্টা আদিলুর রহমান

» ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি

» ভাষা সৈনিক আজিজুল জলিল আর নেই

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

প্রধানমন্ত্রীর সফলতা ও জাতীয় উন্নয়ন

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম  : কতদিন পেরিয়ে এলামতেমন বুঝতেই পারলামনা মহান স্রষ্টারাব্বুল আল আমিনেরসৃষ্টি কৌশল।যাকে কোলে নিয়েছি, কাঁখে নিয়েছি তারা দাদা-দাদি, নানা-নানি, তাঐ-মাঐ।

অথচ কখনোমনেই হয় নাএই তো সেদিনআমি গ্রামের ধুলোপথেছুটোছুটি করছি।কিন্তু কীভাবে সময় বয়েচলেছে।

মাননীয়প্রধানমন্ত্রী বোন হাসিনা২ সেপ্টেম্বর শের-ই-বাংলানগর, পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে এক্সপ্রেসওয়েউদ্বোধন করেছেন।

সবকিছুইবেশ ভালো হয়েছে। ঢাকারদিক থেকে এক্সপ্রেসওয়েপ্রথম ব্যবহার করেছি ৫সেপ্টেম্বর ২০২৩ সাল।

গিয়েছিলাম গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটিরসভায়। সময়লেগেছিল সাড়ে ৭ মিনিট।

আবার৯ সেপ্টেম্বর একইজায়গায় গিয়েছিলাম। আগেরদিন ধীরে গেছি।

কিন্তু৯ তারিখ চালককেবলেছিলাম, তুমি ৯০ কিলোমিটারেযাও। দরকারপড়লে আরও বেশি।

এক্সপ্রেসওয়েতেউঠে দেখলাম প্রায়সবাই আমাদের পিছেফেলে যাচ্ছে।গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার। কিন্তুমুখ্য প্রস্তাবে ৮০ কিলোমিটারছিল। ৬০ কিলোমিটার হলে আমিএকজন মুক্তিযোদ্ধা তাতেনিশ্চয়ই ১০ কিলোমিটাররেয়াত পেতে পারি।

বীরউত্তম খেতাব পেয়েছি তাতেও১০ কিলোমিটার।

সবার আগে একমাত্রকাদেরিয়া বাহিনীর প্রধান হিসেবেদেশের পিতার পায়ের কাছেলাখ লাখ অস্ত্রবিছিয়ে দিয়েছি।

তারজন্যেও তো ২-৪-১০কিলোমিটার রেয়াত হতে পারে। তাইগতি বাড়াতে কোনোআপত্তি ছিল না।

রাস্তাটাভালো থাকলে ৬০তো দূরের কথা১২০ কিলোমিটারেও ছোটগাড়ি চললে সমস্যাহবে না।

এর আগেগত বছর ২৫জুন পদ্মা সেতুরশুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেগিয়েছিলাম।

খুবগুরুত্বপূর্ণ দাওয়াতপত্র দেওয়া হয়ঠিকই কিন্তু কোনোরাষ্ট্রাচার নেই।ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্যরাওসামনের সিট দখলকরে বসে থাকে। কেএকজন একেবারেই পশ্চিমেরশেষ আসনে আমাকেবসিয়ে ছিলেন। বামেহুইলচেয়ারে ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহচৌধুরী, পেছনেই ছিলেন ভারতেররাষ্ট্রদূত বিক্রমকুমার দোরাইস্বামী, এরপর ডানদিকে কয়েকমন্ত্রী, হুইপ, ৫ বা৬ জনের পরবহুদিন পর পুতুলকেদেখেছিলাম। কিন্তুও যেমন ওঠেএসে বলেনি, মামাকেমন আছ? আমিওকেন যেন ওঠেযাইনি। পরেমনে হয়েছে ভুলটাআমারই হয়েছে। আমিকখনো অমন করিনা। সেইঅনুষ্ঠানে পদ্মার উল্টা পাড়ে১০ লাখ লোকেরজমায়েত করতে চেয়েছিল আওয়ামীলীগ। কিন্তুতা হয়নি।তবে সম্মানজনক উপস্থিতিছিল। আমারযা চোখে বাধেতা বলি। আমার বন্ধু যেমনআছে, শত্রুও আছেঅনেক। কারণএখনো বহু লোকপাকিস্তানের জন্য কাঁদে।কারণ পশ্চিমাদের গলগ্রহইতাদের সম্বল। আমরাপরাজিত হলে বঙ্গবন্ধুরযেমন ফাঁসি হতো, যেভাবে অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়েপড়েছিলাম আমাকেও চুমা খেতনা। ফাঁসিরকড়কড়ে দড়িতে ঝুলাত।তাই রক্ত দিয়েঅর্জন করা দেশেরজন্য বড় বেশিলাগে। বহুজায়গায় বহুবার বলেছি, আজওবলছি রাজনীতিতে নাএলে বঙ্গবন্ধুকে নাপেলে দেশকে চিনতামনা, ‘জননী জন্মভূমিস্বর্গাদপি গরীয়সী’ শুধু শুনতামহৃদয়ে লালন করতে পারতামনা। পৃথিবীরশ্রেষ্ঠ সম্পদ প্রেম। ‘জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর’ এসবইহতো কথার কথা, হৃদয়ের কথা হতোনা। বড় ভাই লতিফসিদ্দিকীর কারণে রাজনীতিতে এসেছিলাম। রাজনীতিতেএসেই বঙ্গবন্ধুর আস্থাও বিশ্বাস অর্জনকরেছিলাম। তারভালোবাসা ¯ন্ডেœহ মমতায়দেশকে, দেশের মানুষকে ভালোবাসতেশিখেছিলাম। আজআমার কাছে আমারমায়ের সান্নিধ্য সন্তান-সন্ততিরউত্তাপ, সহধর্মিণীর আগলে রাখারমতো আমার মাতৃভূমি। গাছপালা, তরুলতা, কীটপতঙ্গ, পশুপাখি সবকিছুকেআল্লাহর দান হিসেবেবুকের মধ্যে আপনা-আপনিস্থান করে নিয়েছেন। ৩-৪ বছরআগে আমার কুশি১০০ টাকা দিয়েকারও কাছ থেকেএকটা বিড়াল এনেছিল। বাইরেরবিড়ালরা প্রায় সব সময়মারপিট করে।ছোট বলে মারখেয়ে ঘরে ফিরত। আস্তেআস্তে বড় হয়েছে। আমিখেতে বসলেই আমারচেয়ার অথবা পায়ের ওপরসামনের দুপা উঁচু করেতাকিমাকি করে।সে আজ কদিনহাসপাতালে। আমিঅবাক হয়েছি আমাদেরবাড়ির পাশের এক মহিলাজাফরিন জান্নাত পশু ডাক্তার। তাকেনিয়ে হাসপাতালে ভর্তিকরেছে, অপারেশন করেছে।প্রায় ১৫ দিনবিড়ালটি বাড়ি নেই। মাঝেমধ্যেই দেখতে ইচ্ছাকরে। কেনবিড়ালকে দেখতে ইচ্ছা করেআমি তার জবাবদিতে পারব না, কিন্তু করে।পরিবারের সমাজের একেবারে অপদার্থসন্তান আমি।আল্লাহর দয়ায় এতদূর এসেছি। কতমানুষ হাত চেপেধরে, কত মানুষদোয়া কামনা করে, কত মানুষ দোয়াকরে। তাইমনের ভিতরের কোনোকান্না চেপে রাখি না, চেপে রাখতে পারিনা। অন্তরাত্মাহৃদয় যখন যাবলে তার বাইরেযাই না। ইদানীং আমাকে গুলিকরে মেরে ফেলাযত সহজ, মতেরবাইরে কথা বলানোতত সহজ নয়। খুবইসত্য দুই যুগআওয়ামী লীগ ছেড়েছি। আওয়ামীলীগ সরকারের অনেককর্মকান্ডের সঙ্গে আমার দ্বিমতআছে। কিন্তুএক মুহূর্তের জন্যপিতাকে ছাড়িনি, বঙ্গবন্ধুকে ছাড়িনি, আমৃত্যু ছাড়বও না। বঙ্গবন্ধুই আমার আদর্শ, আমার দলের আদর্শ, আমাদের নেতা, দলের নেতা। এটাকেউ যদি নাবুঝে বা বুঝতেনা চায় তাহলেআমার কিছু করারনেই। ভবিষ্যতেকোনো দিন বোনহাসিনার সফলতা ব্যর্থতা নিয়েযখন চুলচেরা বিশ্লেষণহবে ইতিহাসের পাতায়ঠাঁই নেবেন তখনপদ্মা সেতু নির্মাণ বোনশেখ হাসিনার জন্যঅন্যতম প্রধান কীর্তি হিসেবেপরিগণিত হবে।সম্রাট শাজাহান যেমন তাজমহলেরজন্য অমর হয়েআছেন, ঠিক তেমনিপদ্মা সেতু নির্মাণের জন্যআমার বোন বাংলাদেশতথা বিশ্বের ইতিহাসেএকজন প্রধানতম ব্যক্তিহিসেবে আলোচিত হবেন অথবাপ্রতিষ্ঠা পাবেন। পদ্মাসেতু শুভ উদ্বোধনেযাকে নিয়ে এতকথাবার্তা উলোটপালট সেই সৈয়দআবুল হোসেনকে মাননীয়প্রধানমন্ত্রী বোন হাসিনাপাশে নিয়েছিলেন।এটা শুধু সৈয়দআবুল হোসেনকে সম্মাননয়, এটা তারকর্মকে সম্মান, সমগ্র জাতিকেসম্মান। এক্সপ্রেসওয়েরওশুরুর দিকে সৈয়দ আবুলহোসেন ছিলেন। সূচনারসময় প্রস্তরফলক উন্মোচনেমাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পাশে যেহেতু তিনিছিলেন সমাপ্তি অনুষ্ঠানেও তাকেযথাযথ মর্যাদা দেওয়া হলেমঞ্চে ডেকে নিলে দেশবাসীরসামনে দুকথা বলবার সুযোগদিলে যারা অনুষ্ঠানকরেছেন তারা লাভবান হতেন। এসম্মান শুধু সৈয়দ আবুলহোসেনের হতো না, এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহআমাদের সবার হতো। ওই দিনেরঅনুষ্ঠানে মাননীয় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীআ ক মমোজাম্মেল হক আসনপাচ্ছিলেন না।আমার খুব খারাপলেগেছে। তিনিএখন এক নম্বরমন্ত্রী। বোনেরপরেই তার স্থান। একটিসরকারি অনুষ্ঠানে যদি মর্যাদানা পান তাহলেরাষ্ট্রাচার কোথায় গিয়ে ঠেকেছেএকটু তো ভাবতেইহবে। ভারতেছিলাম ১৬ বছর। মাননীয়প্রধানমন্ত্রী, মহামান্য রাষ্ট্রপতি, এমনকিঅনেক জাতীয় অনুষ্ঠানেগুরুত্বপূর্ণ অতিথি হিসেবে গেছি। সেখানেপ্রবীণদের যে অসাধারণসম্মান দেখেছি গুরুত্ব দেখেছিতা ভাবা যায়না। আজ যিনি মন্ত্রী, কালনাও থাকতে পারেন। নতুনএমপি হতে পারেন, নতুন মন্ত্রী হতেপারেন। কিন্তুতিনি যদি যথার্থনেতা হন, তারজায়গা মন্ত্রী থাকতে যা, মন্ত্রিত্ব না থাকতেওতাই থাকা দরকার। আজথেকে বেশ কয়েকবছর আগে সোহরাওয়ার্দীউদ্যানে আওয়ামী লীগের একঅনুষ্ঠানে লক্ষ্য করেছিলাম, জননেতাতোফায়েল আহমেদ বাঁশের বেড়ারবাইরে দর্শকের আসনে বসেছিলেনআর মঞ্চে ছিলেননূহ-উল আলমলেনিন। তিনিতখন খুব সম্ভবতপ্রেসিডিয়ামের সদস্য। ’৬৯-এর ২২ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু কারাগার থেকেবেরিয়ে ছিলেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি জাতির পক্ষথেকে ’৬৯-এরগণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক তোফায়েল আহমেদেরমাধ্যমে শেখ মুজিবকেবঙ্গবন্ধু খেতাবে ভূষিত করাহয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি আর ২৪মার্চ মাত্র এক মাসেরমধ্যে কোনো দিন ঢাকাপল্টন ময়দানে কোনো একজনসভায় এই নূহ-উল আলমলেনিন তারস্বরে বলেছিলেন, ‘এইতোফায়েল, তগোর বঙ্গবন্ধু নাচঙ্গবন্ধু এই তাকেটুকরো টুকরো করলাম।’ বলেই তার হাতেথাকা বঙ্গবন্ধুর নামেরবেশ কয়েকটি লিফলেটছিঁড়ে টুকরো টুকরো করেউড়িয়ে দেওয়ার ছবি আজওআমার চোখে ভাসে, কানের ভিতর অনুরণন সৃষ্টিকরে। তাইনা বলে থাকতেপারি না। আমি ইন্টারনেটেরকিছু বুঝি না। মোবাইলেরতেমন কোনো সুবিধানিতে পারি না। কিন্তুতবু হঠাৎ হঠাৎচোখের সামনে কিছু ভেসেউঠলে তা এড়িয়েযেতে পারি না। মনেহয় অল্পবয়সী কারওস্ট্যাটাস দেখলাম। তিনিবলেছেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীবীরউত্তম মাঝেসাজে বলেন ছাত্রইউনিয়ন নেত্রী মতিয়া চৌধুরীবঙ্গবন্ধুর পিঠের চামড়া দিয়েডুগডুগি বাজাতে চেয়েছেন, জুতাবানাতে চেয়েছেন। অন্যকোনো কোনো নেতানাকি বলেছেন, তোমাদেরজাতির পিতা আমাদের জুতারফিতা। কিন্তুঅনেক ঘাঁটাঘাঁটি করেগুগল, ইউটিউবে কোনো প্রমাণবের করতে পারলামনা। ছোট্টবন্ধুটিকে কী বলব? এর আবার প্রমাণ! আপনি এখনই পাকিস্তানহোম মিনিস্ট্রিতে চিঠিলিখুন। আইবি, ডিআইবি রিপোর্টে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের কর্মকান্ড সবপেয়ে যাবেন।বোন মতিয়া চৌধুরীআমার থেকে ৫-৬ বছরেরবড়। উনিআওয়ামী লীগে এসেছেন ’৮৩সালে। আমাদেরপিতাকে হত্যা করা হয়েছে ’৭৫ সালে।খুব সম্ভবত ’৭৬থেকে ’৭৮-’৭৯সাল পর্যন্ত ময়মনসিংহেরশম্ভুগঞ্জে স্বেচ্ছাশ্রমে ব্রহ্মপুত্র নদ খননকরার কাজ হয়েছে। সেখানেমতিয়া চৌধুরী তার দলনিয়ে সাধারণ অংশগ্রহণকারীদেরউদ্বুদ্ধ করতে না হলেও১০-১২ বারগেছেন। আমরাতখন বঙ্গবন্ধু হত্যারপ্রতিরোধে সীমান্তে ছিলাম।সেখানে তার বক্তৃতারস্বকণ্ঠ রেকর্ড এখনো আছে। আরশুধু রেকর্ড লাগবেকেন, ময়মনসিংহ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা নালিতাবাড়ীর বাদশা, যদিও সে মারাগেছে। মুক্তিযুদ্ধেকাদেরিয়া বাহিনীতে প্রচুর ভূমিকারেখেছে। যুদ্ধআরও দীর্ঘস্থায়ী হলেনিশ্চয়ই আরও অনেকভালো কাজ করত, বিরাট নাম করত। বর্তমানকৃষিমন্ত্রী ড. আবদুররাজ্জাক তখনো ময়মনসিংহ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন। মনেহয় তাকে জিজ্ঞেসকরলেও তিনি কিছু নাকিছু অবশ্যই বলতেপারবেন। এছাড়া ছাত্রনেতা প্রদীপআমেরিকায় আছে।খোঁজ নিয়ে দেখা যেতেপারে। তা যাক।এসব নিয়ে আজতেমন আলোচনা করতেচাইনি। তবুএসে গেল তাইদুকথা লিখলাম। স্বাধীনতারপর পল্টনে চারজননারী হরণকারী লুটেরাকেসভায় উপস্থিত দুই-আড়াই লাখ জনগণেরনির্দেশে কাদেরিয়া বাহিনী মৃত্যুদন্ডদিয়েছিল। সেনিয়ে কত তোলপাড়। স্বাধীন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com