রজবের ইবাদতেই কাটবে গুনাহের আসক্তি!

এমন অনেক মানুষ আছে, যারা গুনাহের কাজে আসক্ত, আবার অনেকেই নিজেদের মধ্যে ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে চান কিন্তু মনেপ্রাণে চাওয়া সত্ত্বেও গুনাহের কাজ থেকে বেরিয়ে আসা বা ভালো অভ্যাস গড়ে তোলা সম্ভব হয় না। তাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ রজব মাস। এই রজব মাসের আমল-ইবাদতের চর্চাই গুনাহের আসক্তি থেকে মুক্তি দিতে পারে; ভালো অভ্যাস গড়ে তোলার উপায় হতে পারে। কিন্তু কীভাবে?

 

রজব মাসে আমল ইবাদতের চর্চায় ভালো অভ্যাস গঠন এবং গুনাহের কাজের আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করেছেন ইসলামিক গবেষক ও উলামায়ে কেরাম। কারণ-

‘আশহুরে হুরুমের (৪ মাস : রজব, জিলকদ, জিলহজ এবং মহররম) বৈশিষ্ট্য হলো- এসব মাসের (ভালো হওয়ার প্রচেষ্টা) ইবাদতের প্রতি যত্নবান হলে, (বছরের) বাকি মাসগুলোতে ইবাদতের (ভালো কাজের) তাওফিক হয়। আর আশহুরে হুরুমে (মাসগুলোতে) কষ্ট করে গুনাহ থেকে বিরত থাকতে পারলে, অন্যান্য মাসেও গুনাহ পরিহার করা সহজ হয়।’ (আহকামুল কোরআন, মারেফুল কোরআন)

আশহুরে হুরুম অর্থাৎ সম্মানিত মাস চারটি। এ চার মাসের একটি হলো- রজব মাস। এ মাসের ভালো কাজের প্রচেষ্টায় মন্দ কাজ থেকে মুক্ত হওয়া অনেকাংশেই সহজ। কেননা এ মাসে মন্দ কাজ পরিহার করা মহান আল্লাহর নির্দেশ।

 

মনে রাখতে হবে
গুনাহে আসক্ত ব্যক্তির গুনাহ ত্যাগ করা কিংবা বদ অভ্যাসে নিয়োজিত ব্যক্তির ভালো অভ্যাস গড়া; হুট করে একদিনেই সম্ভব নয়; আর তা একদিনে আয়ত্ব করাও সম্ভব নয়। এর জন্য গুনাহ ছাড়ার এবং ভালো অভ্যাস গড়ার চর্চার বিকল্প নেই। কারণ ঈমান ধরে রাখার কিংবা ঈমান বৃদ্ধির জন্যও চর্চার প্রয়োজন। তাই আশহুরে হুরুমের এ মর্যাদার মাসে সে প্রচেষ্টা শুরু করাই ঈমানের একান্ত দাবি।

 

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশ্বমানবতার জন্য রমজানের দুই মাস আগে থেকেই এ চর্চার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়েছেন। যেন রমজান আসার আগেই রজব ও শাবান মাসে নিজেদের আমল-ইবাদতের মাধ্যমে রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত পাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া যায়।

এ কারণেই ইসলামি গবেষক ও উলামায়ে কেরামগণ বলেন-
ভালো ফসলের জন্য যেমন প্রথমে ভালোভাবে জমি প্রস্তুত করতে হয়। তারপর সেই জমি যত্ন সহকারে চাষ করতে হয়; তাতে সুন্দর ও উত্তম বীজ বপন করতে হয়। তারপরই কৃষকের যত্নের ফলে উত্তম ফসল ফলানোর প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়। ঠিক রজব মাসও তেমন। এ মাসে যারা নিজেদের পরিচর্যা করবে; তারাই ভালো ও উত্তম প্রাপ্তি পাবে আল্লাহর কাছে। মুমিনের জন্য এ সময়টি হলো- রজব মাস।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রজব মাসে নিজেদের বদ অভ্যাগ ত্যাগ করার তাওফিক দান করুন। গুনাহের আসক্তি থেকে বের হয়ে আসার তাওফিক দান করুন। নিজেদের ঈমান বৃদ্ধির চর্চা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বিএনপি নেতাদের সতর্ক থাকার আহ্বান রিজভীর

» বাংলাদেশ ভ্রমণে কানাডার সতর্কতা জারি

» জনগণের ৭০ ভাগ পিআরের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে: মতিউর রহমান আকন্দ

» বদরুদ্দীন উমর ছিলেন বহু রাজনীতিবীদের শিক্ষক: মির্জা ফখরুল

» বিএনপি সেই গণতন্ত্রের কথা বলে, যে গণতন্ত্রে মানুষ ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে  : ড. মঈন খান

» সুন্দরবনের উপকূলের বাগেরহাটে শাপলা বিক্রি করেই চলছে দিনমজুর হানিফের সংসার, সরকারী সহায়তা বঞ্চিত!

» লালমনিরহাটে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রস্তুত ৪ শত ৬৮ টি পূজা মন্ডব

» আগৈলঝাড়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয় মুখ ললিতা সরকার শিক্ষা ও নৃত্যকলায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত

» ঢাকা থেকে জামালপুরের আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

» গানের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল না করলে সরকারকে বাধ্য করার হুমকি ওলামা পরিষদের

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

রজবের ইবাদতেই কাটবে গুনাহের আসক্তি!

এমন অনেক মানুষ আছে, যারা গুনাহের কাজে আসক্ত, আবার অনেকেই নিজেদের মধ্যে ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে চান কিন্তু মনেপ্রাণে চাওয়া সত্ত্বেও গুনাহের কাজ থেকে বেরিয়ে আসা বা ভালো অভ্যাস গড়ে তোলা সম্ভব হয় না। তাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ রজব মাস। এই রজব মাসের আমল-ইবাদতের চর্চাই গুনাহের আসক্তি থেকে মুক্তি দিতে পারে; ভালো অভ্যাস গড়ে তোলার উপায় হতে পারে। কিন্তু কীভাবে?

 

রজব মাসে আমল ইবাদতের চর্চায় ভালো অভ্যাস গঠন এবং গুনাহের কাজের আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করেছেন ইসলামিক গবেষক ও উলামায়ে কেরাম। কারণ-

‘আশহুরে হুরুমের (৪ মাস : রজব, জিলকদ, জিলহজ এবং মহররম) বৈশিষ্ট্য হলো- এসব মাসের (ভালো হওয়ার প্রচেষ্টা) ইবাদতের প্রতি যত্নবান হলে, (বছরের) বাকি মাসগুলোতে ইবাদতের (ভালো কাজের) তাওফিক হয়। আর আশহুরে হুরুমে (মাসগুলোতে) কষ্ট করে গুনাহ থেকে বিরত থাকতে পারলে, অন্যান্য মাসেও গুনাহ পরিহার করা সহজ হয়।’ (আহকামুল কোরআন, মারেফুল কোরআন)

আশহুরে হুরুম অর্থাৎ সম্মানিত মাস চারটি। এ চার মাসের একটি হলো- রজব মাস। এ মাসের ভালো কাজের প্রচেষ্টায় মন্দ কাজ থেকে মুক্ত হওয়া অনেকাংশেই সহজ। কেননা এ মাসে মন্দ কাজ পরিহার করা মহান আল্লাহর নির্দেশ।

 

মনে রাখতে হবে
গুনাহে আসক্ত ব্যক্তির গুনাহ ত্যাগ করা কিংবা বদ অভ্যাসে নিয়োজিত ব্যক্তির ভালো অভ্যাস গড়া; হুট করে একদিনেই সম্ভব নয়; আর তা একদিনে আয়ত্ব করাও সম্ভব নয়। এর জন্য গুনাহ ছাড়ার এবং ভালো অভ্যাস গড়ার চর্চার বিকল্প নেই। কারণ ঈমান ধরে রাখার কিংবা ঈমান বৃদ্ধির জন্যও চর্চার প্রয়োজন। তাই আশহুরে হুরুমের এ মর্যাদার মাসে সে প্রচেষ্টা শুরু করাই ঈমানের একান্ত দাবি।

 

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশ্বমানবতার জন্য রমজানের দুই মাস আগে থেকেই এ চর্চার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়েছেন। যেন রমজান আসার আগেই রজব ও শাবান মাসে নিজেদের আমল-ইবাদতের মাধ্যমে রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত পাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া যায়।

এ কারণেই ইসলামি গবেষক ও উলামায়ে কেরামগণ বলেন-
ভালো ফসলের জন্য যেমন প্রথমে ভালোভাবে জমি প্রস্তুত করতে হয়। তারপর সেই জমি যত্ন সহকারে চাষ করতে হয়; তাতে সুন্দর ও উত্তম বীজ বপন করতে হয়। তারপরই কৃষকের যত্নের ফলে উত্তম ফসল ফলানোর প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়। ঠিক রজব মাসও তেমন। এ মাসে যারা নিজেদের পরিচর্যা করবে; তারাই ভালো ও উত্তম প্রাপ্তি পাবে আল্লাহর কাছে। মুমিনের জন্য এ সময়টি হলো- রজব মাস।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রজব মাসে নিজেদের বদ অভ্যাগ ত্যাগ করার তাওফিক দান করুন। গুনাহের আসক্তি থেকে বের হয়ে আসার তাওফিক দান করুন। নিজেদের ঈমান বৃদ্ধির চর্চা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com