লক্ষ্মীপুরে যৌতুক না পেয়ে এক গৃহবধুকে হাত-পা বেঁধে মাধা ন্যাড়া করে নির্মম নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে শশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের ১৫ ঘণ্টা পর ভুক্তভোগী ওই গৃহবধুকে স্থানীয় এলাকাবাসী ও স্বজনরা উদ্ধার করলেও এ ঘটনায় এখনো থানায় কোন মামলা হয়নি। আটকও হয়নি কেউ। বর্তমানে ওই গৃহবধূ শশুর বাড়ি এলাকার এক প্রতিবেশীর ঘরে আশ্রিত রয়েছে।
পুলিশ বলছে, ঘটনার তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় এলাকাবাসী, ভিকটিম নারী ও তার পরিবারের সদস্যরা জানায়, সাড়ে ৩ বছর পূর্বে ভোলার ইলিশা এলাকার বাসিন্দা আলমগীরের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় লক্ষ্মীপুর সদরের চররমনি মোহন এলাকার বাসিন্দা কাঞ্চন মাঝির ছেলে মো. হাসান এর সাথে। বিয়ের কিছুদিন অতিবাহিত হলেই তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো তার শাশুড়ী, ননদ ও স্বামী হাসান। দরিদ্র বাবা যৌতুকের টাকা দেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় নিরবে নির্যাতন সহ্য করে আসছিলো রুমা। গত রবিবার রাতে দাবিকৃত তিন লক্ষ টাকা না দেওয়ায় স্বামী, শাশুড়ী ও ননদ তাকে হাত-পা বেঁধে ব্লেড দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে ঘরে আটক করে রাখে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। পরে তার স্বামী বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে কৌশলে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে বিষয়টি জানায় সে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেন সজিবসহ এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে। বর্তমানে ওই নারী প্রতিবেশীর কাছে আশ্রিত রয়েছে।
এ ঘটনায় বিচার দাবি করেন ভুক্তভোগী, স্বজন ও এলাকাবাসী।
এদিকে যৌতুক দাবিতে মাথা ন্যাড়া করে নির্যাতনের ঘটনা অস্বীকার করেন ভুক্তভোগীর ননদ পাখি বেগম। তিনি বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে তার স্বামী চুল কেটে দেয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেন সজিব বলেন, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূকে মাথা ন্যাড়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন মুঠোফোনে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।