কবরস্থানের ঠিক মাঝেই চা দোকান, ভয়ে কাঁপে শরীর!

ছবি: সংগৃহীত

 

মন ও শরীর ফুরফুরে করতে চায়ের উপরেই ভরসা করেন অনেকে। আর চায়ের দোকান হল আপামর বাঙালির ডাক্তারখানা। সেখানে গিয়ে চা খেয়ে একটু শান্তি পাওয়া যাবে, এমনটাই সকলের আশা থাকে। কিন্তু ভেবে দেখুন তো, চা খেতে খেতে যদি ভয়ে কাঁপেন? চা যতই গরম হোক, হাত পা যদি ঠান্ডা হয়ে আসে। সেই অনুভূতি কি আদৌ সুখের?

অনেকেই বলবেন, এসব জায়গায় পা-ই দেব না। অন্য দোকানে চা খাব। কিন্তু সত্যি বলতে, ভয়ের জায়গা বলেই চা খেতে সেখানে দলে দলে যাচ্ছে লোকেরা। এমনকি বাইরে থেকেও সেখানে চা খেতে লোকে ভিড় করে। কী এমন দোকান, সেটাই ভাবছেন তো? আসুন জেনে নেয়া যাক।

আহমেদাবাদ একটি দোকানের কথাই আদতে বলছি। এই চায়ের দোকানটি আসলে কবরস্থানের ঠিক মাঝেই। এমনকি চায়ের দোকানের ভেতরেও বেশ কয়েক জায়গায় রয়েছে। তবে সে দোকানে রীতিমতো বসে চা খাওয়ার বন্দোবস্ত রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে রেস্তোরাঁর মতো ঝাঁ চকচকে ব্যবস্থা। কিন্তু এতো আয়োজন থাকলেও আপনার গা ছমছম করতে পারে। তার কারণ একটাই। এই চায়ের দোকানের মাঝে থাকা কবরগুলো।

কী ভাবছেন? এভাবে কী করে চায়ের দোকানটা চলছে? আসলে এভাবেই চলছে আহমেদাবাদের লাকি টি স্টল। দুএক বছর নয়, টানা ৭২ বছর ধরে এই দোকানটি এভাবেই চলছে। শুধু তাই নয়, চা প্রেমীদের কাছে একটি বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠেছে এই দোকান।

আহমেদাবাদের লাল দরওয়াজার কাছে লাকি টি স্টলে এসে চা খেয়ে গিয়েছেন বিশ্বখ্যাত শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেন। শুধু চা খেয়েছেন তা নয়, সঙ্গে একটি ছবিও উপহার দিয়ে গিয়েছেন দোকানের মালিককে। ১৯৯৪ সালে পাওয়া সেই উপহার আজও রয়েছে দোকানের একদিকের দেওয়ালে।

প্রসঙ্গত, এই দোকানের মালিক হলেন কৃষ্ণ কুট্টি। যখন জমিটি কেনেন, তখন জানতেন না এটি একটি কবরস্থান। কিন্তু জানার পরেও নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি। সেই কবরস্থানের মধ্যেই গড়ে তোলেন নিজের স্বপ্নের চায়ের দোকান। আদৌ লোক আসবে কিনা সেই নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব আশঙ্কাই মিথ্যা হয়েছে। চায়ের দোকানের নাম গুজরাটের গণ্ডি ছাড়িয়ে সারা দেশেই ছড়িয়ে গিয়েছে।  সূএ : ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» এনসিপির ডিপ্লোমা প্রকৌশল উইংয়ের আত্মপ্রকাশ

» শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের সহযোগী শুটার বিপু গ্রেফতার

» নারী কমিশনের প্রতিবেদনের কিছু সুপারিশ সরাসরি কোরআনবিরোধী: জামায়াত আমির

» পল্টনে বহুতল ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৭ ইউনিট

» শাপলা গণহত্যার বিচার দাবিতে বিভাগীয় শহরে ছাত্রশিবিরের মানবপ্রাচীর কর্মসূচি

» আগ্নেয়াস্ত্রসহ দুই ব্যক্তি আটক

» এনসিপির সমাবেশের অর্ধেক লোক ছিল ভাড়া করা: যুবদল সভাপতি

» দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সবাই উচ্ছ্বসিত : মির্জা ফখরুল

» হেফাজত রাজনীতিতে যাবে না কিন্তু রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করবে: আব্বাসী

» সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যায় অংশ নেন দুইজন

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

কবরস্থানের ঠিক মাঝেই চা দোকান, ভয়ে কাঁপে শরীর!

ছবি: সংগৃহীত

 

মন ও শরীর ফুরফুরে করতে চায়ের উপরেই ভরসা করেন অনেকে। আর চায়ের দোকান হল আপামর বাঙালির ডাক্তারখানা। সেখানে গিয়ে চা খেয়ে একটু শান্তি পাওয়া যাবে, এমনটাই সকলের আশা থাকে। কিন্তু ভেবে দেখুন তো, চা খেতে খেতে যদি ভয়ে কাঁপেন? চা যতই গরম হোক, হাত পা যদি ঠান্ডা হয়ে আসে। সেই অনুভূতি কি আদৌ সুখের?

অনেকেই বলবেন, এসব জায়গায় পা-ই দেব না। অন্য দোকানে চা খাব। কিন্তু সত্যি বলতে, ভয়ের জায়গা বলেই চা খেতে সেখানে দলে দলে যাচ্ছে লোকেরা। এমনকি বাইরে থেকেও সেখানে চা খেতে লোকে ভিড় করে। কী এমন দোকান, সেটাই ভাবছেন তো? আসুন জেনে নেয়া যাক।

আহমেদাবাদ একটি দোকানের কথাই আদতে বলছি। এই চায়ের দোকানটি আসলে কবরস্থানের ঠিক মাঝেই। এমনকি চায়ের দোকানের ভেতরেও বেশ কয়েক জায়গায় রয়েছে। তবে সে দোকানে রীতিমতো বসে চা খাওয়ার বন্দোবস্ত রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে রেস্তোরাঁর মতো ঝাঁ চকচকে ব্যবস্থা। কিন্তু এতো আয়োজন থাকলেও আপনার গা ছমছম করতে পারে। তার কারণ একটাই। এই চায়ের দোকানের মাঝে থাকা কবরগুলো।

কী ভাবছেন? এভাবে কী করে চায়ের দোকানটা চলছে? আসলে এভাবেই চলছে আহমেদাবাদের লাকি টি স্টল। দুএক বছর নয়, টানা ৭২ বছর ধরে এই দোকানটি এভাবেই চলছে। শুধু তাই নয়, চা প্রেমীদের কাছে একটি বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠেছে এই দোকান।

আহমেদাবাদের লাল দরওয়াজার কাছে লাকি টি স্টলে এসে চা খেয়ে গিয়েছেন বিশ্বখ্যাত শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেন। শুধু চা খেয়েছেন তা নয়, সঙ্গে একটি ছবিও উপহার দিয়ে গিয়েছেন দোকানের মালিককে। ১৯৯৪ সালে পাওয়া সেই উপহার আজও রয়েছে দোকানের একদিকের দেওয়ালে।

প্রসঙ্গত, এই দোকানের মালিক হলেন কৃষ্ণ কুট্টি। যখন জমিটি কেনেন, তখন জানতেন না এটি একটি কবরস্থান। কিন্তু জানার পরেও নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি। সেই কবরস্থানের মধ্যেই গড়ে তোলেন নিজের স্বপ্নের চায়ের দোকান। আদৌ লোক আসবে কিনা সেই নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব আশঙ্কাই মিথ্যা হয়েছে। চায়ের দোকানের নাম গুজরাটের গণ্ডি ছাড়িয়ে সারা দেশেই ছড়িয়ে গিয়েছে।  সূএ : ডেইলি-বাংলাদেশ ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com