বগুড়া জেলা ছাত্রলীগ নেতা তাকবির হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন পারভেজ আল মুক্তাদির (২১) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেফতারকৃত পারভেজ শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের চাকলমা মুন্সিপাড়া গ্রামের ফজলে মাবুদ শাহিনের ছেলে।
শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে শহরের পুরান বগুড়ার তাসিন ছাত্রাবাস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে একটি সচল থ্রি নট থ্রি রাইফেল ও ম্যাগাজিনসহ দুইটি অত্যাধুনিক ছুরি উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।
আজ রবিবার দুপুর ১২টায় ডিবি পুলিশ তাদের নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মামুন তাকবির হত্যায় নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। হত্যা মামলায় তার নাম না থাকলেও ঘটনার পরই গ্রেফতারর হওয়া আল-আমিনের আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে পারভেজের নাম উঠে আসে। ঘটনার পর থেকে নিজেকে বাঁচাতে তিনি গা ঢাকা দেন। গতকাল শনিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুরান বগুড়া থেকে পারভেজ আল মুক্তাদিরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছে ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরী জানান, গ্রেফতার পারভেজ আল মুক্তাদিরকে আদালতে পাঠানো হবে। সেখানে তিনি স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি না দিলে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
প্রসঙ্গত, বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে ২০২১ সালের ১১ মার্চ রাতে শহরের সাতমাথায় দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে গুরুতর আহত করে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবির ইসলামকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ মার্চ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
ওই ঘটনায় নিহত তাকবিরের মা আফরোজা ইসলাম বাদী হয়ে সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রউফসহ ২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৭ মার্চ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি অভিযুক্ত আব্দুর রউফকে সংগঠন থেকে বহিস্কার করে। এরপর চারমাস পলাতক থাকার পর ২০ জুলাই রউফ বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।