নারীদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়তে পারে যেসব কারণে

সংগৃহীত ছবি

 

পুরুষের তুলনায় নারীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এমনটাই জানাচ্ছে ‘সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর গবেষণা। সম্প্রতি এক গবেষণা অনুযায়ী, আমেরিকায় প্রতি পাঁচজন নারীর মধ্যে এক জন হার্ট অ্যাটাকের কারণে মারা যান। ‘দ্য ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনেও একই ধরনের তথ্য দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে নারীদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। 

 

অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীদের হৃদরোগের উপসর্গগুলি পুরুষদের থেকে আলাদা হয়। বিভিন্ন সমীক্ষা অনুযায়ী, নারীদের ক্ষেত্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে বুকে ব্যথা হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায় না। কী কারণে নারীদের হৃদরোগ হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ 

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। এই সব রোগের কারণে রক্তনালিগুলো সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়ে। বাধা তৈরি হয় রক্ত প্রবাহে। যার ফলে হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ পড়ে। কার্ডিয়োভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।

 

মানসিক চাপ 

মানসিক চাপের কারণেও নারীদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হৃদরোগের অন্যতম বড় অনুঘটক। সুস্থ থাকতে অবশ্যই দৈনিক ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। কর্মব্যস্ততা ও অবসাদের কারণে অনেক নারীই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। এতেও ঝুঁকি বাড়ে।

 

ঋতুবন্ধ 

৪৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাধারণত নারীদের ঋতুবন্ধ হয়। পিরিয়ড পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। যার ফলে বেড়ে যায় হৃদরোগের আশঙ্কা।

 

নিজের শরীরের ব্যাপারে সচেতন হোন। অন্তত ৬ মাস পর পর সাধারণ চেকআপ করান। এতে বড় ধরনের বিপদ থেকে বেঁচে যাবেন।

সূএ : ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে কারিকুলাম প্রণয়নের আহ্বান

» উপজেলা নির্বাচন : ৩ দিনের জন্য বন্ধ হচ্ছে বাইক চলাচল

» তীব্র দাবদাহ মোকাবিলায় দেশব্যপী বাংলালিংক-এর বিনামূল্যে পানি ও স্যালাইন বিতরণ

» শিগগিরই অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের বিধিমালা জারি – সংসদীয় কমিটিকে ভূমি মন্ত্রণালয়

» ক্র্যাব (CRAB) থেকে আবারও ব্র্যাক ব্যাংকের ‘এএএ’ ক্রেডিট রেটিং অর্জন

» নারীদের মধ্যে কেন বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি

» সোমবার থেকে শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ

» বরিশালে বাস চলাচল শুরু

» বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া ভোটের অংশ: হানিফ

» চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে যা জানালেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

নারীদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়তে পারে যেসব কারণে

সংগৃহীত ছবি

 

পুরুষের তুলনায় নারীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এমনটাই জানাচ্ছে ‘সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর গবেষণা। সম্প্রতি এক গবেষণা অনুযায়ী, আমেরিকায় প্রতি পাঁচজন নারীর মধ্যে এক জন হার্ট অ্যাটাকের কারণে মারা যান। ‘দ্য ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনেও একই ধরনের তথ্য দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে নারীদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। 

 

অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীদের হৃদরোগের উপসর্গগুলি পুরুষদের থেকে আলাদা হয়। বিভিন্ন সমীক্ষা অনুযায়ী, নারীদের ক্ষেত্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে বুকে ব্যথা হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায় না। কী কারণে নারীদের হৃদরোগ হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ 

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। এই সব রোগের কারণে রক্তনালিগুলো সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়ে। বাধা তৈরি হয় রক্ত প্রবাহে। যার ফলে হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ পড়ে। কার্ডিয়োভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।

 

মানসিক চাপ 

মানসিক চাপের কারণেও নারীদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব হৃদরোগের অন্যতম বড় অনুঘটক। সুস্থ থাকতে অবশ্যই দৈনিক ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। কর্মব্যস্ততা ও অবসাদের কারণে অনেক নারীই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। এতেও ঝুঁকি বাড়ে।

 

ঋতুবন্ধ 

৪৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাধারণত নারীদের ঋতুবন্ধ হয়। পিরিয়ড পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। যার ফলে বেড়ে যায় হৃদরোগের আশঙ্কা।

 

নিজের শরীরের ব্যাপারে সচেতন হোন। অন্তত ৬ মাস পর পর সাধারণ চেকআপ করান। এতে বড় ধরনের বিপদ থেকে বেঁচে যাবেন।

সূএ : ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com