পেঁপের কেজি ৮০, করলার সেঞ্চুরি!

সংগৃহীত ছবি

 

মাছ মাংস ও সবজির বাজার দিন দিন আরও চড়া হচ্ছে। বিশেষ করে সবজির দাম অনেকটা আকাশ ছোঁয়া। বাজারে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে, আর করলা ১০০ টাকা কেজি। 

 

শুক্রবার (১২ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বেগুন ৮০, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা এবং শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে।

 

অন্যদিকে জালি কুমড়া কুমড়া পিস ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ১০০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ২৫০ টাকা এবং কাঁচাকলা প্রতি হালি ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

 

রাজধানীর মহাখালী বাজারে সপ্তাহের ছুটির দিন বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী এনামুল হক। মাছ মাংস বাড়তি দামে কেনার পর এসেছেন কাঁচাবাজারে সবজি কিনতে। কিন্তু সব ধরনের সবজির অতিরিক্ত দাম দেখে তিনি তো রীতিমত অবাক।

বাজার ঘুরে দরদাম সম্পর্কে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাজারে ৭০/৮০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি নেই। বাজারে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি,  আর করলা ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সব ধরনের সবজিই যদি এত বাড়তি দামে বিক্রি হয়, তাহলে আমরা কিভাবে কিনব?

 

হঠাৎ সবজির দাম এমন বাড়তি দাম সম্পর্কে রাজধানীর গুলশান লেকপাড় সংলগ্ন বাজারে সবজি বিক্রেতা শরিফ মিয়া বলেন, অতিরিক্ত গরমে সবজির সরবরাহ কম। ঢাকায় পাইকারি বাজারে সবজি কম আসছে আগের তুলনায়। এছাড়া অনেকে ধরনের সবজির মৌসুম এখন শেষের দিকে ফলে সেসব সবজির দাম বাড়তি। বৃষ্টি নেই, অতিরিক্ত গরম যে কারণে সবজি কম ফলছে। চাহিদার তুলনায় মাল ঢাকায় কম আসায় কারওয়ান বাজারসহ পাইকারি বাজারগুলোতেই সবজির দাম বাড়তি। যে কারণে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। পেঁপের বাজার হঠাৎ করেই বেড়েছে কারণ পেঁপের মৌসুম শেষের দিকে, গাছে এখন পেঁপে নেই। তাই প্রতি কেজি খুচরা বাজারে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া করলা চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কম থাকায় এর দাম বেড়ে ১০০ টাকা হয়েছে।

 

এদিকে রাজধানীর মালিবাগ কাঁচাবাজারে আসা গার্মেন্টস কর্মী হাবিবুর রহমান বলেন, বাজারে এসে দেখা যাচ্ছে সবজি কেনার উপায় নেই। এত দাম দেখে আধা কেজি, আড়াইশ গ্রাম করে সবজি কেনা লাগছে। যেই সবজির দাম করছি সেটা ৮০ টাকা, কম দামে কোনো সবজি নেই বাজারে। এত দাম হলে আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ তো সবজিও কিনতে পারবো না।

 

মহাখালী কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল মালেক বলেন, সবজি দাম কিছুদিন ধরে বাড়তি যাচ্ছে। দাম বাড়তির কারণে আগের চেয়ে সবজি বিক্রিও কমে গেছে আমাদের। আগে যেখানে একজন ক্রেতা এক আইটেম এক কেজি নিত এখন সেখানে আধা কেজি নিচ্ছে। যে কারণে সব বাজারে সব দোকানেই সবজি বিক্রি অনেক কমেছে। দাম বৃদ্ধির কারণে মানুষও তুলনামূলক কম করে সবজি কিনছে। সূএ : ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আমাদের আন্দোলন দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে : নাহিদ ইসলাম

» সাফে শ্রীলঙ্কাকে ৯ গোলে বিধ্বস্ত করলো বাংলাদেশ

» বিএনপি দেশে দ্রুত গণতান্ত্রিক উত্তরণ চায় : গয়েশ্বর

» আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদকে অপবিত্র করেছে : আলাল

» কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানি হামলা, স্যাটেলাইট চিত্রে যা দেখা গেলো

» ১১ জুলাইকে ‘প্রথম প্রতিরোধ দিবস’ ঘোষণা উপদেষ্টা আসিফের

» তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জয়পুরহাটে বিএনপি নেতা ফয়সল আলীমের গণসংযোগ  

» বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলের বসতবাড়ি থেকে ৬ ফুট লম্বা পদ্মগোখরা উদ্ধার, এলাকায় চাঞ্চল্য

» মোরেলগঞ্জে তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসএসসি সমমান পরীক্ষায় শতভাগ ফেল

» দুর্বৃত্তদের গুলিতে যুবদল নেতা নিহত

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

পেঁপের কেজি ৮০, করলার সেঞ্চুরি!

সংগৃহীত ছবি

 

মাছ মাংস ও সবজির বাজার দিন দিন আরও চড়া হচ্ছে। বিশেষ করে সবজির দাম অনেকটা আকাশ ছোঁয়া। বাজারে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে, আর করলা ১০০ টাকা কেজি। 

 

শুক্রবার (১২ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বেগুন ৮০, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৪০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা এবং শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে।

 

অন্যদিকে জালি কুমড়া কুমড়া পিস ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ১০০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ২৫০ টাকা এবং কাঁচাকলা প্রতি হালি ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

 

রাজধানীর মহাখালী বাজারে সপ্তাহের ছুটির দিন বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী এনামুল হক। মাছ মাংস বাড়তি দামে কেনার পর এসেছেন কাঁচাবাজারে সবজি কিনতে। কিন্তু সব ধরনের সবজির অতিরিক্ত দাম দেখে তিনি তো রীতিমত অবাক।

বাজার ঘুরে দরদাম সম্পর্কে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাজারে ৭০/৮০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি নেই। বাজারে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি,  আর করলা ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সব ধরনের সবজিই যদি এত বাড়তি দামে বিক্রি হয়, তাহলে আমরা কিভাবে কিনব?

 

হঠাৎ সবজির দাম এমন বাড়তি দাম সম্পর্কে রাজধানীর গুলশান লেকপাড় সংলগ্ন বাজারে সবজি বিক্রেতা শরিফ মিয়া বলেন, অতিরিক্ত গরমে সবজির সরবরাহ কম। ঢাকায় পাইকারি বাজারে সবজি কম আসছে আগের তুলনায়। এছাড়া অনেকে ধরনের সবজির মৌসুম এখন শেষের দিকে ফলে সেসব সবজির দাম বাড়তি। বৃষ্টি নেই, অতিরিক্ত গরম যে কারণে সবজি কম ফলছে। চাহিদার তুলনায় মাল ঢাকায় কম আসায় কারওয়ান বাজারসহ পাইকারি বাজারগুলোতেই সবজির দাম বাড়তি। যে কারণে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। পেঁপের বাজার হঠাৎ করেই বেড়েছে কারণ পেঁপের মৌসুম শেষের দিকে, গাছে এখন পেঁপে নেই। তাই প্রতি কেজি খুচরা বাজারে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া করলা চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কম থাকায় এর দাম বেড়ে ১০০ টাকা হয়েছে।

 

এদিকে রাজধানীর মালিবাগ কাঁচাবাজারে আসা গার্মেন্টস কর্মী হাবিবুর রহমান বলেন, বাজারে এসে দেখা যাচ্ছে সবজি কেনার উপায় নেই। এত দাম দেখে আধা কেজি, আড়াইশ গ্রাম করে সবজি কেনা লাগছে। যেই সবজির দাম করছি সেটা ৮০ টাকা, কম দামে কোনো সবজি নেই বাজারে। এত দাম হলে আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ তো সবজিও কিনতে পারবো না।

 

মহাখালী কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল মালেক বলেন, সবজি দাম কিছুদিন ধরে বাড়তি যাচ্ছে। দাম বাড়তির কারণে আগের চেয়ে সবজি বিক্রিও কমে গেছে আমাদের। আগে যেখানে একজন ক্রেতা এক আইটেম এক কেজি নিত এখন সেখানে আধা কেজি নিচ্ছে। যে কারণে সব বাজারে সব দোকানেই সবজি বিক্রি অনেক কমেছে। দাম বৃদ্ধির কারণে মানুষও তুলনামূলক কম করে সবজি কিনছে। সূএ : ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com