উট কেন বিষধর সাপ খায়?

সংগৃহীত ছবি

 

মামুনূর রহমান হৃদয়

উটকে বলা হয় মরুভূমির জাহাজ। মরুভূমিতে দিনের পর দিন পানি না খেয়ে কাটাতে পারে উট এবং পা চিকন হওয়া সত্ত্বেও বহন করতে পারে ভারী জিনিসপত্র। তবে উটের এমন একটি রোগ আছে যেই রোগ হলে উটকে খেতে হয় জীবন্ত সাপ।

উটের এ রোগের নাম হলো হায়াম। এর অর্থ সাপকে জীবিত গিলে ফেলা। এই রোগ হলে উট একদম খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উট শুধু সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকে। বিচিত্র ও রহস্যময় এই রোগটি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করেও ব্যাখ্যা করতে পারেনি। তবে এ রোগের বিষয়ে না জেনেই অনেকে উটের ওপর নানা ধরনের জুলুম করে থাকেন।

উটের হায়াম নামক এ রোগের সুস্থতা রয়েছে জীবিত সাপকে গিলে ফেলার মাধ্যমে। তবে সেটা হতে হবে কিং কোবরা অথবা ভয়ংকর পাইথনের মতো বিষধর সাপ। অনেক সময় উট নিজ থেকেই সাপ খেয়ে ফেলে। সাপ গিলে ফেলার পরেই উটের তৃষ্ণা বাড়তে থাকে এবং আট ঘণ্টা এ অবস্থায় থাকার পর সাপের বিষের কারণে উটের চোখ থেকে অঝোর ধারায় পানি প্রবাহিত হতে থাকে। অন্যান্য চিকিৎসার জন্য উটের চোখের এই পানি খুবই উপকারী।

 

এই পানি এতো মূল্যবান যে প্রত্যেক উটের মালিক এ পানিকে বিভিন্নভাবে সংরক্ষণ করেন। প্রাচীনকালে ছোট চামড়ার থলেতে সংরক্ষণ করে রাখা হতো উটের চোখের পানি। কেননা এ পানি অন্য পানি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।

 

উটের চোখের পানিকে বলা হয় ‘তিরয়াক’। ‘তিরয়াক’ এমন এক ওষুধ যা যে কোনো প্রাণীর বিষকে নষ্ট করার জন্য তৈরি করা হয়। এটি মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সাপ, বিচ্ছুর বিষ থেকে বাঁচতে এটি উপশম হিসেবে কাজ করে।

লেখক: শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মী । সূএ :জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ভোটারের মূল্যায়ন হবে: চরমোনাই পীর

» জামায়াত আমিরের সঙ্গে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

» আওয়ামী কর্মীরা এক জায়গায় বলে জয়, দেড় মাইল দূরে গিয়ে বলে বাংলা : সালাহউদ্দিন

» “তেল দিলে লাভ হবে না” পুলিশকে কঠোর হুঁশিয়ারি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

» ‘নির্বাচনে জনগণ যেন সহিংসতার শিকার না হয়, ব্যবস্থা নেবে সরকার’: তথ্য উপদেষ্টা

» ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন পৃথিবীর কোনো শক্তিই ঠেকাতে পারবে না : শফিকুল আলম

» জয়পুরহাটে সাবেক এমপি গোলাম মোস্তফার বিশাল জনসভা

» ৫৭ জেলায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে যুক্ত বাংলালিংক ও প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন

» গ্রাহকদের প্রিমিয়াম আবাসন সল্যুশন দিতে প্রাইম ব্যাংক ও জেসিএক্স ডেভলপমেন্টের চুক্তি স্বাক্ষর

» গণিতে বিশ্বসেরা হলেন বাংলাদেশের পাঁচ শিক্ষার্থী

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

উট কেন বিষধর সাপ খায়?

সংগৃহীত ছবি

 

মামুনূর রহমান হৃদয়

উটকে বলা হয় মরুভূমির জাহাজ। মরুভূমিতে দিনের পর দিন পানি না খেয়ে কাটাতে পারে উট এবং পা চিকন হওয়া সত্ত্বেও বহন করতে পারে ভারী জিনিসপত্র। তবে উটের এমন একটি রোগ আছে যেই রোগ হলে উটকে খেতে হয় জীবন্ত সাপ।

উটের এ রোগের নাম হলো হায়াম। এর অর্থ সাপকে জীবিত গিলে ফেলা। এই রোগ হলে উট একদম খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উট শুধু সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকে। বিচিত্র ও রহস্যময় এই রোগটি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করেও ব্যাখ্যা করতে পারেনি। তবে এ রোগের বিষয়ে না জেনেই অনেকে উটের ওপর নানা ধরনের জুলুম করে থাকেন।

উটের হায়াম নামক এ রোগের সুস্থতা রয়েছে জীবিত সাপকে গিলে ফেলার মাধ্যমে। তবে সেটা হতে হবে কিং কোবরা অথবা ভয়ংকর পাইথনের মতো বিষধর সাপ। অনেক সময় উট নিজ থেকেই সাপ খেয়ে ফেলে। সাপ গিলে ফেলার পরেই উটের তৃষ্ণা বাড়তে থাকে এবং আট ঘণ্টা এ অবস্থায় থাকার পর সাপের বিষের কারণে উটের চোখ থেকে অঝোর ধারায় পানি প্রবাহিত হতে থাকে। অন্যান্য চিকিৎসার জন্য উটের চোখের এই পানি খুবই উপকারী।

 

এই পানি এতো মূল্যবান যে প্রত্যেক উটের মালিক এ পানিকে বিভিন্নভাবে সংরক্ষণ করেন। প্রাচীনকালে ছোট চামড়ার থলেতে সংরক্ষণ করে রাখা হতো উটের চোখের পানি। কেননা এ পানি অন্য পানি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।

 

উটের চোখের পানিকে বলা হয় ‘তিরয়াক’। ‘তিরয়াক’ এমন এক ওষুধ যা যে কোনো প্রাণীর বিষকে নষ্ট করার জন্য তৈরি করা হয়। এটি মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা সাপ, বিচ্ছুর বিষ থেকে বাঁচতে এটি উপশম হিসেবে কাজ করে।

লেখক: শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মী । সূএ :জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com