ঢাকা, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫: ব্র্যাক ব্যাংক মেটলাইফ বাংলাদেশের সাথে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে যুক্ত হয়েছে, যার মাধ্যমে মেটলাইফের পলিসিহোল্ডাররা ব্যাংকের ডিজিটাল ও ফিজিক্যাল উভয় ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সহজে ও নির্বিঘ্নে ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে পারবেন।
এই সহযোগিতার মাধ্যমে মেটলাইফ গ্রাহকরা ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা, উপশাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট, আস্থা ইন্টারনেট ব্যাংকিং, পেমেন্ট গেটওয়ে, এটিএম/সিডিএম এবং ডিরেক্ট ডেবিট ইনস্ট্রাকশন-এর মাধ্যমে তাদের প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে পারবেন। উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রিয়েল-টাইম এপিআই সংযোগের মাধ্যমে এই ইন্টিগ্রেশন কার্যকরহয়েছে, যা তাৎক্ষণিক পেমেন্ট আপডেট, লেনদেন দ্রুত সমন্বয় এবং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।
৩০ অক্টোবর ২০২৫ ঢাকায় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং মেটলাইফ বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলা আহমদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “এই অংশীদারিত্ব ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সলিউশনকে এগিয়ে নেওয়া এবং ইকোসিস্টেম ইন্টারঅপারেবিলিটি বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে ব্র্যাক ব্যাংকের অঙ্গীকারকে আরও সুদৃঢ় করেছে। আমাদের বিস্তৃত চ্যানেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেটলাইফ গ্রাহকদের প্রিমিয়াম
পরিশোধের সুবিধা প্রদান করে আমরা গ্রাহক সুবিধা বৃদ্ধি করছি এবং আরও ক্যাশলেস ও সংযুক্ত বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখছি।”
মেটলাইফ বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলা আহমদ বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো আরও বেশি মানুষকে বিমার বিশ্বমানের সুবিধার আওতায় আনা। ব্র্যাক ব্যাংকের সাথে এই নির্বিঘ্ন পেমেন্ট অভিজ্ঞতা গ্রাহকদের জন্য আরও সুবিধা নিশ্চিত করবে এবং ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের প্রতি আস্থা আরও বৃদ্ধি করবে।”
দেশের শীর্ষস্থানীয় জীবনবিমা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মেটলাইফ প্রায় ১০ লাখ ব্যক্তি পর্যায়ের গ্রাহককে সেবা প্রদান করছে। সাত দশকেরও বেশি সময়ে গড়ে ওঠা আস্থার ভিত্তিতে মেটলাইফ সারা দেশের ব্যক্তি ও পরিবারগুলোর জন্য আর্থিক সুরক্ষা এবং উদ্ভাবনী সেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছে।
শক্তিশালী ডিজিটাল সক্ষমতা এবং গ্রাহক-কেন্দ্রিক উদ্ভাবনের জন্য পরিচিত ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক ইকোসিস্টেম তৈরিতে অঙ্গীকারবদ্ধ, যা সহজ ব্যাংকিং সুবিধা পাওয়ার সুবিধা, অধিক কার্যকারিতা এবং নিরাপদ ডিজিটাল লেনদেন নিশ্চিত করে। এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের আর্থিক সেবা খাতে আরও ইন্টারঅপারেবল এবং ভবিষ্যৎ উপযোগী কাঠামো গড়ে তুলতে আন্তঃপ্রতিষ্ঠান সহযোগিতা জোরদার করার করার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।







