দেশ এখন স্মার্ট হেলথ বাস্তবায়নের পথে

ছবি : সংগৃহীত

 

রুবেল মিয়া নাহিদ

 

ডিজিটাল হেলথ হলো প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে জীবনযাত্রাকে আরও সহজতর করা। বিশেষ করে রোগীর স্বাস্থ্যের অবস্থার উন্নতির জন্য কম্পিউটার, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য প্রযুক্তির ব্যবহার করা। এছাড়াও ব্যক্তি অথবা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বাস্থ্য সেবার গুণগতমান ও আধুনিকায়নে যে উদ্ভাবনী চিন্তাধারা কে প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজতর ভাবে পরিচালনা করাকেও ডিজিটাল হেলথ কেয়ার বুঝায়। ডিজিটাল স্বাস্থ্যের মধ্যে রয়েছে মোবাইল হেলথ (এমহেলথ) অ্যাপস, ইলেকট্রনিক হেলথ রেকর্ডস (ইএইচআরএস), ইলেকট্রনিক মেডিকেল রেকর্ডস (ইএমআরএস), মেডিকেল ডিভাইস, টেলিহেলথ এবং টেলিমেডিসিন ইত্যাদি।

ডিজিটাল স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে রয়েছে রোগী, অনুশীলনকারী, গবেষক, অ্যাপ্লিকেশন বিকাশকারী এবং মেডিকেল ডিভাইস নির্মাতা এবং পরিবেশক। ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা বর্তমানে স্বাস্থ্যসেবার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ক্যাম্পেইনের অংশবিশেষ দেশের স্বাস্থ্যখাত ডিজিটালাইজ করার লক্ষ্যে ডিজিটাল হেলথ কনসেপ্টটি নিয়ে সরকারি ও বেসরকারিভাবে অগ্রসর হয়।

 

ডিজিটাল বাংলাদেশ এর মূল লক্ষ্য ছিল একুশ শতকে বাংলাদেশকে একটি তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা। সেই সঙ্গে ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের বছরে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর করা এর মূলস্তম্ভ ছিল-

 

১. মানবসম্পদ উন্নয়ন ২. ইন্টারনেটের সংযোগ দেওয়া ৩. ই-প্রশাসন ৪. তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পখাত গড়ে তোলা। এরপর থেকেই এ ব্যাপারে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কর্মসূচি গৃহীত হতে থাকে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জন করা সম্ভব হয়। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা ও উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার যেখানে স্মার্ট সিটিজেন (প্রত্যেক নাগরিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে)। স্মার্ট ইকোনমি (ইকোনমিক সব কার্যক্রম প্রযুক্তি ব্যবহার করা), স্মার্ট গভমেন্ট (সরকারের সব কর্যক্রমে প্রযুক্তি ব্যবহার করা) এবং স্মার্ট সোসাইটি (সমাজ হবে প্রযুক্তি নির্ভর)।

 

এই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য অবশ্যই হেলথ সেক্টর কে স্মার্ট করতে হবে তবেই স্মার্ট বাংলাদেশ পরিপূর্ণ হবে। দেশের সব নাগরিক যেন স্বাস্থ্য সেবা প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজে গ্রহণ করতে সক্ষম হয়, সেবা প্রদান ও গ্রহণের জন্য লেনদেন অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবহার, সরকারি স্বাস্থ্যসেবায় প্রযুক্তি ব্যবহার এবং গ্রামীণ পর্যায়ে প্রযুক্তিগত স্বাস্থ্য সেবাকে সম্প্রচার করণ। এজন্য প্রয়োজন সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরের যুগান্তকারী উদ্যোগ।

বিজ্ঞাপন

তবে স্মার্ট হেলথ বাস্তবায়নে কী কী চ্যালেঞ্জ আছে সেই বিষয়গুলো চিহ্নিত করা জরুরি এবং সেই অনুযায়ী যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের অন্যান্য সেক্টরের উদ্যোক্তাদের ন্যায় ই-হেলথ উদ্যোক্তা হিসেবে স্মার্ট হেলথ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবো বলে আশাবাদী। সূএ: জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» গানের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল না করলে সরকারকে বাধ্য করার হুমকি ওলামা পরিষদের

» যে কারণে ইলিয়াস কাঞ্চনকে দিয়ে নতুন দল গড়েন গোয়েন্দা এজেন্ট এনায়েত

» ওষুধের দোকানের আড়ালে মদ বিক্রি, আইনজীবীসহ ৩জন আটক

» কবরে মৃতদেহ অক্ষত থাকা কি নেককার হওয়ার আলামত

» যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ কোটি ডলারের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে ইরান

» সাইবার স্পেসে জুয়ার শাস্তি দু’ বছর কারাদণ্ড, জরিমানা কোটি টাকা

» রহস্যময় গোলাপি লেক, যেখানে বাঁচে না কোনো প্রাণী

» আরিয়ানের জন্য শাহরুখ-কাজলের মিলন

» সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে আওয়ামী লীগের এই করুণ পরিণতি হতো না: দুদু

» স্বামী হাতে স্ত্রী খুন

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : dhakacrimenewsbd@gmail.com

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

দেশ এখন স্মার্ট হেলথ বাস্তবায়নের পথে

ছবি : সংগৃহীত

 

রুবেল মিয়া নাহিদ

 

ডিজিটাল হেলথ হলো প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে জীবনযাত্রাকে আরও সহজতর করা। বিশেষ করে রোগীর স্বাস্থ্যের অবস্থার উন্নতির জন্য কম্পিউটার, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য প্রযুক্তির ব্যবহার করা। এছাড়াও ব্যক্তি অথবা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বাস্থ্য সেবার গুণগতমান ও আধুনিকায়নে যে উদ্ভাবনী চিন্তাধারা কে প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজতর ভাবে পরিচালনা করাকেও ডিজিটাল হেলথ কেয়ার বুঝায়। ডিজিটাল স্বাস্থ্যের মধ্যে রয়েছে মোবাইল হেলথ (এমহেলথ) অ্যাপস, ইলেকট্রনিক হেলথ রেকর্ডস (ইএইচআরএস), ইলেকট্রনিক মেডিকেল রেকর্ডস (ইএমআরএস), মেডিকেল ডিভাইস, টেলিহেলথ এবং টেলিমেডিসিন ইত্যাদি।

ডিজিটাল স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে রয়েছে রোগী, অনুশীলনকারী, গবেষক, অ্যাপ্লিকেশন বিকাশকারী এবং মেডিকেল ডিভাইস নির্মাতা এবং পরিবেশক। ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা বর্তমানে স্বাস্থ্যসেবার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ক্যাম্পেইনের অংশবিশেষ দেশের স্বাস্থ্যখাত ডিজিটালাইজ করার লক্ষ্যে ডিজিটাল হেলথ কনসেপ্টটি নিয়ে সরকারি ও বেসরকারিভাবে অগ্রসর হয়।

 

ডিজিটাল বাংলাদেশ এর মূল লক্ষ্য ছিল একুশ শতকে বাংলাদেশকে একটি তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা। সেই সঙ্গে ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের বছরে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তর করা এর মূলস্তম্ভ ছিল-

 

১. মানবসম্পদ উন্নয়ন ২. ইন্টারনেটের সংযোগ দেওয়া ৩. ই-প্রশাসন ৪. তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পখাত গড়ে তোলা। এরপর থেকেই এ ব্যাপারে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কর্মসূচি গৃহীত হতে থাকে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জন করা সম্ভব হয়। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা ও উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার যেখানে স্মার্ট সিটিজেন (প্রত্যেক নাগরিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে)। স্মার্ট ইকোনমি (ইকোনমিক সব কার্যক্রম প্রযুক্তি ব্যবহার করা), স্মার্ট গভমেন্ট (সরকারের সব কর্যক্রমে প্রযুক্তি ব্যবহার করা) এবং স্মার্ট সোসাইটি (সমাজ হবে প্রযুক্তি নির্ভর)।

 

এই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য অবশ্যই হেলথ সেক্টর কে স্মার্ট করতে হবে তবেই স্মার্ট বাংলাদেশ পরিপূর্ণ হবে। দেশের সব নাগরিক যেন স্বাস্থ্য সেবা প্রযুক্তির মাধ্যমে সহজে গ্রহণ করতে সক্ষম হয়, সেবা প্রদান ও গ্রহণের জন্য লেনদেন অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবহার, সরকারি স্বাস্থ্যসেবায় প্রযুক্তি ব্যবহার এবং গ্রামীণ পর্যায়ে প্রযুক্তিগত স্বাস্থ্য সেবাকে সম্প্রচার করণ। এজন্য প্রয়োজন সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরের যুগান্তকারী উদ্যোগ।

বিজ্ঞাপন

তবে স্মার্ট হেলথ বাস্তবায়নে কী কী চ্যালেঞ্জ আছে সেই বিষয়গুলো চিহ্নিত করা জরুরি এবং সেই অনুযায়ী যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের অন্যান্য সেক্টরের উদ্যোক্তাদের ন্যায় ই-হেলথ উদ্যোক্তা হিসেবে স্মার্ট হেলথ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবো বলে আশাবাদী। সূএ: জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : dhakacrimenewsbd@gmail.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com