কেন বিএনপিকে আমন্ত্রণ, কারণ জানালেন ইসি

ছবি : সংগৃহীত

 

শুরু থেকে এ নির্বাচন কমিশনকে আস্থায় নিতে পারেনি বিএনপিসহ এর সমমনা দলগুলো। দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবো না বলে মনে করে দলটি।

 

এজন্য দুই দফা ইসির দাওয়াত পেয়েও ইসির ডাকে সাড়া দেয়নি বিএনপি। এরপরও গত বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ)  সন্ধ্যায় হঠাৎ করে নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় বসতে চায় তারা।

 

বিএনপির মহাসচিব কে আমন্ত্রণের চিঠি দেওয়ার পর তা গণমাধ্যমে আসলে দেশে সাধারণ জনগণসহ সুশীল সমাজ ও রাজনীতিবিদের মাঝে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।তখন আমন্ত্রণের কারণ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান এক লিখিত বিবৃতি বলেন,বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে হয়নি। কমিশন সার্বিক ভাবে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শনিবার (২৫ মার্চ) নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান তাঁর লিখিত বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেন। নির্বাচন কমিশনার মোঃ আহসান হাবিব খান বলেন, বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে হয়নি। কমিশন সার্বিক ভাবে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগেও বিএনপিকে একাধিকবার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের কথা অনুধাবন করে আলোচনার উপর গুরুত্ব আরোপ করে আসছে।

 

তিনি বলেন, ইসি মনে করে বিএনপির মত নিবন্ধিত অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক না হোক অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় হতেই পারে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমে যাবে। তাই আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে অর্থবহ করার জন্য বিএনপিকে অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় এবং আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে যা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছারই বহিঃপ্রকাশ।

 

এর আগে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) যাচাই-বাছাইয়ের জন্য দলগুলোকে তিন ধাপে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দুই ধাপে ২৬টি দলকে আমন্ত্রণ জানালেও ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছে ১৮টি দল। বিএনপিসহ আটটি দল ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি।

 

সাড়া না দেয়ার কারণ হিসেবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিডি২৪লাইভকে বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশন আমাদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, আমরা আমন্ত্রণে যাইনি। ইভিএম আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের একটা দাবি নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ সরকার। আমরা আগেও বলেছি, এই নির্বাচন কমিশনের উপর আপনাদের কোনো আস্থা নেই,ইভিএমেও আামদের কোনো আস্থা নেই, জনগণেরও কোনো আস্থা নেই।

 

গত বছর নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ করেছে। গত বছরের ১৭ জুলাই থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছিলো ইসি। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২০ জুলাই বিএনপি সঙ্গে সংলাপে বসার কথা থাকলেও তাতে সাড়া দেয়নি।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

» রাজাকারের নাতিপুতি আখ্যা দেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল অপমানজনক

» নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষ পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেবে: টুকু

» রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার পাশে থাকবে: আসিফ নজরুল

» প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘে যাচ্ছেন ৪ রাজনীতিবিদকে নিয়ে

» এবারের দুর্গাপূজা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» দুর্গাপূজায় আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক ও প্রতিরোধের প্রস্তুতি থাকতে হবে: তারেক রহমান

» পিআর দাবি জনগণের আঙ্খাকার সঙ্গে ‘মুনাফেকি’: রিজভী

» পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় অতন্দ্র প্রহরী হোন: নেতা-কর্মীদের মির্জা ফখরুল

» সফররত ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

কেন বিএনপিকে আমন্ত্রণ, কারণ জানালেন ইসি

ছবি : সংগৃহীত

 

শুরু থেকে এ নির্বাচন কমিশনকে আস্থায় নিতে পারেনি বিএনপিসহ এর সমমনা দলগুলো। দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবো না বলে মনে করে দলটি।

 

এজন্য দুই দফা ইসির দাওয়াত পেয়েও ইসির ডাকে সাড়া দেয়নি বিএনপি। এরপরও গত বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ)  সন্ধ্যায় হঠাৎ করে নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় বসতে চায় তারা।

 

বিএনপির মহাসচিব কে আমন্ত্রণের চিঠি দেওয়ার পর তা গণমাধ্যমে আসলে দেশে সাধারণ জনগণসহ সুশীল সমাজ ও রাজনীতিবিদের মাঝে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।তখন আমন্ত্রণের কারণ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান এক লিখিত বিবৃতি বলেন,বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে হয়নি। কমিশন সার্বিক ভাবে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শনিবার (২৫ মার্চ) নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান তাঁর লিখিত বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেন। নির্বাচন কমিশনার মোঃ আহসান হাবিব খান বলেন, বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত হঠাৎ করে হয়নি। কমিশন সার্বিক ভাবে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগেও বিএনপিকে একাধিকবার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের কথা অনুধাবন করে আলোচনার উপর গুরুত্ব আরোপ করে আসছে।

 

তিনি বলেন, ইসি মনে করে বিএনপির মত নিবন্ধিত অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক না হোক অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় হতেই পারে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমে যাবে। তাই আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে অর্থবহ করার জন্য বিএনপিকে অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময় এবং আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে যা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছারই বহিঃপ্রকাশ।

 

এর আগে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) যাচাই-বাছাইয়ের জন্য দলগুলোকে তিন ধাপে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দুই ধাপে ২৬টি দলকে আমন্ত্রণ জানালেও ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছে ১৮টি দল। বিএনপিসহ আটটি দল ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি।

 

সাড়া না দেয়ার কারণ হিসেবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিডি২৪লাইভকে বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশন আমাদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, আমরা আমন্ত্রণে যাইনি। ইভিএম আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের একটা দাবি নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ সরকার। আমরা আগেও বলেছি, এই নির্বাচন কমিশনের উপর আপনাদের কোনো আস্থা নেই,ইভিএমেও আামদের কোনো আস্থা নেই, জনগণেরও কোনো আস্থা নেই।

 

গত বছর নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ করেছে। গত বছরের ১৭ জুলাই থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছিলো ইসি। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ২০ জুলাই বিএনপি সঙ্গে সংলাপে বসার কথা থাকলেও তাতে সাড়া দেয়নি।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com