‘যারা গণতন্ত্রের কথা বলে তারাই গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না’

ছবি: সংগৃহীত

 

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আকম মোজ্জামেল হক বলেছেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও সেই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। যারা গণতন্ত্রের কথা বলে, তারা এ ক্ষেত্রে নীরবতা পালন করায় স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না।

 

২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত শনিবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এক আলোচনা সভায় এমন কথা বলা হয়।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহারিয়ার আলম, সংসদ সদস্য মো. শাজাহান খান, এশিয়া জার্স্টিস অ্যান্ড রাইটসের প্রেসিডেন্ট প্রেট্রিক বারর্জেস, মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাটিজের সদস্য মফিদুল হক।

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী মোজ্জামেল হক বলেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বে তার দেশের সেনাবাহিনী সদস্যরা আমাদের ওপর নিপীড়ন, নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের ওপর তারা শোষণ করেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকার পরও তারা বঙ্গবন্ধুর হাতে ক্ষমতা তুলে না দিয়ে অত্যাচারে লিপ্ত হয়।’

 

তিনি বলেন, বর্তমানে যেসব বড় বড় দেশ গণতন্ত্রের কথা বলছে তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে। অস্ত্র দিয়ে তাদের সহয়তা করেছে। তাদের আপত্তির কারণে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ওপর পাকিস্তানের চালানো গণহত্যাকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। স্বীকৃতির বলয় পাকিস্তানের হাতে হওয়ায় তা দেওয়া হচ্ছে না। এ স্বীকৃতি পেতে কূটনৈতিকভাবে প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহারিয়ার আলম বলেন, বিগত ৩২ বছর ধরে নানাভাবে চেষ্টা করলেও ১৯৭১ সালে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানের সৈনদের গণহত্যাকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। বিষয়টি আমরা আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্ব পরিমণ্ডলে আমরা এ দাবি জানিয়ে আসছি। আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে ছাড় দেওয়া হবে না।

 

মূল প্রবক্তা এশিয়া জার্স্টিস অ্যান্ড রাইটসের প্রেসিডেন্ট প্রেট্রিক বারর্জেস বলেন, ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান আলাদা রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার সময় বাংলাদেশের মানুষের ওপর গণহত্যার বীজ বপণ হয়। সীমানা ও ভৌগলিক কারণে উভয় দেশের মধ্যে এক ধরনের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। সেই প্রভাব বাংলাদেশের মানুষের ওপর পড়ে। তার প্রেক্ষাপটেই এ দেশে গণহত্যা চালায় পাকিস্তান।

প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ভৌগলিক অনেক পার্থক্য রয়েছে। তাই ভাষা ও ধর্মের কারণে অভিন্ন রাষ্ট্র হতে পারে না। তারা ধর্মের কারণে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছে। এ দেশে ভারতের প্রভাবমুক্ত করার চেষ্টার নামে মানুষকে গণহত্যা চালিয়েছে।

সূএ :জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন: প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান

» রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় এক ব্যক্তি নিহত

» খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের কল্যাণেও বেশ কিছু নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার- ধর্মমন্ত্রী

» দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টি নামলো

» যেকোনো মূল্যে নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জেলা প্রশাসক ড.বদিউর আলম

» বিশ্ব গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের উদ্দ্যোগে কর্মশালা

» ফোনের বিরক্তিকর বিজ্ঞাপন বন্ধ করার উপায়

» নুসরাতের বুকে কার নামের ট্যাটু?

» সড়ক দুর্ঘটনায় দুই হেলপার নিহত

» আগামীকাল থেকে ২৫ জেলায় স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বন্ধ

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

‘যারা গণতন্ত্রের কথা বলে তারাই গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না’

ছবি: সংগৃহীত

 

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী আকম মোজ্জামেল হক বলেছেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও সেই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। যারা গণতন্ত্রের কথা বলে, তারা এ ক্ষেত্রে নীরবতা পালন করায় স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না।

 

২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত শনিবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এক আলোচনা সভায় এমন কথা বলা হয়।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহারিয়ার আলম, সংসদ সদস্য মো. শাজাহান খান, এশিয়া জার্স্টিস অ্যান্ড রাইটসের প্রেসিডেন্ট প্রেট্রিক বারর্জেস, মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাটিজের সদস্য মফিদুল হক।

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী মোজ্জামেল হক বলেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বে তার দেশের সেনাবাহিনী সদস্যরা আমাদের ওপর নিপীড়ন, নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের ওপর তারা শোষণ করেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকার পরও তারা বঙ্গবন্ধুর হাতে ক্ষমতা তুলে না দিয়ে অত্যাচারে লিপ্ত হয়।’

 

তিনি বলেন, বর্তমানে যেসব বড় বড় দেশ গণতন্ত্রের কথা বলছে তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে। অস্ত্র দিয়ে তাদের সহয়তা করেছে। তাদের আপত্তির কারণে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ওপর পাকিস্তানের চালানো গণহত্যাকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। স্বীকৃতির বলয় পাকিস্তানের হাতে হওয়ায় তা দেওয়া হচ্ছে না। এ স্বীকৃতি পেতে কূটনৈতিকভাবে প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহারিয়ার আলম বলেন, বিগত ৩২ বছর ধরে নানাভাবে চেষ্টা করলেও ১৯৭১ সালে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানের সৈনদের গণহত্যাকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। বিষয়টি আমরা আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্ব পরিমণ্ডলে আমরা এ দাবি জানিয়ে আসছি। আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে ছাড় দেওয়া হবে না।

 

মূল প্রবক্তা এশিয়া জার্স্টিস অ্যান্ড রাইটসের প্রেসিডেন্ট প্রেট্রিক বারর্জেস বলেন, ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান আলাদা রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার সময় বাংলাদেশের মানুষের ওপর গণহত্যার বীজ বপণ হয়। সীমানা ও ভৌগলিক কারণে উভয় দেশের মধ্যে এক ধরনের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। সেই প্রভাব বাংলাদেশের মানুষের ওপর পড়ে। তার প্রেক্ষাপটেই এ দেশে গণহত্যা চালায় পাকিস্তান।

প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ভৌগলিক অনেক পার্থক্য রয়েছে। তাই ভাষা ও ধর্মের কারণে অভিন্ন রাষ্ট্র হতে পারে না। তারা ধর্মের কারণে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছে। এ দেশে ভারতের প্রভাবমুক্ত করার চেষ্টার নামে মানুষকে গণহত্যা চালিয়েছে।

সূএ :জাগোনিউজ২৪.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com