ছবি সংগৃহীত
মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণার প্রজ্ঞাপন স্থগিতের আপিল চেম্বারেও খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) আপিল বিভাগের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী এম এ আজিজ খান। আর রাষ্ট্র পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এসকে) মের্শেদ।
এর আগে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা প্রজ্ঞাপন নিয়ে পৃথক যে দুটি রিট হয়েছিল, তা সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৫ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, রিট দুটি সরাসরি খারিজ হয়েছে। রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির জারি করা প্রজ্ঞাপন বৈধ।
আদালতে একটি রিটের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী এম এ আজিজ খান। আরেকটি রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবদুল মোমেন চৌধুরী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন।
রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন জারি করে। এ প্রজ্ঞাপনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে ৭ মার্চ একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের ১২ মার্চের কার্যতালিকায় রিটটি ছিল। বেঞ্চের একজন বিচারপতি রিটটি শুনতে বিব্রত বোধ করেন।
ওই সময় বিচারপতি আহমেদ সোহেল বলেন, প্রায় পাঁচ বছর তিনি দুদকের আইনজীবী ছিলেন। তাই বিষয়টি শুনতে বিব্রত বোধ করছেন। এরপর বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি শুনানি না করে প্রধান বিচারপতি বরাবর পাঠিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন।
পরবর্তীতে রিটটি বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা-সংক্রান্ত ইসির প্রজ্ঞাপন নিয়ে আবদুল মোমেন চৌধুরী, কে এম জাবিরসহ সুপ্রিম কোর্টের ছয় আইনজীবী ১২ মার্চ আরেকটি রিট করেন। ১৩ মার্চ বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চে এই রিটটি জমা দেওয়া হয়।
পৃথক দুটি রিটের ওপর শুনানি নিয়ে তা সরাসরি খারিজ করেন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ ২৩ এপ্রিল শেষ হবে। এরপর নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ২৪ এপ্রিল থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।
এর আগে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচন প্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি দাবি করে ২৬ ফেব্রুয়ারি একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। সেই নোটিশের পরও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করার রিটটি করা হয়।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১-এর ৭ ধারা অনুসারে তাকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম