এক পা হারানো মেয়ের চিকিৎসা টাকার অভাবে করাতে পারছেনা অসহায় মা

আজিজুল ইসলাম বারী,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ আমেনা খাতুন তমা (১৬) এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। গত এক বছরে পূর্বে পায়ের একটি টিউমার থেকে ক্যান্সার শুরু হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে গত( ০৪ মার্চ) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ডান পা কেটে ফেলা হয়। এখন টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন অসহায় মা নাজমা বেগম ও ভাই অটোরিকশা চালক নাঈম ইসলাম। যেটুকু সম্পদ ছিল তাও বিক্রি করে আমেনা খাতুন তমার চিকিৎসায় শেষ হয়। আমেনা খাতুন তমা এখন চিকিৎসার অভাবে নিজ বাড়িতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
সে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব ফকিরপাড়া গ্রামের তমির উদ্দিন (৫৫) ও নাজমা বেগমের মেয়ে আমেনা খাতুন তমা (১৬)।
তমা হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের  এসএসসি পরীক্ষার্থী।
আমেনা খাতুন তমা এক বোন দুই ভাই। দুই ভাই অটোরিকশা চালক। জায়গা-জমি বলতে কিছুই নেই। ৫ শতক জমির উপর বাড়ি ভিটা। বাবা অসুস্থ তমির উদ্দিন। মা নাজমা বেগম অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান।
আমেনা খাতুনের ভাই নাঈম ইসলাম বলেন, গত এক বছর আগে আমার ছোট বোনের হাটুর নিচে একটি টিউমার ধরা পড়ে। পরে
রংপুরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ বিমল চন্দ্র  জানান, তমার পায়ের টিউমার  ইনফেকশন হয়ে ক্যান্সারে রূপ ধারণ করেছে। এখন তাকে বাঁচাতে হলেও তার একটি পা কেটে ফেলতে হবে। মানুষের কাছে ধার-দেনা করে টাকা সংগ্রহ করে তার একটি পা কেটে ফেলি।
এখন চিকিৎসকরা বলছেন, নিয়মিত ঔষধ এবং ১০ দিন পর পর থেরাপি দিতে হবে। তা না হলে রোগী আরও অসুস্থ হয়ে পড়বেন। তার ওষুধপত্র কেনার ও থেরাপি দেওয়ার টাকা আমাদের নেই তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে অর্থ সাহায্য চাচ্ছি।
আমেনা খাতুন তমা বলেন, আমার একটি পা কেটে ফেলে। এখন চিকিৎসা করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। কিন্তু আমার বাবা-মা ও ভাইয়ের এত টাকা নেই। আমি বাঁচতে চাই। আমার চিকিৎসার জন্য সবাই সাহায্য করব।আমি আগের মত হাটতে চাই পড়াশুনা করতে চাই তাই রাবারের একটি পা খুবই প্রয়োজন তা আপনারা ব্যবস্থা করে দিবেন।
তমার মা নাজমা বেগম বলেন, টাকার অভাবে আমার মেয়ের চিকিৎসা করতে পারছি না। মেয়ে চিকিৎসার জন্য  ভিক্ষা চাচ্ছি সমাজের সবার কাছে। আমার মেয়ের যেন আগের মতো স্কুলে যেতে পারে। তার চিকিৎসা ও একটি রাবারের পা খুবই দরকার।
গড্ডিমারি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী  শিক্ষক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমাদের স্কুলের অদম্য মেধাবী তমার খুবই গরীব অসহায়। ক্যান্সারের কারণে তার একটি পা কেটে ফেলা হয়েছে। এখন তার চিকিৎসা করার মত টাকাপয়সা নেই বলতে চলে । তাই সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি।
এ বিষয়ে ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন বলেন, ক্যান্সারের কারণে এক শিক্ষার্থীর পা কেটে ফেলা হয়েছে বিষয়টি জেনেছি। তার পরিবার খুবই গরীব তার চিকিৎসা করার মতো তাদের কোন সমর্থন নেই। এ অবস্থায় তমার সুচিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
তমাকে সাহায্য পাঠাতে চাইলে তার বড় ভাই নাঈম ইসলাম যোগাযোগ ও বিকাশ নম্বর- ০১৭৩১-৩৮২১৩২।
Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের

» আওয়ামী লীগের শ্রমিক সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল

» বঙ্গবন্ধু সব সময় বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন : খাদ্যমন্ত্রী

» ট্রাকচাপায় প্রকৌশলী নিহত

» অপহরণকারী চক্রের সদস্য সিরাজকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার

» কেনিয়ায় বৃষ্টি-বন্যায় নিহত বেড়ে ১৬৯

» বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদকবিরোধী অভিযানে বিক্রি ও সেবনের অপরাধে ২১জন গ্রেপ্তার

» নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য শ্রমিক ও জনগণের জন্য অভিশাপ : ইনু

» শেখ হাসিনার অধীনে কেয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না : রিজভী

» যতবার সরকারে এসেছি ততবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

এক পা হারানো মেয়ের চিকিৎসা টাকার অভাবে করাতে পারছেনা অসহায় মা

আজিজুল ইসলাম বারী,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ আমেনা খাতুন তমা (১৬) এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। গত এক বছরে পূর্বে পায়ের একটি টিউমার থেকে ক্যান্সার শুরু হয়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে গত( ০৪ মার্চ) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার ডান পা কেটে ফেলা হয়। এখন টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন অসহায় মা নাজমা বেগম ও ভাই অটোরিকশা চালক নাঈম ইসলাম। যেটুকু সম্পদ ছিল তাও বিক্রি করে আমেনা খাতুন তমার চিকিৎসায় শেষ হয়। আমেনা খাতুন তমা এখন চিকিৎসার অভাবে নিজ বাড়িতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
সে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব ফকিরপাড়া গ্রামের তমির উদ্দিন (৫৫) ও নাজমা বেগমের মেয়ে আমেনা খাতুন তমা (১৬)।
তমা হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের  এসএসসি পরীক্ষার্থী।
আমেনা খাতুন তমা এক বোন দুই ভাই। দুই ভাই অটোরিকশা চালক। জায়গা-জমি বলতে কিছুই নেই। ৫ শতক জমির উপর বাড়ি ভিটা। বাবা অসুস্থ তমির উদ্দিন। মা নাজমা বেগম অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালান।
আমেনা খাতুনের ভাই নাঈম ইসলাম বলেন, গত এক বছর আগে আমার ছোট বোনের হাটুর নিচে একটি টিউমার ধরা পড়ে। পরে
রংপুরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ বিমল চন্দ্র  জানান, তমার পায়ের টিউমার  ইনফেকশন হয়ে ক্যান্সারে রূপ ধারণ করেছে। এখন তাকে বাঁচাতে হলেও তার একটি পা কেটে ফেলতে হবে। মানুষের কাছে ধার-দেনা করে টাকা সংগ্রহ করে তার একটি পা কেটে ফেলি।
এখন চিকিৎসকরা বলছেন, নিয়মিত ঔষধ এবং ১০ দিন পর পর থেরাপি দিতে হবে। তা না হলে রোগী আরও অসুস্থ হয়ে পড়বেন। তার ওষুধপত্র কেনার ও থেরাপি দেওয়ার টাকা আমাদের নেই তাই সমাজের বিত্তবানদের কাছে অর্থ সাহায্য চাচ্ছি।
আমেনা খাতুন তমা বলেন, আমার একটি পা কেটে ফেলে। এখন চিকিৎসা করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। কিন্তু আমার বাবা-মা ও ভাইয়ের এত টাকা নেই। আমি বাঁচতে চাই। আমার চিকিৎসার জন্য সবাই সাহায্য করব।আমি আগের মত হাটতে চাই পড়াশুনা করতে চাই তাই রাবারের একটি পা খুবই প্রয়োজন তা আপনারা ব্যবস্থা করে দিবেন।
তমার মা নাজমা বেগম বলেন, টাকার অভাবে আমার মেয়ের চিকিৎসা করতে পারছি না। মেয়ে চিকিৎসার জন্য  ভিক্ষা চাচ্ছি সমাজের সবার কাছে। আমার মেয়ের যেন আগের মতো স্কুলে যেতে পারে। তার চিকিৎসা ও একটি রাবারের পা খুবই দরকার।
গড্ডিমারি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী  শিক্ষক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমাদের স্কুলের অদম্য মেধাবী তমার খুবই গরীব অসহায়। ক্যান্সারের কারণে তার একটি পা কেটে ফেলা হয়েছে। এখন তার চিকিৎসা করার মত টাকাপয়সা নেই বলতে চলে । তাই সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি।
এ বিষয়ে ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান খোকন বলেন, ক্যান্সারের কারণে এক শিক্ষার্থীর পা কেটে ফেলা হয়েছে বিষয়টি জেনেছি। তার পরিবার খুবই গরীব তার চিকিৎসা করার মতো তাদের কোন সমর্থন নেই। এ অবস্থায় তমার সুচিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
তমাকে সাহায্য পাঠাতে চাইলে তার বড় ভাই নাঈম ইসলাম যোগাযোগ ও বিকাশ নম্বর- ০১৭৩১-৩৮২১৩২।
Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com