দিনে-রাতে বেপরোয়া ছিনতাইকারী চক্র, বাধা দিলেই বিপদ

ছবি সংগৃহীত

রাজধানীতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারী চক্র। শুধু রাতেই নয়, দিনের আলোতেও সমান তালে ছিনতাই করে যাচ্ছে তার‍া। এই কাজে ধারালো অস্ত্রের পাশাপাশি বেড়েছে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারও। অবশেষে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের ৩২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

 

এলিট ফোর্স জানায়, ছিনতাই চক্রের কিছু সদস্য রাজধানীর ফুটপাতে ঘোরাফেরা করতে থাকে। ওই চক্রের অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন অলিগলিতে ওঁৎপেতে থাকে। সুযোগ পাওয়া মাত্রই তারা পথচারী, রিকশা আরোহী, যানজটে থাকা সিএনজি, অটোরিকশার যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র প্রদর্শন করে সর্বস্ব লুটে নেয়। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তুলনামূলক জনশূন্য রাস্তা, লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাদের ছিনতাইকাজে বাধা দিলে তারা নিরীহ পথচারীদের প্রাণ কেড়ে নিতেও দ্বিধাবোধ করে না।

সম্প্রতি রাজধানীর কোতোয়ালী, মতিঝিল, খিলগাঁও, রামপুরা, হাতিরঝিল, সবুজবাগ, শাহজাহানপুর ও ওয়ারী এলাকায় সন্ধ্যা থেকে ভোররাত পর্যন্ত ছিনতাইকারীদের বেশ তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে র‌্যাব-৩ এই সাঁড়াশি অভিযান চালায়। এ সময় ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতাসহ মোট ৩২ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত সুইচ গিয়ার, চাকু, ক্ষুর, এন্টিকাটার, কাঁচি, ব্লেড, মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকাসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।

 

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন চক্রের মূল হোতা মোহাব্বত মিয়া (৪০), মো. মাসুম (৩৫), ফজল খাঁ (৩২), মো. সাইফ (৩০), মো. আকাশ (২৪), মো. আবু বকর (২১), মো. নজরুল ইসলাম (৪০), মো. আলমগীর (২২), মো. জাহাঙ্গীর (২৮), মো. সোহেল (১৯), মো. সোহেল (৩২), মো. সোহানুর রহমান সাগর (২০), মো. মামুন (১৯), লিটন (২১), মো. আলমাস (২৮), সুজন মিয়া (২২), রাকিব (২৫), মো. রিপন (২২), মো. কালাম (৪০), মো. নজরুল ইসলাম (৪০), মো. সুমন মৃধা (২৬), অন্তর হোসেন রবিন (২৪), মো. আব্দুল রসুল (৩৮), মো. কবির (২৫), মো. ছামিদুল রহমান (৩৪), ইকবাল হোসেন (২০), কামরুল (২১), শহীদুল ইসলাম উজ্জল (২৬), মো. কালু (২০), মো. সুমন (২৫), মো. হৃদয় (১৯) ও মো. সাজিদ খান (১৯)।

 

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, যেকোনো উৎসবকে কেন্দ্র করে গ্রেফতারকৃতদের তৎপরতা বাড়ে। সম্প্রতি উদযাপিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে এবং একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর লোকসমাগম হয়ে থাকে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ছিনতাইয়ের মাধ্যমে জনসাধারণের জানমালের ক্ষতি করাই তাদের মূল লক্ষ্য।

RRR

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ বড় ধরনের ছিনতাইয়ের পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক এই চক্রটি রাজধানীর কোতোয়ালী, মতিঝিল, খিলগাঁও, রামপুরা, হাতিরঝিল, সবুজবাগ, শাহজাহানপুর ও ওয়ারীসহ বিভিন্ন এলাকায় তৎপরতা চালিয়ে আসছিল। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ছিনতাই করারও পরিকল্পনা করে এই চক্রটি।

 

লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা যেসব ব্যক্তির কাছ থেকে ছিনতাই করবে তাদের আগে থেকে অনুসরণ করতে থাকে এবং অনুসরণকৃত ব্যক্তির সাথে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের কথা বলে থাকে। এক পর্যায়ে কথা বলতে বলতে ওই ব্যক্তিকে সুবিধামতো কোনো জায়গায় নিয়ে যায় এবং সেখানে ছিনতাইকারী চক্রের অন্য সদস্যরা উপস্থিত হয়। চক্রের একজন সদস্য ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিতর্কে জড়ায় এবং মারধর শুরু করে। লোকজন এগিয়ে এলে বলে, নিজেদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির কারণে এই মারামারি। ততক্ষণে ছিনতাইয়ের কাজটি তাদের চক্রের কেউ একজন সেরে ফেলে।

 

এছাড়াও তারা ছিনতাইয়ের কাজে বিভিন্ন অভিনব কৌশল অবলম্বন করে থাকে এবং ছিনতাইয়ের কাজে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে। যখন কোনো রিকশা অথবা সিএনজি আরোহী যাত্রীদের টার্গেট করে তারা অন্য একটি রিকশা অথবা সিএনজি নিয়ে ওই ব্যক্তির পেছনে যেতে থাকে। ছিনতাইকারীদের সুবিধামত স্থানে পৌঁছে যাত্রীকে এবং চালককে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে রিকশা ও সিএনজি যাত্রীর সর্বস্ব লুটে নেয়।

 

র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান, ছিনতাইকারীরা তাদের ছিনতাইকৃত অর্থ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের নেশা করে এবং কেউ কেউ জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। ওই চক্রের সদস্যদের বেশিরভাগেরই রাজধানীতে বসবাসের জন্য স্থায়ী কোনো বাসস্থান নেই। তারা সবাই রাজধানীর বিভিন্ন বস্তিতে ভাসমান অবস্থায় বসবাস করে। ওই চক্রের সদস্যদের মধ্যে প্রায় সবার বিরুদ্ধে মাদক ও ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে ওই চক্রের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাছে গ্রেফতার হওয়ার পর জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় একই অপরাধে জড়ায়।

 

ইতঃপূর্বেও র‌্যাব-৩ গ্রেফতার হয়ে সাজা ভোগ করে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে পুনরায় ছিনতাই ও রাহাজানির মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে আবারও যুক্ত হয়।  সূএ: ঢাকা মেইল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে কারিকুলাম প্রণয়নের আহ্বান

» উপজেলা নির্বাচন : ৩ দিনের জন্য বন্ধ হচ্ছে বাইক চলাচল

» তীব্র দাবদাহ মোকাবিলায় দেশব্যপী বাংলালিংক-এর বিনামূল্যে পানি ও স্যালাইন বিতরণ

» শিগগিরই অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের বিধিমালা জারি – সংসদীয় কমিটিকে ভূমি মন্ত্রণালয়

» ক্র্যাব (CRAB) থেকে আবারও ব্র্যাক ব্যাংকের ‘এএএ’ ক্রেডিট রেটিং অর্জন

» নারীদের মধ্যে কেন বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি

» সোমবার থেকে শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ

» বরিশালে বাস চলাচল শুরু

» বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া ভোটের অংশ: হানিফ

» চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে যা জানালেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

দিনে-রাতে বেপরোয়া ছিনতাইকারী চক্র, বাধা দিলেই বিপদ

ছবি সংগৃহীত

রাজধানীতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারী চক্র। শুধু রাতেই নয়, দিনের আলোতেও সমান তালে ছিনতাই করে যাচ্ছে তার‍া। এই কাজে ধারালো অস্ত্রের পাশাপাশি বেড়েছে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারও। অবশেষে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের ৩২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

 

এলিট ফোর্স জানায়, ছিনতাই চক্রের কিছু সদস্য রাজধানীর ফুটপাতে ঘোরাফেরা করতে থাকে। ওই চক্রের অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন অলিগলিতে ওঁৎপেতে থাকে। সুযোগ পাওয়া মাত্রই তারা পথচারী, রিকশা আরোহী, যানজটে থাকা সিএনজি, অটোরিকশার যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র প্রদর্শন করে সর্বস্ব লুটে নেয়। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত তুলনামূলক জনশূন্য রাস্তা, লঞ্চঘাট, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাদের ছিনতাইকাজে বাধা দিলে তারা নিরীহ পথচারীদের প্রাণ কেড়ে নিতেও দ্বিধাবোধ করে না।

সম্প্রতি রাজধানীর কোতোয়ালী, মতিঝিল, খিলগাঁও, রামপুরা, হাতিরঝিল, সবুজবাগ, শাহজাহানপুর ও ওয়ারী এলাকায় সন্ধ্যা থেকে ভোররাত পর্যন্ত ছিনতাইকারীদের বেশ তৎপরতা পরিলক্ষিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে র‌্যাব-৩ এই সাঁড়াশি অভিযান চালায়। এ সময় ছিনতাইকারী চক্রের মূল হোতাসহ মোট ৩২ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত সুইচ গিয়ার, চাকু, ক্ষুর, এন্টিকাটার, কাঁচি, ব্লেড, মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকাসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।

 

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন চক্রের মূল হোতা মোহাব্বত মিয়া (৪০), মো. মাসুম (৩৫), ফজল খাঁ (৩২), মো. সাইফ (৩০), মো. আকাশ (২৪), মো. আবু বকর (২১), মো. নজরুল ইসলাম (৪০), মো. আলমগীর (২২), মো. জাহাঙ্গীর (২৮), মো. সোহেল (১৯), মো. সোহেল (৩২), মো. সোহানুর রহমান সাগর (২০), মো. মামুন (১৯), লিটন (২১), মো. আলমাস (২৮), সুজন মিয়া (২২), রাকিব (২৫), মো. রিপন (২২), মো. কালাম (৪০), মো. নজরুল ইসলাম (৪০), মো. সুমন মৃধা (২৬), অন্তর হোসেন রবিন (২৪), মো. আব্দুল রসুল (৩৮), মো. কবির (২৫), মো. ছামিদুল রহমান (৩৪), ইকবাল হোসেন (২০), কামরুল (২১), শহীদুল ইসলাম উজ্জল (২৬), মো. কালু (২০), মো. সুমন (২৫), মো. হৃদয় (১৯) ও মো. সাজিদ খান (১৯)।

 

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, যেকোনো উৎসবকে কেন্দ্র করে গ্রেফতারকৃতদের তৎপরতা বাড়ে। সম্প্রতি উদযাপিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে এবং একুশে বইমেলাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর লোকসমাগম হয়ে থাকে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ছিনতাইয়ের মাধ্যমে জনসাধারণের জানমালের ক্ষতি করাই তাদের মূল লক্ষ্য।

RRR

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ বড় ধরনের ছিনতাইয়ের পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক এই চক্রটি রাজধানীর কোতোয়ালী, মতিঝিল, খিলগাঁও, রামপুরা, হাতিরঝিল, সবুজবাগ, শাহজাহানপুর ও ওয়ারীসহ বিভিন্ন এলাকায় তৎপরতা চালিয়ে আসছিল। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ছিনতাই করারও পরিকল্পনা করে এই চক্রটি।

 

লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা যেসব ব্যক্তির কাছ থেকে ছিনতাই করবে তাদের আগে থেকে অনুসরণ করতে থাকে এবং অনুসরণকৃত ব্যক্তির সাথে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের কথা বলে থাকে। এক পর্যায়ে কথা বলতে বলতে ওই ব্যক্তিকে সুবিধামতো কোনো জায়গায় নিয়ে যায় এবং সেখানে ছিনতাইকারী চক্রের অন্য সদস্যরা উপস্থিত হয়। চক্রের একজন সদস্য ওই ব্যক্তির সঙ্গে বিতর্কে জড়ায় এবং মারধর শুরু করে। লোকজন এগিয়ে এলে বলে, নিজেদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির কারণে এই মারামারি। ততক্ষণে ছিনতাইয়ের কাজটি তাদের চক্রের কেউ একজন সেরে ফেলে।

 

এছাড়াও তারা ছিনতাইয়ের কাজে বিভিন্ন অভিনব কৌশল অবলম্বন করে থাকে এবং ছিনতাইয়ের কাজে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে। যখন কোনো রিকশা অথবা সিএনজি আরোহী যাত্রীদের টার্গেট করে তারা অন্য একটি রিকশা অথবা সিএনজি নিয়ে ওই ব্যক্তির পেছনে যেতে থাকে। ছিনতাইকারীদের সুবিধামত স্থানে পৌঁছে যাত্রীকে এবং চালককে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে রিকশা ও সিএনজি যাত্রীর সর্বস্ব লুটে নেয়।

 

র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান, ছিনতাইকারীরা তাদের ছিনতাইকৃত অর্থ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের নেশা করে এবং কেউ কেউ জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। ওই চক্রের সদস্যদের বেশিরভাগেরই রাজধানীতে বসবাসের জন্য স্থায়ী কোনো বাসস্থান নেই। তারা সবাই রাজধানীর বিভিন্ন বস্তিতে ভাসমান অবস্থায় বসবাস করে। ওই চক্রের সদস্যদের মধ্যে প্রায় সবার বিরুদ্ধে মাদক ও ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বিভিন্ন অপরাধে ওই চক্রের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাছে গ্রেফতার হওয়ার পর জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় একই অপরাধে জড়ায়।

 

ইতঃপূর্বেও র‌্যাব-৩ গ্রেফতার হয়ে সাজা ভোগ করে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে পুনরায় ছিনতাই ও রাহাজানির মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে আবারও যুক্ত হয়।  সূএ: ঢাকা মেইল ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com