ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য ও দৈনিক কালের কণ্ঠ’র নিজস্ব প্রতিবেদক জহিরুল ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ডিআরইউর সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।
সোমবার এক বিবৃতিতে কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে ডিআরইউ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই নিন্দা জানান।
জহিরুল ইসলাম জানান, রবিবার রাতে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ ফেসবুক পেজে লাইভ করার সময় তাকে পিটিয়ে আহত করেন গুলশান থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা। এসআই পদমর্যাদার এই কর্মকর্তার নাম হাসিব। তিনি গুলশান ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত। জহিরুল মাথায়, বুকে ও মুখে আঘাত পেয়েছেন।
ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় দৈনিক কালের কণ্ঠ’র ফেসবুক পেজ থেকে ভবনটির বিপরীত পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে তিনি লাইভ দিচ্ছিলেন। ওই সময় গুলশান পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই হাসিব তাকে এসে বলেন, ‘আপনি এখানে কী করছেন?’ এর জবাবে তিনি সেই পুলিশ সদস্যকে বলেন, ‘আমি দৈনিক কালের কণ্ঠ থেকে ফেসবুক পেজে লাইভ দিচ্ছি।’ তিনি নিজেকে সংবাদকর্মী পরিচয় দেওয়ার পরই তাকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন এসআই। এ সময় তার মোবাইল ও আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
তিনি আরো জানান, তিনি মারধরের শিকার হওয়ার পর পাশে থাকা পুলিশের এক কর্মকর্তাকে দেখতে পেয়ে তার কাছে ছুটে যান এবং সহযোগিতা চান। এ সময় এসআই হাসিব সেখান থেকে সটকে পড়েন।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে একজন সাংবাদিককে নির্যাতন করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তারা পুলিশের এসআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।