দেশে সম্পূর্ণভাবে একনায়কতন্ত্র ও একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য ভয়াবহ রকমের চক্রান্ত- ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন। এসময় আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর আগে দলটির যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন— বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মুয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। প্রকৃতি পক্ষে ৫২ সালের এই একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের নতুন জাতীয় সত্তার নির্মাণের যে চেতনা সেই চেতনা সৃষ্টি হয়েছিল। সেদিন আমাদের মাতৃভাষার অধিকার আদায়ের জন্য আমাদের ছাত্র সমাজ বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে সেদিন বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার ধারাবাহিকতায় যে নতুন চিন্তা চেতনা সৃষ্টি হয়েছিল এবং সত্যিকার অর্থেই নতুন রাষ্ট্র নির্মাণের অংকুর সেদিন সৃষ্টি হয়েছিল।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরেও জাতি তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। চিন্তার স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কথা বলার স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। লেখার স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। কি দুর্ভাগ্য যে বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাংলা ভাষা ও বিকাশের জন্য। চিন্তা চেতনা বিকাশের জন্য। মুক্ত চিন্তার জন্য। সেই বাংলা একাডেমি অন্যায়ভাবে বিভিন্ন স্টল বন্ধ করে দিয়ে, বিভিন্ন বইয়ের প্রদর্শন বন্ধ করে দিয়ে, একটা কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি করছে। আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই একুশে ফেব্রুয়ারি নতুন করে শপথ নিতে চাই, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করব। জনগণের কথা বলার অধিকার, মুক্ত চিন্তার অধিকার, জনগণের লেখার অধিকার আমরা নিশ্চয় প্রতিষ্ঠা করবো।
এর আগে বিএনপির যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন— বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, মুনির হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমদে, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, মহানগর বিএনপির রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের মুনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, জাসাসের হেলাল খান, জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ।