প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গার্মেন্টসে যারা কাজ করেন তাদের নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে, নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন করতে হবে। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের পোশাক ব্যবহার করা হয়। নতুন ওই বাজার আমরা খুঁজে বের করতে পারি। ইতোমধ্যে কিছু পাওয়া গেছে।
আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় বস্ত্র দিবস উদযাপন ও ৬টি টেক্সটাইল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যে বৈদেশিক মুদ্রা আমরা অর্জন করি, বিশেষ করে তৈরি পোশাক রপ্তানির মাধ্যমে। ২০২২ সালে বাংলাদেশের ৪৫.৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি করা হয়। কাজেই সেদিক দিয়ে আমি বলবো যে এটি আমাদের অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের ঐতিহ্যগুলো একে একে হারিয়ে যাচ্ছিল। আমরা এখন চেষ্টা করে যাচ্ছি সেগুলো আবার নতুনভাবে শুরু করতে। সরকারের উদ্যোগের কারণে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য মসলিন ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এখন গবেষণার মাধ্যমে এটিকে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার চেষ্টা চলছে।
শেখ হাসিনা বলেন, শিল্পকারখানা কিন্তু পরিবেশবান্ধব করতে পেরেছি। বিশেষ করে, তৈরি পোশাক খাতে সবুজ কারখানা গড়তে পেরেছি। এখন বাংলাদেশে সবুজ কারখানার সার্টিফিকেট পেয়েছে ১৮৭টি। উৎপাদনশীলতা বাড়াতে আমরা নজর দিচ্ছি।
তিনি বলেন, পোশাক খাতে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে নারীরা এসে কাজ করে। এর ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও তারা বিশেষ অবদান রাখছে। একেকটি পরিবারও আর্থিক সক্ষমতা অর্জন করছে।