নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন পুরান ঢাকার আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিম।
আত্মসমর্পণ করে বৃহস্পতিবার জামিন চাইলে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর এই আদেশ দেন।
বুধবার একই আদালত ইরফান সেলিমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এদিন শুনানিকালে অনুপস্থিত থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
আলোচিত এই মামলায় ইরফান সেলিম ছাড়া অন্য ৪ আসামি হলেন—তার দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, গাড়িচালক মীজানুর রহমান, মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দীপু ও সহযোগী কাজী রিপন। আসামিদের মধ্যে জাহিদুল বর্তমানে কারাগারে আছেন। মীজানুর ও দীপু জামিনে মুক্ত আছেন এবং কাজী রিপন পলাতক।
এদিকে অভিযোগ গঠনের পর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার সময় হাজি সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের গাড়ি তাকে ধাক্কা মারে।
এরপর নৌবাহিনী কর্মকর্তা সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান ও নিজের পরিচয় দেন। সে সময় ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে মারধর করে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এছাড়া তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
ঘটনার পরদিন সকালে ইরফান সেলিম, তার দুই দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, এবি সিদ্দিক দিপু, গাড়িচালক মীজানুর রহমান ও রিপন কাদিরসহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান।
পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক ও এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মমিনুল হক ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।