বিদ্যুৎ খাতে সরকারের দুর্নীতির মাশুল দিচ্ছে জনগণ: মির্জা ফখরুল

নতুন করে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর (সমন্বয়) তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেন, বিদ্যুৎ খাতে সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের মাশুল বারবার জনগণকে দিতে হচ্ছে।

 

মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

 

বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সরকার জনগণের পকেট কাটছে বলে মন্তব্য করে বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের অনুগত লোকদের লাভবান করতে তাদের দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বানিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই ক্যাপাসিটি চার্জের নামে জনগণের টাকায় আঙুল ফুলে কলাগাছ বানানো হচ্ছে। সরকার ও তার অনুগতদের দুর্নীতি, লুটপাটের কারণে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে। এই পকেট কাটা সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ আজ জেগে উঠেছে।

 

দাম বৃদ্ধির বোঝা জনগণ আর সহ্য করতে পারবে না বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনার কারণে এমনিতেই জনগণ চরম দুর্ভোগে রয়েছে। এর মধ্যে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। মাত্র ১৯ দিন আগে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম এক দফায় বৃদ্ধি করেছে। ১৯ দিন পর আবার খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে প্রতি জিনিসের দাম আবারও বৃদ্ধি পাবে। এই বোঝা জনগণ আর সহ্য করতে পারবে না।

 

তিনি বলেন, ‘জনগণের সরকার নয় বলেই সরকার চরম দুর্দিনেও বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বারবার বৃদ্ধি করছে। এ বিষয়ে সরকারের অনুশোচনা নেই, বরং এসব তুঘলকি কাণ্ডের পক্ষে নির্লজ্জের মতো মিথ্যাচার করছে। গণবিরোধী সরকার গত ১৪ বছরে ১১ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। গত বছর রেকর্ড হারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। গ্যাসের দাম এক মাসেই রেকর্ড পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।

 

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সরকার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নিয়ে খুচরা চালাকি করছে। এত দিন এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গণশুনানি করে দাম বাড়াত। সেখানেও সরকারের ইঙ্গিতে দাম বাড়ানো হতো। এবার সরকার নিজেই এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে পাশ কাটিয়ে দাম বাড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছে।

 

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী ১০ দফাসহ গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» যাত্রীবাহী বাসের চাপায় অটোচালকসহ দুজন নিহত

» আবারও রেকর্ড গড়েছে স্বর্ণের দাম

» পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

» টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ডাবল সেঞ্চুরি

» ছেলের বন্ধুরা আমাকে ‘দিদি’ বলে ডাকে: শ্রাবন্তী

» কিছু আসনের লোভে জাতীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেউ পিআর চাইছে: সালাহউদ্দিন

» গাজায় গণহত্যা চলছে, দায়ী ইসরায়েল: জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন

» বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আরও ১১২৬ জন আসামি গ্রেফতার

» ফখরুল-আব্বাসসহ ৬৭ জনকে অব্যাহতি দিলো আদালত

» জামায়াতের আন্দোলন সরকারবিরোধী না : ব্যারিস্টার ফুয়াদ

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বিদ্যুৎ খাতে সরকারের দুর্নীতির মাশুল দিচ্ছে জনগণ: মির্জা ফখরুল

নতুন করে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর (সমন্বয়) তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেন, বিদ্যুৎ খাতে সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের মাশুল বারবার জনগণকে দিতে হচ্ছে।

 

মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

 

বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সরকার জনগণের পকেট কাটছে বলে মন্তব্য করে বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের অনুগত লোকদের লাভবান করতে তাদের দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বানিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই ক্যাপাসিটি চার্জের নামে জনগণের টাকায় আঙুল ফুলে কলাগাছ বানানো হচ্ছে। সরকার ও তার অনুগতদের দুর্নীতি, লুটপাটের কারণে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে। এই পকেট কাটা সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ আজ জেগে উঠেছে।

 

দাম বৃদ্ধির বোঝা জনগণ আর সহ্য করতে পারবে না বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনার কারণে এমনিতেই জনগণ চরম দুর্ভোগে রয়েছে। এর মধ্যে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। মাত্র ১৯ দিন আগে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম এক দফায় বৃদ্ধি করেছে। ১৯ দিন পর আবার খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে প্রতি জিনিসের দাম আবারও বৃদ্ধি পাবে। এই বোঝা জনগণ আর সহ্য করতে পারবে না।

 

তিনি বলেন, ‘জনগণের সরকার নয় বলেই সরকার চরম দুর্দিনেও বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বারবার বৃদ্ধি করছে। এ বিষয়ে সরকারের অনুশোচনা নেই, বরং এসব তুঘলকি কাণ্ডের পক্ষে নির্লজ্জের মতো মিথ্যাচার করছে। গণবিরোধী সরকার গত ১৪ বছরে ১১ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। গত বছর রেকর্ড হারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। গ্যাসের দাম এক মাসেই রেকর্ড পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।

 

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সরকার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নিয়ে খুচরা চালাকি করছে। এত দিন এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গণশুনানি করে দাম বাড়াত। সেখানেও সরকারের ইঙ্গিতে দাম বাড়ানো হতো। এবার সরকার নিজেই এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে পাশ কাটিয়ে দাম বাড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছে।

 

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী ১০ দফাসহ গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com