পাঠ্যবই নিয়ে একটি গোষ্ঠী অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে নতুন শিক্ষা পাঠ্যক্রমে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
আজ (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এই কথা বলেন। এদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে প্রথম শ্রেণিসহ প্রথম স্থান অর্জনকারী কৃতি শিক্ষার্থীদের স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন দীপু মনি।
শিক্ষাক্রমকে ইসলামের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হচ্ছে অভিযোগ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার কখনো ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু করেনি, করবেও না।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রীর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, পাঠ্যপুস্তকের ভুল-ভ্রান্তি ও অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি কমিটিতে সাত সদস্য ও আরেকটিতে পাঁচ সদস্য রাখা হয়েছে। প্রথম কমিটিকে ৩০ কর্মদিবস ও দ্বিতীয় কমিটিকে ১৫ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সাত সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ওয়াহেদুজ্জামান চাঁনকে। তারা পাঠ্যপুস্তকের ভুলত্রুটি ও বির্তকিত বিষয় খুঁজে বের করবেন।
আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তারকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের কমিটি ভুল-ভ্রান্তির জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কোন কোন কর্মকর্তা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির সুপারিশ করবে।
এর আগে ২৪ জানুয়ারি রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানান। সেদিন তিনি বলেছিলেন, পাঠ্যপুস্তক নিয়ে নানা আলোচনা দেখা যাচ্ছে। সেখানে ধর্মীয় বিষয় নিয়েও বেশ কিছু আলোচনা আছে। এ জন্য দুটি কমিটি করা হচ্ছে। একটি কমিটি হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানসিক স্বাস্থ্য এবং ধর্মীয় বিষয়ের বিশেষজ্ঞরাও কমিটিতে থাকবেন। এ বিষয়ে একটি লিংক দেওয়া হবে, যেখানে দেশ-বিদেশ থেকে যেকোনো বই নিয়ে মত, আপত্তি বা পরামর্শ দেওয়া যাবে।