বেড়েছে সবজি ও মাছের দাম, মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই

ছুটির দিন সকালে বাজার করতে মিরপুরের শেওড়াপাড়া বাজারে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আনোয়ার হোসেন। কিন্তু বাজারে মাছ আর শীতের সবজির দাম বাড়তি দেখে অবাক তিনি। তিনি বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে শীতের প্রতিটি সবজির দামও বাড়তি। সব সবজিতেই অতিরিক্ত ১০ থেকে ২০ টাকা গুনতে হচ্ছে।

 

এদিকে মাছ বিক্রেতারা বলছেন, মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই দামে পরিবর্তন এসেছে। এছাড়া গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত শীতের কারণে মাছ সরবরাহ কম হচ্ছে, ফলে মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়া ব্যবসায়ীরা শীতের দোহাই দিয়ে বলছেন, গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত শীতের কারণে ফসল তুলতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীর বাজারে। পাশাপাশি গত সপ্তাহে বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্বের কারণে টঙ্গীতে প্রচুর পরিমাণে সবজির চাহিদা ছিল। সে সময় সবজির দাম বেড়ে আর কমেনি। আগামী ২২ জানুয়ারি ২য় দফায় ইজতেমার সময় পর্যন্ত সবজির দাম চড়া থাকতে পারে। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে শীত কিছুটা কমে আসলে বাড়বে সবজির সরবরাহ, তখন ফের কমতে পারে সবজি দাম।

 

আজ (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের মাছের দাম তুলনামূলক বেড়েছে। তবে গরু, খাসি, মুরগি, ব্রয়লারের দাম আগের মতই আছে। গত সপ্তাহের তুলনায় সকল প্রকার সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

 

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবারের বাজারে কাতল মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, পাবদা ৪৫০ টাকা, মলা ৩৬০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, শিং মাছ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পাঙাশ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ২৬০ টাকা, বোয়াল ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, টেংরা ছোটগুলো ৫০০ আর বড় ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, রুই ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ এবং গলদা চিংড়ি ৭০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

 

অন্যদিকে শীত আর ইজতেমার অজুহাতে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। বাজারে প্রতি পিস ফুল কপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহেও ছিল ৩০ টাকা। একইভাবে বাঁধাকপিও প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, ব্রুকলি প্রতি পিস ৫০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা, গাঁজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, সিম প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৩০ টাকা, শালগম প্রতি কেজি ৩০, খিরা প্রতি কেজি ৩০ টাকা, ফুলকা প্রতি আটি ১৫-২০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মৌসুম না হওয়ায় বরবটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায় আর
পটল প্রতি কেজি ১২০ টাকা, নতুন আলু প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

সবজি ও মাছের দাম বাড়লেও গরুর মাংস আগের মতই ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়, লেয়ার মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় এবং ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

শুক্রবার মহাখালীর বাজারে সপ্তাহের বাজার করতে আসা ফয়সাল হাসান বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে সবজির দাম খুব বেড়েছে, শীতকালীন সব ধরনের সবজির দাম অন্য সময় কম থাকলেও আজ দেখছি অনেক বেশি। সেই সঙ্গে মাছের দামও আগের চেয়ে বেড়েছে। আজকের বাজারে সব দোকান থেকেই সবজি আর মাছের দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে।তুলনামূলক কম দাম হওয়ার কারণে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ বাজারে সবচেয়ে বেশি কিনে পাঙাশ, চাষের কই, তেলাপিয়া আর রুই মাছ। কিন্তু আজকের বাজারে এসব মাছের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রেতারা আজ বাজারে এসে এত দাম বৃদ্ধি দেখে অস্বস্তিতে পড়েছেন।

 

একই বাজারের মাছ বিক্রেতা রুবেল মিয়া বলেন, গ্রামাঞ্চলে শীতের কারণে মাছ তুলতে পারছেন না চাষিরা। এছাড়া কুয়াশাসহ শীতের কারণে পরিবহন করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকে। ফলে বাজারে মাছের সরবরাহ কম, এ কারণেই মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে।

 

অন্যদিকে সব ধরনের সবজির দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ী সেকেন্দার আলী বলেন, গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত শীত ও কুয়াশার কারণে কৃষকরা ফসল তুলতে পারছেন না। যে কারণে সরবরাহ কমেছে। তবে শীত কিছুটা কমলে আগের মতো প্রচুর সবজি সরবরাহ হবে। তখন দাম কিছুটা কমে আসবে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» এনসিপির সঙ্গে ৩ স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশের দূতাবাস প্রতিনিধিদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

» ডিসেম্বরের মধ্যে যারা নির্বাচন চাচ্ছেন, তারা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করছেন: নাসীরুদ্দীন

» শিবিরের ওপর হামলার নিন্দা ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান রাফির

» যারা চোরা পথ দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়, তারা নির্বাচন চায় না: ড. মঈন খান

» ‘বিএনপি বা অন্য দলের সঙ্গে এনসিপির আসন সমঝোতার দাবি ভিত্তিহীন’

» জুলাইয়ে লড়েছি বুলেটের বিরুদ্ধে, এবার লড়বো ব্যালটের বিপ্লবের জন্য: ড. মাসুদ

» জামায়াতকে নয়, ইসলামকে ক্ষমতায় আনতে চাই : ডা. শফিকুর রহমান

» এনএসসির ক্ষমতাবলে বিসিবির পরিচালক হয়েছেন বুলবুল: যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা

» প্রবাসীদের টাকায় তাদের জন্য দেশে হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে: আসিফ নজরুল

» শিক্ষার্থীরা যে মার্ক অর্জন করেছে তাই পাবে, কোন খয়রাতি মার্ক দেবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : dhakacrimenewsbd@gmail.com

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বেড়েছে সবজি ও মাছের দাম, মাংস বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই

ছুটির দিন সকালে বাজার করতে মিরপুরের শেওড়াপাড়া বাজারে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আনোয়ার হোসেন। কিন্তু বাজারে মাছ আর শীতের সবজির দাম বাড়তি দেখে অবাক তিনি। তিনি বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে শীতের প্রতিটি সবজির দামও বাড়তি। সব সবজিতেই অতিরিক্ত ১০ থেকে ২০ টাকা গুনতে হচ্ছে।

 

এদিকে মাছ বিক্রেতারা বলছেন, মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই দামে পরিবর্তন এসেছে। এছাড়া গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত শীতের কারণে মাছ সরবরাহ কম হচ্ছে, ফলে মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়া ব্যবসায়ীরা শীতের দোহাই দিয়ে বলছেন, গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত শীতের কারণে ফসল তুলতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীর বাজারে। পাশাপাশি গত সপ্তাহে বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্বের কারণে টঙ্গীতে প্রচুর পরিমাণে সবজির চাহিদা ছিল। সে সময় সবজির দাম বেড়ে আর কমেনি। আগামী ২২ জানুয়ারি ২য় দফায় ইজতেমার সময় পর্যন্ত সবজির দাম চড়া থাকতে পারে। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে শীত কিছুটা কমে আসলে বাড়বে সবজির সরবরাহ, তখন ফের কমতে পারে সবজি দাম।

 

আজ (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের মাছের দাম তুলনামূলক বেড়েছে। তবে গরু, খাসি, মুরগি, ব্রয়লারের দাম আগের মতই আছে। গত সপ্তাহের তুলনায় সকল প্রকার সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

 

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবারের বাজারে কাতল মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, পাবদা ৪৫০ টাকা, মলা ৩৬০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, শিং মাছ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, পাঙাশ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ২৬০ টাকা, বোয়াল ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, টেংরা ছোটগুলো ৫০০ আর বড় ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, রুই ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ এবং গলদা চিংড়ি ৭০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

 

অন্যদিকে শীত আর ইজতেমার অজুহাতে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। বাজারে প্রতি পিস ফুল কপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহেও ছিল ৩০ টাকা। একইভাবে বাঁধাকপিও প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, ব্রুকলি প্রতি পিস ৫০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা, গাঁজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, সিম প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৩০ টাকা, শালগম প্রতি কেজি ৩০, খিরা প্রতি কেজি ৩০ টাকা, ফুলকা প্রতি আটি ১৫-২০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মৌসুম না হওয়ায় বরবটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায় আর
পটল প্রতি কেজি ১২০ টাকা, নতুন আলু প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

সবজি ও মাছের দাম বাড়লেও গরুর মাংস আগের মতই ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়, লেয়ার মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় এবং ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

শুক্রবার মহাখালীর বাজারে সপ্তাহের বাজার করতে আসা ফয়সাল হাসান বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে সবজির দাম খুব বেড়েছে, শীতকালীন সব ধরনের সবজির দাম অন্য সময় কম থাকলেও আজ দেখছি অনেক বেশি। সেই সঙ্গে মাছের দামও আগের চেয়ে বেড়েছে। আজকের বাজারে সব দোকান থেকেই সবজি আর মাছের দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে।তুলনামূলক কম দাম হওয়ার কারণে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ বাজারে সবচেয়ে বেশি কিনে পাঙাশ, চাষের কই, তেলাপিয়া আর রুই মাছ। কিন্তু আজকের বাজারে এসব মাছের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রেতারা আজ বাজারে এসে এত দাম বৃদ্ধি দেখে অস্বস্তিতে পড়েছেন।

 

একই বাজারের মাছ বিক্রেতা রুবেল মিয়া বলেন, গ্রামাঞ্চলে শীতের কারণে মাছ তুলতে পারছেন না চাষিরা। এছাড়া কুয়াশাসহ শীতের কারণে পরিবহন করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকে। ফলে বাজারে মাছের সরবরাহ কম, এ কারণেই মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে।

 

অন্যদিকে সব ধরনের সবজির দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ী সেকেন্দার আলী বলেন, গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত শীত ও কুয়াশার কারণে কৃষকরা ফসল তুলতে পারছেন না। যে কারণে সরবরাহ কমেছে। তবে শীত কিছুটা কমলে আগের মতো প্রচুর সবজি সরবরাহ হবে। তখন দাম কিছুটা কমে আসবে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : dhakacrimenewsbd@gmail.com

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com