শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মণি বলেছেন, দেশের অগ্রযাত্রায় শিক্ষার্থীরাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই। সেজন্য শিক্ষার্থীদেরই এগিয়ে আসতে হবে। পড়ালেখাসহ সব কাজে শিক্ষার্থীদের স্মার্ট হতে হবে। তাহলেই স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবে রূপ পাবে। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণ হবে এবং আগামী ২০২৫ সাল থেকে নতুন পাঠ্যক্রমে শিক্ষাদান করা হবে।
আজ পুরান ঢাকার সেন্ট গ্রেগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে ‘মিশন উইথ এ ভিশন’ প্রতিপাদ্যে প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন দ্য গ্রেগরিয়ান সোসাইটির ‘টিজিএস ডে-২০২৩’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশের মন্ত্র দিয়েছে তাতে গ্রেগরিয়ানরা সর্বাগ্রে এগিয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় বর্তমানে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল বলে কিছু নেই। আমরা এখন খুব সহজেই দেশের যে কোনো অঞ্চলের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করতে পারি। আমরা চাই শিক্ষাব্যবস্থায় রূপান্তর আনতে আর সে পথেই হাঁটছি।
তিনি আরও বলেন, সেন্ট গ্রেগরির ছাত্ররা বরাবরই দেশের নেতৃত্ব দানে অগ্রজ ভূমিকা পালন করে আসছে। শিক্ষার্থীদের দক্ষতার দিক দিয়ে আরও সমৃদ্ধশালী করতে হবে। সেন্ট গ্রেগরির শিক্ষার্থীরা সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।
বক্তৃতার এক পর্যায়ে স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ছিলেন। আমার পরিবারের সদস্যরাও এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাগ্রহণ করেছে সেই সুবাদে আমি এই প্রতিষ্ঠানকে আমার নিজের প্রতিষ্ঠান বলেও মনে করি।
অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে ছিলেন ইউসুফ রেজাউর রহমান ও সঞ্চালনায় ছিলেন সৈয়দ এ হাবিব। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সেন্ট গ্রেগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ব্রাদার উজ্জ্বল প্লাসিড পেরেইরা। তিনি বলেন, শিক্ষার দিক দিয়ে সেন্ট গ্রেগরি অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। আজকের এই মিলন মেলায় সাবেক ও বর্তমান অনেক শিক্ষার্থী উপস্থিত আছেন। দেশের অগ্রযাত্রায় গ্রেগরিয়ানরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। দেশে-বিদেশে তারা সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। একজন শিক্ষার্থীকে শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য গুণাবলী গুলোও অর্জন করতে হবে। আমরা চাই গ্রেগরিয়ানরা আরও এগিয়ে যাক।
এসময় অনুষ্ঠানে দ্যা গ্রেগরিয়ান সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ইউসুফ রাহমান, রাজনীতিবিদ ও প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ছাত্র মুজাহিদ হোসেন সেলিম, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ এবং সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।