জন্মের পর থেকে অন্তত ছয় মাস সদ্যোজাতকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। শিশুদের শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি বা তেষ্টা মেটাতে মাতৃদুগ্ধের কোনো বিকল্প নেই। তবে সন্তানের পেট ভরল কিনা বা বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছে কিনা, তা নিয়ে নতুন মায়েদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই।
খিদে পেলেই সময় মতো দুধ খাইয়ে পেট ভরিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু সন্তানের শরীরে আর্দ্রতার অভাব হচ্ছে কিনা, তা বুঝতে পারছেন না। অনেকেই ভাবেন, এক ফোঁটা পানি খাওয়ালে কী খুব অসুবিধা হতে পারে?
সদ্যোজাতদের নিয়ে নতুন মা-বাবাদের মনে নানা রকম প্রশ্নের উদয় হওয়া অস্বাভাবিক নয়। জন্মের পর থেকে ছয়মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ ছাড়াও পানি খাওয়ানোর প্রয়োজন আছে কিনা সে বিষয়ে চিকিৎসকদের মতো কী?
কেন পানি খাওয়ানো উচিত নয়?
জন্মের পর পরই বাইরের কোনো জিনিস খাওয়ার মতো অবস্থায় থাকে না সদ্যোজাতটি। কারণ, গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তৈরি হলেও পূর্ণমাত্রায় তার বিকাশ ঘটে না। চিকিৎসকদের মতে, জন্মের পর পরই সদ্যোজাতের পেটে যে কোনো তরলের পরিমাপ থাকে মাত্র পাঁচ থেকে দশ মিলিলিটার। তার চেয়ে বেশি যে কোনো তরলই তাদের জন্য অপ্রয়োজনীয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাকস্থলী এবং কিডনির কার্যক্ষমতাও বাড়লেও মেপে পানি খাওয়ানো উচিত।
কবে থেকে পানি খাওয়া শুরু করা উচিত?
জন্মের পর থেকে অন্তত ছয়মাস নবজাতককে পানি খাওয়ানোর কোনো প্রয়োজনই পড়ে না। যদি একান্ত প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে কয়েক ফোঁটা পানি দেওয়া যেতে পারে। তবে তা অবশ্যই আগে থেকে ফুটিয়ে নিতে হবে। চিকিৎসকদের ভরসা কিন্তু সেই মায়ের দুধ।
প্রথম পানি খাওয়ানোর আগে
সদ্যোজাতকে বাইরের যে কোনো জিনিস প্রথম খাওয়ানোর আগে খানিক সতর্ক থাকার প্রয়োজন। কোনো অবস্থাতেই সাধারণ কল বা ফিল্টারের পানি খাওয়ানোর ঝুঁকি নেয়া উচিত নয়। কারণ সাধারণ পানিতে ক্লোরিন, ফ্লুরাইডের মতো যৌগ থাকে, যা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট ক্ষতিকারক।
কতটা পানি খাওয়ানো উচিত
চিকিৎসকদের মতে, ছয়মাসের পর থেকে সারা দিনে শিশুদের আধ কাপ পর্যন্ত পানি খাওয়ানো যেতে পারে। তবে মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর পর যদি খুব প্রয়োজন পড়ে, তবেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাইরে থেকে পানি বা ফলের রস খাওয়ানো যেতে পারে।
সূএ: ডেইলি-বাংলাদেশ