রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণ-অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে বিএনপি। গণ-অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা যায়।
আজ সকাল সাড়ে ১০টায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে গণ-অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।
এর আগে সকাল থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে গণ-অবস্থান স্থল নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকে।
রাজধানীর ফকিরাপুল মোড় থেকে নাইটিংগেল মোড় পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। এদিকে ফকিরাপুল মোড় থেকে নাইটিংগেল মোড় পর্যন্ত বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিএনপির গণ-অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ফকিরাপুল মোড় এবং নাইটিঙ্গেল মোড়ে সাঁজোয়া যান ও জলকামানসহ পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
১০ সাংগঠনিক বিভাগে গণ-অবস্থানে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বিভাগীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবে।
৬ সাংগঠনিক বিভাগে গণ-অবস্থান করার ঘোষণা দিয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। রাজধানীর পূর্ব-পান্থপথস্থ এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে এলডিপি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ। একই সময়ে ১১টি দলের সমন্বয়ে গঠিত নতুন ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’ পুরানা পল্টন প্রিতম টাওয়ারের সম্মুখে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।
অন্য ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কের সামনে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে জোটের নেতারা।
এদিকে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনে শরিক থাকবে গণফোরাম (একাংশ)। মতিঝিল নটরডেম কলেজের উল্টো দিকের রাস্তায় গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে তারা।
জাতীয় প্রেসক্লাবের অপজিটে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য। রাজধানীর বিজয়নগর গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে সমমনা গণতান্ত্রিক জোট। সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় কর্মসূচি চলছে আজ।