জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসেবাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে গেছেন। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসাসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিয়ে এসেছেন আমূল পরিবর্তন, গ্রামগঞ্জে করেছেন কমিউনিটি ক্লিনিক। সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্যসেবা অধিকতর নিশ্চিতে হোমিওপ্যাথি ও আয়ুর্বেদিকের মতো চিকিৎসাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হবে।
আজ (৩ জানুয়ারি) শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। মোতাহার হোসেন তালুকদার হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং গজারিয়া, সিরাজগঞ্জে ওই মেডিকেল কলেজের প্রথম-দ্বিতীয় ব্যাচের চিকিৎসক নিবন্ধন, সনদপত্র বিতরণের জন্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় তিনি চিকিৎসকদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, হোমিওপ্যাথি ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত। সাধারণ মানুষ আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থার পাশাপাশি এ চিকিৎসাব্যবস্থার সুফল ভোগ করছে। তবে প্রশিক্ষিত চিকিৎসকদের মাধ্যমে এ চিকিৎসাব্যবস্থা চালু থাকতে হবে, যাতে মানুষ ভুল চিকিৎসায় কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
শামসুল হক টুকু বলেন, সুস্থ্ মানবসম্পদ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সব পর্যায়ে জনগণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। প্রতিটি গ্রামে ডিগ্রিধারী ও প্রশিক্ষিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক থাকলে সাধারণ মানুষের চিকিৎসার সুযোগ আরও সহজতর হবে।
সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়, সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কে এম হোসেন আলী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, সিরাজগঞ্জ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সূর্য বক্তব্য নেন। অনুষ্ঠানে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।