বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন স্কুল পরিচালিত বহিঃবাংলাদেশে এএসসি ও এইচএসসি ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে (২০২৩) শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ দূতাবাস, কুয়েত তাদের ভেরিফাইড ফেসবুকে পেজে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতারে কর্মরত কিংবা বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা সংশ্লিষ্ট দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হতে পারবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে’র (বাউবি) অধীনে ২০২০-২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল যা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুমোদিত হয়েছে।
এর আগে এ সংক্রান্ত অনলাইনে একটি জরিপ পরিচালনা করা হয়, যেখানে পাঁচ হাজারের বেশি আগ্রহী কুয়েত প্রবাসী এসএসসি ও এইচএসসি প্রোগ্রামে ভর্তি হতে ইচ্ছা পোষণ করেন। পরে বাউবি কর্তৃক ভর্তির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
তারা মানবিক ও ব্যবসায় শাখা ভর্তি হতে পারবে। বাংলাদেশ দূতাবাস, কুয়েত এই শিক্ষা কার্যক্রমের প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করবে। এই প্রোগ্রামের সকল ক্লাস অনলাইনে বাউবির মাধ্যমে পরিচালিত হবে। আগ্রহী কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশিদের আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে বাউবির বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত নির্দেশনা মোতাবেক অনলাইনে iapw.bou.ac.bd প্রবেশ করে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
www.iapw.bou.ac.bd ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে সমস্যা হলে বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে যেকোনো ব্রাউজার থেকে আইপি এড্রেস ব্যবহার করে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করা যাবে। প্রাথমিক আবেদনের প্রেক্ষিতে বাউবি যোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা আগামী ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে বাউবির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
নামের তালিকা প্রকাশের পর অনলাইনের পুরণকৃত আবেদন পত্রের প্রিন্ট কপি এবং নির্ধারিত ফি বাংলাদেশ দূতাবাস, কুয়েতে ২৬ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখের মধ্যে জমা করে ভর্তির কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
আগামী ১০ মার্চ ২০২৩ তারিখ থেকে অনলাইনে ক্লাস শুরু হবে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব, কাতার আগে থেকে চালু থাকলেও কুয়েতে এই প্রথম চালু হয়েছে প্রবাসীদের বাউবি ভর্তির সুযোগ।
চট্টগ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আর্থিক স্বচ্ছলতা ও পরিবারের হাল ধরতে পাঁচ বছর আগেই এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ধারদেনা করে ভিসা নিয়ে কুয়েতে আসি। পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ থাকলেও আর্থিক সংকটের কারণে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ সরকার যেহেতু আমাদের প্রবাসীদের বাউবিতে পড়াশোনার সুযোগ দিয়েছে অবশ্যই ভর্তি হবো। আমার মতো অনেক প্রবাসী এই সুবিধা গ্রহণ করে নিজে কর্মদক্ষতার পাশাপাশি প্রাপ্ত সনদ কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারবে।
অপর এক কুয়েত প্রবাসী জাহিদ হোসেন জনি বলেন, গত কয়েক বছরে যেসব তরুণ যুবক কুয়েতে এসেছে তাদের বেশিভাগই এইচএসসি পাস। আমাদের জন্য ডিগ্রি ও অনার্স কোর্সের চালুর করা দাবি জানাই বাংলাদেশ সরকারের কাছে।