পহেলা জানুয়ারিতেই বই উৎসব করবে সরকার। আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে উৎসব করতে এরই মধ্যে জেলা ও উপজেলায় সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
বিভিন্ন জেলায় মন্ত্রী, এমপিরা এই উৎসব করবেন। কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিকের বই উৎসব হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। আর মাধ্যমিকের বই উৎসব হবে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে।
এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রতিটি শ্রেণির একজন করে শিক্ষার্থীকে এক সেট করে বই দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করবেন।
বিষয়টি জানিয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, খুবই আড়ম্বরপূর্ণভাবে সারা দেশে পাঠ্যপুস্তক উৎসব হবে। করোনার কারণে যেহেতু গত দুই বছর উৎসব হয়নি, এ বছর আমরা প্রতিটি জেলা-উপজেলায় জানিয়ে দিয়েছি আড়ম্বর করে উৎসবমুখর পরিবেশে বই দেওয়ার জন্য। আমরা যেহেতু ৮০ ভাগ বই পৌঁছে দিতে পেরেছি। সারা দেশেই জাঁকজমকভাবে উৎসব আয়োজনের কথা বলেছি। প্রাথমিকের বই উৎসব ঢাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে হবে। মাধ্যমিকের বই উৎসব এবার মন্ত্রী (শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি) করবেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে। উপজেলার মুড়াপাড়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হবে এ উৎসব। এর আগের দিন ৩১ ডিসেম্বর সকালে বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এনসিটিবি সূত্র জানায়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪ কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে সাড়ে ৩৪ কোটির বেশি কপি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রাকপ্রাথমিক, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি মিলিয়ে এই স্তরে ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫৩ হাজার এবং মাধ্যমিক স্তরে স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি মিলিয়ে ২৪ কোটি ৬৩ লাখ ১০ হাজার কপি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষার বই ছাপা হচ্ছে ২ লাখ ১২ হাজার ১৭৭ কপি। মঙ্গলবার পর্যন্ত মাধ্যমিকে ৮১ শতাংশ বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছেছে। আর প্রাথমিকে গত রোববার পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে ৬৮ শতাংশ বই।