বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম : গত সপ্তাহের পুরোটাই ছিল ব্যাপক ঘটনাবহুল। বৃহস্পতিবার সখিপুরে ছিলাম। সিলিমপুরের খামারে কাটিয়েছি সারা দিন। হঠাৎ ফোন পাই আমার মামাতো ভাই বাবুল আর ইহজগতে নেই। দুপুরের দিকে ফোন আসে। চিন্তায় পড়ে গেলাম বাবুলের জানাজায় শরিক হতে পারব কি না। টাঙ্গাইল সদরের কান্দুলিয়ায় জানাজা। জানাজায় শরিক হতে পারিনি। টাঙ্গাইলের পথে হঠাৎ আবার ফোন আসে ’৭৫-এর প্রতিরোধ যোদ্ধা বর্তমান সংসদ সদস্য মানু মজুমদারের, ‘স্যার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কথা বলতে চান। আপনি কি কথা বলবেন?’ একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী কথা বলতে চাইলে তাঁর সঙ্গে কথা বলব না, এটা কি হয়? নিশ্চয়ই বলব। যখন খুশি ফোন করতে পারেন। একটু পর ডিজি এসএসএফের নম্বর পেয়ে ফোন করি, বোন নাকি কথা বলতে চান? ‘হ্যাঁ, ম্যাডাম আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছেন। একটা মিটিংয়ে আছেন। একটু পর আপনার সঙ্গে মিলিয়ে দিচ্ছি।’ আধা ঘণ্টা পর ডিজি এসএসএফ প্রিয় বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ফোনে মিলিয়ে দেন। অনেক দিন বোনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়নি। তাই কথা বলতে খুবই ভালো লাগছিল। শরীর-মন আনন্দে নেচে উঠেছিল। প্রথমেই জিজ্ঞাসা করেন, ‘বজ্র, তোমার বউ কেমন আছে? ছেলেমেয়েরা কেমন?’ আল্লাহর রহমতে ভালোই আছে। আমি জয়-পুতুলের কথা জিজ্ঞাসা করেছিলাম। বোন বললেন, ‘জয় কেবলই বাইরে থেকে এলো।’ তিনি বললেন, ‘কথা বলব চলে এসো। আসবেই যখন সবাইকে নিয়ে এসো।’ একটু পর মেজর জেনারেল মুজিবুর রহমান, ডিজি এসএসএফ বললেন, ‘স্যার কখন এলে আপনার সুবিধা। কাল শুক্রবার। বিকালের দিকে এলে কেমন হয়?’ বললাম, ঠিক আছে। স্থির হলো সন্ধ্যা ৬টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ। আমি টাঙ্গাইলে ছিলাম। সকালেই রওনা হয়ে চলে আসি। রাস্তা ছিল ফাঁকা। দুই ঘণ্টার বেশি লাগেনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে তিনটি বই ও দুটি গামছা নিয়ে গিয়েছিলাম আর কিছু টাঙ্গাইলের চমচম। প্রধানমন্ত্রীর নিবাস বিধিনিষেধে ভরা। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে কয়েক মিনিট আগেই পৌঁছে ছিলাম। গাড়ি থেকে নেমেই অবসরপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মো. শহীদ উল্লা খন্দকারের সঙ্গে দেখা। ভদ্রলোক ’৯৬ সালে সখিপুরের ইউএনও ছিলেন। তখন তার এক ছেলে ওয়ান-টুতে পড়ত। এখন সে অস্ট্রেলিয়ায় লেখাপড়া করে। ওয়েটিং রুমে বসেছিলাম। হঠাৎ একগাদা দাড়িসহ রমাকে দেখলাম। বিশ্বাস করতে পারছিলাম না ছোট্ট রমা এমন হয়ে যেতে পারে। একমুখ দাড়িওয়ালা রমাকে দেখে বেশ ভালো লেগেছে। রমা একমাত্র ব্যক্তি, যে ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞের সময় ১৩-১৪ বছরের বাচ্চা হিসেবে ধানমন্ডির ৩২-এর বাড়িতে ছিল। মাঝে চা দিয়ে যায়। যদিও আমরা চা খাইনি। একটু পরে ডিজি সাহেব এসে মুখ দেখিয়ে যান। বলেন, ‘একটু পরই আপনাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’ সত্যিই একটু পরই বোনের সঙ্গে দেখা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে রুমে বসে দৈনন্দিন কাজ করতেন সেই রুমে। বিকালে সামনের বাগানে হাঁটাচলা করতেন। অনেকবার পিতার সঙ্গে আমিও হাঁটাচলা করেছি। বিশাল রুম। এক পাশে টেবিল-চেয়ার, অন্য পাশে ১০-১৫ জন বসার মতো চমৎকার সোফা সাজানো। নেত্রী বোন হাসিনার একেবারে পশ্চিম-উত্তর কোণে বসার জায়গা। আমরা গিয়েছিলাম চারজন। আমি, আমার স্ত্রী নাসরীন, মেয়ে কুঁড়ি, কুশি। ছেলে দীপ বাইরে থাকায় যেতে পারেনি। মনে হয়, ২২-২৩ বছর পর আনুষ্ঠানিক আলাপ-আলোচনা। এর আগে জাতীয় দিবসে রাষ্ট্রপতি ভবনে, সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জে, শোক দিবসে ধানমন্ডির ৩২-এ বেশ কয়েকবার দেখা এবং কথা হয়েছে। ৩২-এর বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে আমার ছোট মেয়ে কুশিকে ভীষণ আদর করেছিলেন এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে বলেছিলেন, ‘বজ্র, তুমি মস্তবড় কাজ করেছ। সবাই এমনটা করতে পারে না। এজন্য আল্লাহ তোমাকে অনেক পুরস্কার দেবেন, এ দুনিয়াতেই দেবেন।’ তাঁর কথায় বুক ভরে গিয়েছিল। আমরা বোনের সামনে হতেই কুশিকে দেখে ‘এত বড় হয়েছে’ বলে বিস্ময় প্রকাশ করলেন। বলেছিলাম, মা নবম শ্রেণিতে পড়ে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে তিনি বললেন, ‘ওকে যতটা পারো যত্ন নিও’। মনে হয় আমরা তিনজন একসঙ্গে বলে উঠেছিলাম, আমরা ওর কি যত্ন নেব। ও-ই আমাদের যত্ন নেয়, ও-ই আমাদের চালায়। যেখানে আমাদের ছেলেমেয়ে দিনরাত খোটাখুটি করত, ঝগড়া-ফ্যাসাদ করত, ছোট মামণিকে পেয়ে আমার বাসায় কোনো ঝগড়াঝাঁটি নেই, কোনো উত্তেজনা নেই, কোনো রাগারাগি নেই। মা থাকতে যেমন অনেক কিছু না থাকতেও আমরা শান্তিতে হাবুডুবু খেতাম, ঘর আলো করে কুশিমণি আসার পর সেই একই অবস্থা। সত্যিই নানা দিকে ছোটখাটো কষ্ট থাকলেও অপার শান্তিতে আছি।
বহুদিন পর অনেক সময় ছিলাম প্রিয় বোনের কাছে। একই পরিবারের লোকজনের মতো কথাবার্তা আলাপ-আলোচনা হয়েছে। তাঁর আন্তরিকতা আমাদের মুগ্ধ করেছে। বোন হাসিনাকে আলাপের মাঝে প্রধানমন্ত্রী মনে হয়নি, আপনজন মনে হয়েছে। অনেক বিষয়েই অনেক কথা হয়েছে। বেশ কয়েকবার উঠতে চাইলে বা সময় আছে কি নেই জিজ্ঞাসা করলে বললেন, ‘আরে বোসো’। তার কথায় আমার প্রণবদার কথা মনে হচ্ছিল। প্রণবদার সঙ্গে দিল্লিতে মাঝেমধ্যেই দেখা হতো, কথা হতো। এক রাতে ১০টার দিকে প্রণবদার সঙ্গে কথা বলছিলাম। তখন তিনি দেশরক্ষা মন্ত্রী। আমি যখন প্রণবদার ঘরে যাই তখনও ১০-১২ জন দর্শনার্থী তাঁর অপেক্ষায় ছিলেন। সেখানে তিনজন মুখ্যমন্ত্রী, কয়েকজন এমপি এবং কয়েকজন বড় দরের মানুষ। আধা ঘণ্টা পর কথাবার্তার মাঝে একবার বলেছিলাম, ‘দাদা, বাইরে লোকজন আছে, আমি এখন যাই।’ প্রণবদা সঙ্গে সঙ্গে বলেছিলেন, ‘আরে বাঘা, তুমি এলে তোমার সঙ্গে কথা বলতে আমার ভালো লাগে। ওরা এসেছে ওদের কাজে। তুমি এসেছ আমার কাজে। তাই তাড়াহুড়োর কোনো দরকার নেই।’ প্রায় এক ঘণ্টা পর যখন উঠে বেরোতে যাচ্ছিলাম তখন দাদা বলছিলেন, ‘তোমার দিদিকে দেখে যেও। গীতা তোমার জন্য খাবার নিয়ে বসে আছে।’ এই ছিল ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণবদার সঙ্গে আমার সম্পর্ক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমি বোনের মতোই দেখি। তা-ও আবার বড় বোন। আমার সন্তানের মতো তিনজন ছোট বোন- রহিমা, শুশু এবং শাহানা। কিন্তু আমার কোনো বড় বোন ছিল না। ’৭৭-এর শেষে দিল্লিতে বোন শেখ হাসিনা বড় বোনের মতোই আমাকে আদর-যত্ন করেছেন। সেদিনও সেটা অনুভব করেছি। তাঁর গভীর আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এক-দেড় ঘণ্টায় যত রকম কথাবার্তা বলা যায় প্রায় সবই হয়েছে। এমনকি আমার স্ত্রী এবং আমি ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা চেয়েছি। হায়াত-মউতের কথা বলা যায় না। কখন চলে যাই ঠিক নাই। তাই আল্লাহর ওয়াস্তে ক্ষমা করে দিয়েন। হজে যাওয়ার পথে অনেকেই ক্ষমা চায়। আমার দিক থেকেও মনে হয়েছে মানুষ কেউ ত্রুটিমুক্ত নয়। তাই একজন মুসলমান হিসেবে ক্ষমা চাওয়া উচিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বোন হাসিনাও খুব স্বাভাবিকভাবেই ক্ষমার কথা বলেছেন। আমাদের ভালো লেগেছে। কুশিকে যথেষ্ট আদর করেছেন। কুঁড়িকে বলেছেন, ‘ল পাস করে আমার কাছে এসো, তোমাকে দরকার।’ বহুদিন পর নেত্রীর সঙ্গে নানা ধরনের কথা বলে চলে আসার পথে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, সাংবাদিকরা যখন জানতে চাইবে তখন কী বলব? ‘বলবে সম্পূর্ণই পারিবারিক’। অনেককে তা-ই বলেছি। প্রধানমন্ত্রীর দিক থেকে সাক্ষাতের খবর আগেই দিয়ে দেওয়া হয়েছিল পত্রিকায়। পরদিন গিয়েছিলাম আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলনে। যাওয়ার পথে অনেক ইলেকট্রনিক মিডিয়া প্রশ্ন করেছিল, সম্মেলন কেমন হবে? সম্মেলনে নেতা নির্বাচন কেমন হবে? দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছিলাম, সামনে এক বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন। তাই তেমন হেরফের হবে না। সভাপতির কোনো বিকল্প নেই। সাধারণ সম্পাদক অনেকেই হতে পারেন। নতুন কাউকে বানালে অন্য যারা সাধারণ সম্পাদক হওয়ার উপযুক্ত তাদের মনে কষ্ট হবে। আর আমাদের সাক্ষাতের সময় সভানেত্রীর একটি কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমার মনে হয়েছিল ওবায়দুল কাদেরকে পরিবর্তন করা হবে না। যোগ্যতা-দক্ষতার দিক থেকে ওবায়দুল কাদের একেবারে ফেলনা নয়। অন্যদিকে নতুন কাউকে সাধারণ সম্পাদক বানালে সাধারণ সম্পাদক হওয়ার উপযুক্ত যারা তারা যিনি সাধারণ সম্পাদক হবেন তিনি ছাড়া বাকিরা মানসিক কষ্ট পাবেন। এ সময় জাতীয় নির্বাচনের এক বছর আগে নেত্রী তেমন কাউকে সে রকম কষ্ট দিতে রাজি হবেন না। তাই ওবায়দুল কাদেরের সাধারণ সম্পাদক হওয়া অবধারিত। কথায় কথায় আরেকটি কথা উঠেছিল। বোন বলেছিলেন, ‘বজ্র, ওবায়দুল কাদের অসুস্থ হয়ে যখন হাসপাতালে তখন মরেই গিয়েছিল। এর মাঝে একবার তার চেতনা হারিয়ে গিয়েছিল। ডাক্তাররা ডেড ঘোষণা করেছিলেন। আমি গিয়ে তিন-চার বার ওবায়দুল কাদেরকে জোরে জোরে ডাকলে তার শান্ত স্থির চোখের মণি একটু নাড়াচাড়া করে। আশপাশে যে ডাক্তাররা ছিল তারা সবাই বিস্মিত হয়ে যায়। আবার চেষ্টা চালানো শুরু হয়। তার সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গই কাজ করা শুরু করে। সেই সময় দেবী শেঠীকে বিশেষ বিমানে আনা হয়। ওবায়দুল কাদেরকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তিনি বলেছিলেন, চিকিৎসা সুন্দর হয়েছে। কোনো ত্রুটি নেই। পৃথিবীর যে-কোনো দেশে এর চাইতে ভালো বা উন্নত চিকিৎসা হতো না। পরে স্থির হয় সিঙ্গাপুর পাঠানোর। আল্লাহর মেহেরবানিতে ওবায়দুল কাদের এখনো আমাদের মাঝে আছে।’ এ ধরনের একটি মায়ের মতো অনুভূতি শুনে আমি ধরে নিয়েছিলাম ওবায়দুল কাদেরই সাধারণ সম্পাদক হবেন। তা-ই হয়েছে। সিদ্ধান্তের দিক থেকে এটা মাননীয় নেত্রীর শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত। ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে আমার সব সময়ই যোগাযোগ আছে। লোকটিকে আমি খুবই ভালোবাসি, স্নেহ করি, সম্মান করি। নতুন করে সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে অভিনন্দনও জানিয়েছি। মাননীয় নেত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী বোন শেখ হাসিনাকে গভীর অভিনন্দন জানাই। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পূর্ণ কমিটিকেও আমার, আমার পরিবার এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই।
২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলন আমার খুবই ভালো লেগেছে, সুশৃঙ্খল মনে হয়েছে। দেশে গণতন্ত্র নেই, কোনো দলেই নেই। তবু এবার আওয়ামী লীগের এ সম্মেলনে অনেকটাই গণতন্ত্রের চেষ্টা করা হয়েছে তাই অভিনন্দন জানাই। তবে ২৪ ডিসেম্বর ছিল আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। অনেক রক্তের মধ্য দিয়ে ১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জন্ম হয়েছিল। জানি না কেন সেই দিনে আওয়ামী লীগের এমন চমৎকার সম্মেলনের দিন ধার্য করা হয়েছিল। আমরা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ তাই জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারির কোনো দিন আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করব। তবে আওয়ামী লীগের সম্মেলন থেকে ফেরার পথে সাংঘাতিক জুলুম লক্ষ করলাম। সম্মেলনস্থল থেকে গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছতে আমার ৩০-৪০ মিনিট লেগেছে। যেখানে নির্বিঘ্নে পৌঁছাতে পারলে ৫-৬ মিনিট লাগার কথা। জোয়ান-বুড়া সবার সেলফি তোলার শখের কাছে আমি একেবারে পরাজিত। সেলফি তোলা তবু একটা ব্যাপার। কিন্তু যে পরিমাণ ধাক্কাধাক্কি করে কল্পনা করা যায় না। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ আমাকে কাছে পেলে তাদের উৎসাহ অনেক বেড়ে যায়। সেলফি তুলতে উন্মাদ হয়ে যায়। সেলফিওয়ালাদের চাপ সামলাতে শক্তমর্দ ১০ জনের দরকার। লোকের অভাব নেই। কিন্তু এ রকম জাতীয় অনুষ্ঠানে ও রকম লোক নিয়ে যাওয়া যায় না। তাই যা অসুবিধা। যেটা ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সম্মেলনেও বেরোবার পথে হয়েছে। টাঙ্গাইলের দুটি ছেলে ভীষণ সাহায্য করেছে। ছেলেগুলো ছাত্রলীগ করে। তাদের ব্যবহারে আমাদের ছাত্রলীগ করার সময়ের কথা মনে হয়েছে।
লেখক : রাজনীতিক
www.ksjleague.com সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন