প্রভাষ আমিন : বাংলাদেশের মানুষ ছড়িয়ে আছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। সংখ্যাটাও কম নয়- কোটির ওপরে। নানা কারণে, এমনকি অকারণেও মানুষ বিদেশে যায়। মুখে যে যাই বলুন বাংলাদেশের মানুষ বিদেশে যায় মূলত ভাগ্য বদলাতে, উন্নত জীবনের আশায়। প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে অনেকেই আছেন কাজের খোঁজে যান, আবার ফিরেও আসেন। অনেকে একেবারে চলে যান। অল্পকিছু আছেন যারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সমর্পণ করে নতুন দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। দেশের নিম্নবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ জমিজমা বিক্রি করে বিদেশে যান ভাগ্য বদলানোর আশায়। তারা মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠান। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সে অর্থনীতি সচল থাকে, রিজার্ভ বাড়ে। তবে উচ্চমধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্তের পরিবারের সদস্যরা উন্নত জীবনের আশায় উন্নত বিশ্বে যান এবং তারা দেশের সব সম্পদ বিক্রি করে সেই অর্থ পাচার করে কানাডা-আমেরিকায় সম্পদ কেনেন। যারা বাংলাদেশের জাতীয়তা সমর্পণ করে ভিন্ন দেশের পাসপোর্ট গ্রহণ করেন, সেই উদ্বাস্তুরা আজকের লেখার বিষয় নয়। যারা কারণে, অকারণে, বাধ্য হয়ে, বাধ্য হওয়ার ভান করে স্থায়ী বা অস্থায়ী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করেন তাদের নিয়েই আজকের লেখা। অনেকেই প্রবাসীদের, বিশেষ করে যারা স্থায়ীভাবে বিদেশে বসবাস করেন তাদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু আমি কোনোভাবেই এ প্রশ্নের সঙ্গে একমত নই। বরং আমার অভিজ্ঞতা ভিন্ন। দেশপ্রেমের পরীক্ষায় পাস করতে ১০০ পেতে হয়, ৯৯ পেলেও অকৃতকার্য। দেশপ্রেম আসলে একটা স্বতঃস্ফূর্ত বিষয়। আমরা এই যে বেঁচে আছি, শ্বাস নিচ্ছি; আমরা কিন্তু বাতাসের গুরুত্বটা টের পাচ্ছি না। কিন্তু যখনই শ্বাস নিতে কষ্ট হয় তখনই একটু অক্সিজেনের জন্য হাঁসফাঁস করি। দেশপ্রেমটাও তেমন। আমরা দেশে থাকি। প্রতিদিন চারপাশের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ পাচার, লুটপাট দেখে ক্ষুব্ধ হই; ভোটের অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা না থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলি। তবুও এ দেশটাই আমাদের প্রিয়। এত শঠতা, এত যে ব্যথা; তবু যেন তা মধুতে মাখা।
বলছিলাম যারা কারণে বা অকারণে, বাধ্য হয়ে বা বাধ্য হওয়ার ভান করে, স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে বিদেশে থাকছেন; তাদের কথা। ব্যক্তিগতভাবে মিশে, কথা বলে দেখেছি; তাদের প্রায় সবাই অন্তরে বাংলাদেশকে ধারণ করেন। সারাক্ষণ বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবেন। এমনকি আমরা যারা দেশে থাকি তাদের চেয়েও বেশি দেশের খবর রাখেন। কথা বলে মনে হয়েছে দেশে থাকতে না পারার বেদনা সারাক্ষণ পোড়ায় তাদের। সারাক্ষণ দেশ নিয়ে ভাবনাচিন্তায় দেশে থাকতে না পারার বেদনার ক্ষত ঢাকতে চান তারা। তাদের শরীরটা থাকে নিউইয়র্কে, হৃদয়টা ঢাকায়। প্রবাসী ভাই-বোনদের দেশের প্রতি এই টান, এই দরদ আমাকে মুগ্ধ করে, অভিভূত করে। আমি নিজের দেশপ্রেমটা তাদের কাছ থেকে ঝালাই করে নেই। আসলে দূরে গেলেই টানটা টের পাওয়া যায়। দেশের বাইরে কোথাও গেলে দুই/তিন দিন পর থেকেই অন্তর পোড়াতে থাকে কখন ফিরব। ঢাকায় নামার পর বিমানবন্দর থেকেই নানা অনিয়ম, দুর্ভোগ, যানজট, কালো ধোঁয়ায় আবার বিরক্ত হই। তবু বুক ভরে শ্বাস নেই চেনা বাতাসে, আহা প্রিয় বাংলাদেশ।
বলছিলাম যারা বাধ্য হয়ে বা বাধ্য হওয়ার ভান করে দেশের বাইরে গেছেন তাদের কথা। ইদানীং দেশের বাইরে থাকা কয়েকজনের কথা শুনে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ আর বাসযোগ্য নেই। এখানে নিরাপত্তা নেই, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই, গণতন্ত্র নেই, ভোটাধিকার নেই, ফ্যাসিবাদের কবলে বাংলাদেশ। এ কারণেই তারা বাধ্য হয়ে দেশের বাইরে চলে গেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে যদি ১ কোটি মানুষও দেশের বাইরে থাকেন, তার মানে ১৭ কোটি মানুষ এখনো এ ‘বাসের অযোগ্য’ বাংলাদেশেই আছেন। এ ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে বিশাল অংশ আছেন যারা সরকারবিরোধী। পরিবহন ধর্মঘট, মামলা, হামলার পরও বিএনপির ১০টি বিভাগীয় সমাবেশে কয়েক লাখ লোক সমবেত হয়েছেন। এ কয়েক লাখ লোক কিন্তু মার খাওয়ার ঝুঁঁকি, মামলার ঝুঁঁকি, গ্রেফতারের ঝুঁঁকি, এমনকি মৃত্যুর ঝুঁঁকি নিয়েই ঘর থেকে বেরিয়েছেন। কয়েকজন প্রবাসী বিপ্লবীর অভিযোগ সত্য বলে ধরে নিচ্ছি, আওয়ামী লীগ বিরোধী মতকে দমন করছে। তবে শুধু আওয়ামী লীগ নয়, যুগ যুগ ধরেই ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমন করতে নানান কায়দা অবলম্বন করে। জিয়ার আমলে হয়েছে, এরশাদের আমলে হয়েছে, খালেদা জিয়ার আমলে হয়েছে, শেখ হাসিনার আমলেও হচ্ছে। যুগে যুগে সাহসী মানুষেরা মাঠে থেকে লড়াই করেছে, পালিয়ে গিয়ে বক্তৃতা করেনি। যারা বিদেশে বসে বড় বড় কথা বলছেন তারা নিশ্চয়ই এমন কোনো অপকর্ম করেছেন যাতে তারা বাংলাদেশে নিজেদের নিরাপদ মনে করেননি। অথবা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়ার আয়েশটাই তাদের লক্ষ্য ছিল; অভিযোগ সব উপলক্ষ মাত্র। আমেরিকায় বসে আরামে ইউটিউবে বিপ্লব করার সুযোগ থাকলে কে বাংলাদেশে মামলা-হামলার ঝুঁঁকি নিতে চাইবে। অল্প দু-একজন সত্যি সত্যি দেশ ছাড়তে বাধ্য হলেও বেশির ভাগই বাধ্য হওয়ার ভান করে বিদেশে পালিয়েছেন। হঠাৎ করে ফেসবুকে কাউকে বিপ্লবী হতে দেখলে আমার সন্দেহ জাগে। ধর্ম বা রাজনীতি নিয়ে বিতর্কিত কিছু লিখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা ম্যানেজ করতে পারলে বা জঙ্গিদের কাছ থেকে একটা ‘ডেথ থ্রেট’ আনাতে পারলেই কেল্লাফতে। ব্যস, তার পর উন্নত বিশ্বে গিয়ে আরাম করে বিপ্লব করা যাবে। বলছিলাম, ফেসবুকে হঠাৎ কাউকে বিপ্লবী হতে দেখলে আমার সন্দেহ জাগে। কয়েক দিন পরই দেখি হঠাৎ তার স্ট্যাটাস- নরক বাংলাদেশ থেকে তারা স্বর্গ আমেরিকায় হিজরত করেছেন। বাধ্য হয়ে যারা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যান, তারা সবাই কিন্তু ইউটিউবে বিপ্লব করেন না। অধিকাংশই সে দেশে গিয়ে নানা কাজকর্মে সম্পৃক্তসহ জীবন-জীবিকার লড়াইয়ে ব্যস্ত হয়ে যান। কয়েকজন ইউটিউব বিপ্লবকেই বেছে নেন রুটি-রুজির হাতিয়ার হিসেবে। এ কাজটা করেন খুব অল্প কয়েকজন। কয়েকজন সাবেক সাংবাদিক, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, সাবেক শিক্ষক বা বুদ্ধিজীবী মিলে প্রতিদিন দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে ফেলেন। মাঝেমধ্যে অবশ্য তাদের নিজেদের মধ্যে লেগে যায়। কে, কীভাবে, কার কাছ থেকে চাঁদা নেন; সেটাও ফাঁস করে দেন তারাই। গত তিন/চার বছর ধরে এ প্রবাসী বিপ্লবীদের কথা শুনে শুধু আমি নই, আরও অনেকে বিভ্রান্ত হন। তাদের কথা শুনে মনে হয় রাত পোহালেই গণঅভ্যুত্থান বা সামরিক অভ্যুত্থান হয়ে যাচ্ছে। দু-একজন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা এমনভাবে কথা বলেন যেন সবাই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাঁশি হাতে দাঁড়িয়ে আছে। ফুঁ দিলেই বাংলাদেশে কেয়ামত হয়ে যাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষক আছেন যিনি একদিকে বলেন গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের কথা, আরেকদিকে বলেন অমুককে থাপড়ানো দরকার, তমুককে চাবকানো দরকার, তমুককে টুকরা টুকরা করে ফেলা হবে। এদের মুখে আর যাই হোক মানবাধিকারের কথা শোভা পায় না। পোশাক-আশাক দেখলে এদের অনেককে শিক্ষিতই মনে হয়। কিন্তু তারা যে ভাষায় কথা বলেন তাতে এটা নিশ্চিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গেলেও গণতন্ত্র, মানবাধিকার, পরমতসহিষ্ণুতা, শালীনতা, ভদ্রতার শিক্ষা এরা পাননি। গণঅভ্যুত্থানের ব্যাপারে তারা এতটাই নিশ্চিত, সরকারকে সেফ এক্সিট দেওয়া উচিত হবে কি হবে না এটা নিয়েও তারা বাহাস করেন। যেন তারা আমেরিকায় বসেই প্রবাসী সরকার গঠন করবেন। তাদের কথা শুনে মনে হয় মির্জা ফখরুল তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেই আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করেন।
অনেক বছর ধরেই তারা গণঅভ্যুত্থানের স্বপ্নে বিভোর। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর বাস্তবায়িত হচ্ছিল না। বিএনপিও মাঠে নামছিল না। বাংলাদেশের সরকারপ্রধানকে উৎখাত করছে না বলে তারা বিএনপির ওপরও ক্ষুব্ধ ছিলেন। এবার ১০ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে আবার তারা স্বপ্নে বিভোর হন। স্বপ্নের পোলাওয়ে ঘি বেশি দিতে আপত্তি নেই। তাই একজন তো ১ কোটি লোক সেদিন ঢাকায় আসবেন বলে ঘোষণা দেন। আরেকজন ১০ ডিসেম্বর সমাবেশে যোগ দিতে বাইরে থেকে ঢাকায় আসা লোকজনকে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করা মুসলমানদের সঙ্গে তুলনা করে, তাদের আপ্যায়নের জন্য ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। নিজেরা যে সরকারের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালালেন, সেই সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে তরুণ সমাজকে আহ্বান জানালেন, এটা কেমন নৈতিকতা। কিন্তু দেশের তরুণ সমাজ সরকার উৎখাতের আন্দোলনে শামিল না হয়ে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নিয়ে ব্যস্ত বলে ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন কেউ কেউ। কিন্তু ১০ ডিসেম্বর মাহেন্দ্রক্ষণে গোলাপবাগে আন্দোলনের গোলাপ না ফোটানোয় তারা খুব হতাশ হন। বিএনপি নেতারা বারবার বলছিলেন, ১০ ডিসেম্বর তাদের বিভাগীয় সমাবেশ মাত্র, সরকারকে বিব্রত করার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই। কিন্তু পলাতক প্রবাসী বিপ্লবীদের কথা শুনে হচ্ছিল, ১০ ডিসেম্বর সরকারের পতন অনিবার্য। আমার খুব কৌতূহল ছিল ১০ ডিসেম্বরের পরে তারা কী বলেন। এখন তারা ২৪ ডিসেম্বরের গণমিছিলকে ঘিরে আশায় বুক বাঁধছেন। আর বলছেন, শেখ হাসিনার পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। তবু তারা দয়া করে তাকে ক্ষমতা থেকে সরাননি। ১০ ডিসেম্বরকে ঘিরে তাদের একটা গোপন আকাক্সক্ষা ছিল। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকার বা সরকারের ঊর্ধ্বতনদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেবে। যুক্তরাষ্ট্র ১০ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞার তালিকা ঘোষণাও করেছে। কিন্তু সমস্যা হলো- সেই তালিকায় বাংলাদেশের কারও নাম নেই। এ কারণেই তাদের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।
দেশে থেকে হোক বা বিদেশে থেকে হোক; সরকারের অন্যায়, অনিয়ম, লুটপাট, ভোটাধিকার, গণতন্ত্র নিয়ে আন্দোলন করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু সরকার বিরোধিতা আর গুজব ছড়ানো এক নয়। সরকার বিরোধিতাকে তারা রাষ্ট্র বিরোধিতার পর্যায়ে নিয়ে যান। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাচ্ছে, ব্যাংকে টাকা নেই, রিজার্ভ শূন্যের কোঠায়, আরও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসছে- এসব বলে আসলে তারা আওয়ামী লীগকে হটাতে নয়, বাংলাদেশকেই হারাতে চান। কিন্তু নিউইয়র্কে বসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা বোঝা সম্ভব নয়। আর সম্ভব নয় বলেই তাদের স্বপ্নের গণঅভ্যুত্থান আর হচ্ছে না। তারা বলেন, সরকারের মামলা-হামলা, গুম-খুনের ভয়ে রাস্তায় নামতে পারছেন না। কিন্তু ইতিহাস তো উল্টো সাক্ষ্য দেয়, দমন-পীড়ন যত বেশি হবে আন্দোলন তো তত তীব্র হওয়ার কথা। পুলিশের গুলির ভয়ে আন্দোলন থেমে থাকলে তো ’৫২ হতো না, ’৬৯ হতো না, ’৭১ হতো না, ’৯০ হতো না। এ বিএনপিই তো স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে অসম সাহসে আন্দোলন করেছে।
আমি শুধু ভাবি, তারা কী এমন অপরাধ করেছেন যেটা আমরা জানি না, যার ভয়ে তারা দেশ ছেড়ে পালালেন। সরকারের বিরোধিতা করাই যদি তাদের একমাত্র অপরাধ হয় তাহলে তো সরকার বড়জোর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে তাদের কারাগারে আটকে রাখত। কারাগারে যাওয়ার সাহস যাদের নেই তারা কোন নৈতিক অধিকারে সাধারণ মানুষকে রাস্তায় নামার ডাক দেন। প্রবাসে থাকা পেশাদার ইউটিউবারদের কথা শুনলে মনে হয়, দেশে যারা আছে তারা সবাই সরকারের দালাল, এমনকি বিএনপিও নাকি সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে টিকে আছে। তাদের কথা শুনলে মনে হয়, বাংলাদেশের দেশপ্রেমিকরা সব বিদেশে থাকে।
লেখক : হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ । সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন