ফাইল ছবি
অনলাইন ডেস্ক : প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন কমিশনের সদস্যরা। আজ সোমবার বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
কমিশন সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশন সভাপতির সঙ্গে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে তৈরি করা সুপারিশের ড্রাফটের বিষয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে। সভাপতির মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশের খসড়ায় সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায়ের পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ তৈরি করে পরে সরকারের কাছে জমা দেবে। অন্যদিকে খসড়ায় নতুন করে সংশোধনী না থাকলে আজই সেটি সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে।
ঐকমত্য কমিশনের একাধিক সূত্র জানায়, সংস্কার প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণভোটে রাজনৈতিক দলের ভিন্নমতের বিষয়ে উল্লেখ থাকবে না। ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, তার ওপরই গণভোট হবে।
গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ঐকমত্য কমিশন যেভাবে সংবিধান সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করেছে, সেভাবেই বাস্তবায়িত হবে।
জানা গেছে, রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোট ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ’, যার মধ্যে ৪৭টি সংবিধানসংক্রান্ত প্রস্তাব। গণ-অভ্যুত্থানকে ভিত্তি ধরে প্রথমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ নামে একটি আদেশ জারি করা হবে। সেই আদেশের অধীনে জারি হবে গণভোট-বিষয়ক অধ্যাদেশ, যার ভিত্তিতে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
সনদ অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের (২৭০ দিন বা প্রথম ৯ মাস) জন্য আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এ সময়ের মধ্যেই সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো সংসদে অনুমোদন করা হবে। বাস্তবায়নের পুরো প্রক্রিয়া বিস্তারিতভাবে উল্লেখ থাকবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে।







