বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশে সকাল থেকে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও আঞ্চলিক বাস কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। গাড়ি কম থাকায় অনেককেই পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যেতে দেখা যাচ্ছে।
আজ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে সরেজমিনে গিয়ে এমনই চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, দূরপাল্লার বাস না থাকায় পায়ে হেঁটে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছে ভুক্তভোগীরা।
দূরপাল্লার টিকেট কাউন্টারগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, বেশিরভাগ টিকেট কাউন্টারগুলো সকাল থেকে খালি রয়েছে। টিকেট কাউন্টারগুলোতে এখন সুনসান অবস্থা বিরাজ করছে। এছাড়া ডিসেম্বর মাসে এই সময়ের দিকে কাউন্টারে যাত্রীদের প্রচুর চাপ থাকে। আজও যাত্রীদের দেখা গেলেও কাউন্টার গুলো সব বন্ধ রয়েছে।
সীমা আক্তার নামে এক নারী জানান, আমি আমার বাবার বাড়ি কুমিল্লায় যাওয়ার উদ্দেশে করে চিটাগং রোড বাস কাউন্টারে এসেছি। কিন্তু এসে দেখি সব বাস কাউন্টা বন্ধ রয়েছে। এখন কীভাবে যাব বুঝতে পারছি না। আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দূরপাল্লার কোনো বাস না পেলে বাসায় চলে যাব।
আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, আজকে আমার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী তাই আমি গ্রামে যাচ্ছি। সেখানে মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি বাবা মায়ের কবর জিয়ারত করব কিন্তু দুই ঘণ্টা ধরে এখানে বসে আছি কোনো বাস পাচ্ছি না। যেভাবে হোক আজকে আমার গ্রামে যেতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেজুতি পরিবহন এর এক টিকেট মাস্টার জানান, সকাল থেকেই দূরপাল্লার টিকেট কাউন্টারগুলো বন্ধ রয়েছে। তবে কি কারণে বন্ধ তা আমি বলতে পারি না। যাত্রী না থাকায় আমাদেরও অর্ধেক বাস আজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। কখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা এখনো বলতে পারছি না।
শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই একেএম শরফুদ্দীন জানান, সকাল থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যাত্রী কম থাকায় হয়তো যানবাহন কম রয়েছে। তবে কি কারণে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে তা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, সকাল থেকে সড়কে গাড়ির চাপ কম রয়েছে।